দীর্ঘ এক যুগ। কম সময় নয়। বন্ধ দুয়ার খুলে গেল। সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিটি ভাইরাল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাস্যোজ্জ্বল প্রতিকৃতি। আরেকটি ছবিও অনেকেই শেয়ার করেছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কুশল বিনিময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে। সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতির রাজনীতির অভাবে সমাজে বাড়ে অসহিষ্ণুতা। যা আমাদের দেশে ঘটে আসছে দীর্ঘকাল থেকে। পশ্চিমা দুনিয়ার মিডিয়া একসময় সংবাদ শিরোনাম করেছিল ‘টু ব্যাটলিং বেগমস।’ এটাই আমাদের রাজনীতির নিয়তি। এই অভিধা আমাদের জন্য সত্যিই লজ্জাকর।
লক্ষণীয়, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পর তিনজোটের রূপরেখা নিয়ে ঐকমত্য বা এর আগে আন্দোলনের সময় দু’নেত্রীর বৈঠক; এরপর ফোকাসে থাকতো সশস্ত্র বাহিনী দিবস। যেখানে অলংকৃত করবেন শীর্ষ নেতারা। কিন্তু তা ঘটেছে কালেভদ্রে। এবারের সেনাকুঞ্জের মাহেন্দ্রক্ষণ নিশ্চয় রাজনীতিতে একটি সুবাতাস বয়ে নিয়ে আসবে।
আরেকটি বড় ঘটনা ঘটেছে গেল সপ্তাহে। প্রধান উপদেষ্টা তার সরকারের দেয়া ১০০ দিনের ভাষণে যেমনটি বলেছেন, নির্বাচনী ট্রেন চলতে শুরু করেছে। যদিও নানা মহল থেকে বলা হয়েছে, তিনি পরিষ্কার করেন নি। কোথাও কোথাও হতাশার সুরও ছিল। তবে নির্বাচন কমিশন যাত্রা শুরু করেছে। অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশনে আছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। অভিনন্দন সকলকে। প্রত্যাশা থাকবে অতীতের সকল বিতর্ক ছাপিয়ে একটি ভিন্নতর দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এই কমিশন। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবু প্রত্যাশার ষোলআনাই এই কমিশন ঘিরে।