আন্তর্জাতিক

ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব এবং বাংলাদেশ

মোহাম্মদ আবুল হোসেন | আন্তর্জাতিক
নভেম্বর ১০, ২০২৪
ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব এবং বাংলাদেশ

আবার ট্রাম্প যুগে বিশ্ব। ডেমোক্রেটদের ভরাডুবির পর ডনাল্ড ট্রাম্প এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। কেমন হবে তার সময়ে বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, বিশ্ব ব্যবস্থা। ২০১৬ সালে তিনি যখন প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন, তখন উদ্ভট বেশ কিছু কাজ করে বসেন। তার মধ্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। ইরানের সঙ্গে ৬ পশ্চিমা শক্তির করা পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেন। নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যে জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিরা, তথা মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে মনে করে- তাকে তিনি ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে স্থানান্তর করে জেরুজালেমে স্থাপন করেন। এর মধ্যদিয়ে একতরফাভাবে তিনি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। মধ্যপ্রাচ্যের ৭টি মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টায় রিয়াদ সফর করেন। সেখানে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন। সৌদি আরবের রীতি অনুযায়ী ট্রাম্পকে তরবারি হাতে নাচতে দেখা যায়। এসবের মধ্যদিয়ে তিনি আসলে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের জন্য যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেদিকে অগ্রসর হতে চেয়েছেন। এর ফল হিসেবেই তিনি আব্রাহাম একর্ড বা চুক্তি করেছেন। তার অধীনে মধ্যপ্রাচ্যের  দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলকে স্বস্তিকর একটি অবস্থানে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০২০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর বাহরাইন প্রথমে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। হোয়াইট হাউসের ট্রুম্যান ব্যালকনিতে ডনাল্ড ট্রাম্পের আয়োজনে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যদিয়ে ইসরাইলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয় বাহরাইন ও আমিরাত। একে একে আরও কতোগুলো দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তবে সৌদি আরব এতে স্বাক্ষর করেনি। তারা চেয়েছে আগে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান। দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। সেই ফিলিস্তিনি কিন্তু আজ ক্ষতবিক্ষত। লাশের স্তূপ। বিধ্বস্ত নগরী। সেখানে প্রতিটি নিঃশ্বাসে লাশ পচা গন্ধ। মৃত্যুর বিভীষিকা। এই যুদ্ধে অব্যাহতভাবে ইসরাইলকে সহায়তা করে গেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। সামরিক সহায়তা, আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইসরাইলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’কে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অন্যপাশে প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ নিরীহ গাজাবাসী, পশ্চিমতীরবাসীর ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে গেছে ইসরাইল এবং তা অব্যাহত আছে। ট্রাম্প কি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই যুদ্ধ বন্ধ করবেন? তার কাছে কি গাজার অসংখ্য এতিম, যাদের হাত-পা উড়ে গেছে, দেখার কেউ নেই- তাদের দিকে মানবিক দৃষ্টি দেবেন? তিনি কি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবেন? সম্ভবত না। কারণ, তিনি ইসরাইলকে প্রাধান্য দেন এবং নিঃসন্দেহে বলা যায় এবারো তাই করবেন। তিনি ইসরাইলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের মোড়ল বানানোর চেষ্টা করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নেবেন। বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে গাজায় যুদ্ধ হতো না। ইউক্রেন যুদ্ধ হতো না। তিনি হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধ খুব সহজেই বন্ধ করতে পারবেন।  প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনকে যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়ে এসেছেন, তা যদি আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেন ট্রাম্প, তাহলে ইউক্রেন দুর্বল হয়ে পড়বে। এমনিতেই যুদ্ধ থেমে যাবে। কিন্তু গাজা যুদ্ধ? রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা আছে। সেটা প্রকাশ্যে হোক বা পর্দার আড়ালে। ওয়াটার গেট খ্যাত বিখ্যাত সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড তার বই ‘ওয়ার’-এ লিখেছেন, ২০২০ সালে ক্ষমতা হারানোর পর কমপক্ষে ৭ বার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র যে পুতিনকে এক নম্বর শত্রু মনে করে তার সঙ্গে ট্রাম্পের এই দহরম মহরম যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধ। নিশ্চয় সবার মনে আছে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প চীনের সঙ্গে কি কঠোর আচরণ করেছেন। তিনি চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধ চালিয়েছেন। চীনের চিপসের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা উচ্চ শুল্ক হার আরোপ করেছেন। এ ছাড়া তার সময়ে চীন থেকে যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য তিনি চীনকে দায়ী করেন। এবার তিনি চীনের সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন তা সময়ই বলে দেবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ সহ ভারত উপমহাদেশে চীনের আধিপত্য বিস্তারের যে চেষ্টা তাকে ট্রাম্প কোন চোখে দেখবেন- সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের জন্য। বিশেষ করে বর্তমান ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটদের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যে ঘনিষ্ঠতা আছে, তা সর্বজনবিদিত। প্রেসিডেন্ট বাইডেন থেকে শুরু করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন সহ অসংখ্য ডেমোক্রেটের সঙ্গে ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পর যখন সারাবিশ্ব থেকে অভিনন্দন বার্তা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা, তখন ড. ইউনূসও তাদের সঙ্গে শামিল হয়েছেন। এক্ষেত্রে উদারতা এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চর্চা করেছে বাংলাদেশ। তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো- ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদে বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালে যে বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় তার আগে এবং পরে সোচ্চার ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের প্রশাসন তখন বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করেছিল এবং ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছিল। এ থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন ট্রাম্প। এবারও সেটাই হবে এমনটা আমাদের প্রত্যাশা। 


