অন্তর্বর্তী সরকারের শততম দিনে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তারা শিরোনাম করেছে ‘এ নিউ এরা ইন বাংলাদেশ? দ্য ফার্স্ট হানড্রেড ডেজ অব রিফর্ম’। শিরোনামের প্রথম অংশটুকুই আলোচ্য। এক আকাশসম চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই ক্রান্তিকালীন সরকারের পথচলা। ৮ই আগস্ট দায়িত্ব নিয়েছেন প্রফেসর ড. ইউনূস।
সময়ের দ্রুতলয়ে ইতিমধ্যেই কেটে গেছে ১০০ দিন। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ নানা ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুব সহজ নয় বলে উল্লেখ করেছে ব্রাসেলসভিত্তিক এই সংস্থা।
রিপোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার হোঁচট খেলে দেশ আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে, এমন কি সামরিক শাসনের যুগে প্রবেশ করতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কারের জন্য জনসমর্থন ধরে রাখতে দ্রুত ফলাফল দৃশ্যমান করা।
বাস্তবতার পারদ উঠানামা করছে। সরকারের জনসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে অস্থিরতা দৃশ্যমান। দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা, পোশাক খাত। এই তিনটি ক্ষেত্রেই স্বস্তিতে নেই সরকার। এরপর মোটা দাগে দেখলে জেনেভায় একজন উপদেষ্টা আর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে একজন উপদেষ্টাকে ঘিরে যা হয়েছে তা কোনো সুখকর বার্তা দেয় না। আহতদের চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এ ঘোষণা আগেই দিয়েছিল সরকার। নতুন করে আহতদের রাস্তায় নামতে হলো কেন? তাহলে অবহেলা কোথায়? সরকারের উচিত হবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা অবহেলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, একটি সফল ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের দীপ্ত মশাল, যার অগ্নিশিখায় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তখতে-তাউস পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, যেকোনো প্রতাপশালী স্বৈরশাসকের গুলিভরা খুনি রাইফেলের চেয়ে ন্যায়পরায়ণ গণতান্ত্রিক তারুণ্যের বুকে ঠাসা প্রতিবাদের বারুদ অনেক বেশি শক্তিমান। নূরুল কবীরের কথা ধরে বলতে চাই, তারুণ্যের শক্তিই এখন ক্ষমতায়। যারা গণতান্ত্রিক অধিকারের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের দৃপ্ত আকাঙ্ক্ষার প্রত্যয়কে শ্রদ্ধা জানাবেন।