এবার নির্বাচনে ট্রাম্প বেশ কয়েকটি কার্ড খেলেছেন। তিনি অভিবাসন, গর্ভপাত, ন্যাটোয় যুক্তরাষ্ট্রের খরচ, বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বন্ধের ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছেন। বিশেষত গর্ভপাত ইস্যু যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী রক্ষণশীল এবং মুসলিমদের পক্ষে যায়। অন্যদিকে বাইডেন প্রশাসন গাজায় যে নৃশংসতায় অব্যাহতভাবে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে গেছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলিম, আরব মার্কিনিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প ভালো হোন বা খারাপ হোন- অন্তত বাইডেন প্রশাসনকে তারা একটি শিক্ষা দিতে চেয়েছে। এ জন্যই মিশিগানের মতো রাজ্যে ট্রাম্পের র‌্যালিতে প্রকাশ্যে দেখা গেছে মুসলিম নেতাদের। তারা প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্পকে। এই মুসলিম ভোট বড় ফ্যাক্টর হয়েছে ট্রাম্পের জয়ের জন্য। ট্রাম্প যে মুসলিমদের জন্য ভালো হবেন- এমনটা হলফ করে বলা যায় না। কিন্তু ৫ই নভেম্বর মুসলিমরা বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছেন- তিনি গাজায়, লেবাননে ভুল করছেন। আর তার সেই নীতিকে অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন ডেমোক্রেট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। বাইডেনের স্থানে তিনি থাকলে ভিন্ন কি করতেন এক সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাননি কমালা। এর অর্থ হলো বাইডেন যা যা করেছেন তিনি সেসব অব্যাহত রাখবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো নতুন স্বপ্ন দেখাতে পারেননি। বাইডেন যে পথে হেঁটেছেন তিনিও সেই পথে হাঁটার কথা বলেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার একেবারে শেষের দিকে এসে তিনি বলেছেন, নির্বাচিত হলে গাজা যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। কিন্তু সেই বলাটা অনেক পরে বলেছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলিমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এমনকি তাকে ট্রাম্প জনসভায় যেভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন, তার যথোপযুক্ত জবাব দিতে পারেননি। ক্ষমতায় আসার পর ক্রমাগত রেটিং কমেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সর্বশেষ তার রেটিং কমতে কমতে ৪০-এ এসে দাঁড়ায়। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকা অবস্থায় প্রথম সরাসরি টিভি বিতর্কে লেজেগোবরে করে ফেলেন। তাতে ডেমোক্রেট এবং তার বা তাদের জনপ্রিয়তা আরও কমে যায়। সেই অবস্থা থেকে নিজেকে এবং দলকে টেনে তোলার মতো চমকপ্রদ কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি পরে লড়াইয়ে আসা কমালা হ্যারিস। কমালা যদি বাইডেন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজে কোনো এজেন্ডা সেট করতেন, মানুষকে নতুন কোনো স্বপ্ন দেখাতে পারতেন- তাহলে হয়তো ফল অন্যরকম হতে পারতো। যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় কোনো ইস্যুতে তিনি সোচ্চার হতে পারেননি। অন্যদিকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সীমান্তে কড়াকড়ি করার অঙ্গীকার করেছেন। এসবই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পক্ষে যায়। অর্থনীতিতে তিনি মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। একদিনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কীভাবে করবেন, সেটা তিনি বলেননি। তবে তা অনেকের কাছে চমকপ্রদ মনে হয়েছে। ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্র এ বছর খরচ করেছে ৭৫৫ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্প ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। কারণ তিনি বহুবার ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের খরচের খাত নিয়ে কথা বলেছেন। যদি তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে নেন, তাহলে ন্যাটো অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই যে ৭৫৫ বিলিয়ন ডলার, এটা নিজের নাগরিকদের  পেছনে খরচ করতে পারবেন। এসব কারণে ইউরোপিয়ান বেশির ভাগ দেশ চাইছিল ক্ষমতায় আসুন কমালা হ্যারিস। কিন্তু পাশার দান উল্টে গেছে। এখানে আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম যে দু’চারজন বিশ্বনেতা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, তার মধ্যে মোদি অন্যতম। তিনি ট্রাম্পকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেছেন। মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে ভারত বড় এক প্রভাবক। স্মরণ করা যেতে পারে ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনের কথা। এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য তীব্র চাপ সৃষ্টি করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। সেখানে শুধু ভারতের হস্তক্ষেপে নির্বাচনী বৈতরণী পার পেয়ে যায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু গঠিত সেই সরকার পায়ের নিচে মাটি পায়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাতাসে উড়ে গেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় শক্তি হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ। এখন দলটির বড় নেতাদের অনেকে হয়তো বিদেশে পালিয়ে আছেন না হয় জেলে। আর না হয় আত্মগোপন করে আছেন। অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে পুনর্বাসন করবেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তাতে মধ্যস্থতা করবেন নরেন্দ্র মোদি। এ বিষয়টি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার পাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি অনেক জটিল এবং কঠিন অঙ্ক। 

আন্তর্জাতিক'র অন্যান্য খবর