গত বছর আগস্টে বাংলাদেশে গণ-আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। আর এ বছর সেপ্টেম্বরে একই চিত্র দেখা গেল নেপালে। যা নেপালে অবস্থানকালে সাক্ষী হলাম আমি। বাংলাদেশে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেপালে একইরকম পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। হেলিকপ্টারে হাসিনার মতো অলিও দেশ ছাড়ছেন বলে খবর শোনা গেলেও পরে জানা যায় সেনাবাহিনীর হেফাজতে ব্যারাকে আছেন তিনি।
দুই ক্ষেত্রেই সরকার পতনের ভিত তৈরি হয় তরুণ-যুবা ও শিক্ষার্থীদের দাবিকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ থেকে। আর নেপালিদের আন্দোলন ছিল সরকারের ঘুষ-দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের মতো নেপালের তরুণ প্রজন্মই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। ডিসকো জকি (ডিজে), সংগীত শিল্পীরা ছিলেন আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব ছিলেন আন্দোলনকারীরা। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন তারা বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ২৬টি যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয় নেপাল সরকার। এতেই ক্ষোভটা বিস্ফোরণে রূপ নেয়। গত ৮ই সেপ্টেম্বর একযোগে গোটা নেপালে বিক্ষোভের ডাক দেয় দেশটির জেন-জি প্রজন্ম। এর আগে দু’টি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে গত ৩রা সেপ্টেম্বর নেপাল যায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বাংলাদেশ-নেপাল ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দু’টি কাভার করতে ৫ই সেপ্টেম্বর নেপাল পৌঁছি আমিও। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১৪ জন সাংবাদিক ম্যাচ দু’টি কাভার করতে নেপাল যায়। নেপালে পৌঁছানোর পরেই বিবিসি’র স্থানীয় সাংবাদিক নিরঞ্জন রাজবংশী মজা করে বলেন, ‘তোমাদের ৫ই আগস্টের মতো আমাদের ৮ই সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে।’ প্রথমে বুঝতে সমস্যা হলে পরে নিরঞ্জন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলেন ৮ই সেপ্টেম্বর জেন-জিদের বিক্ষোভ আছে। ওইদিন তোমাদের মতো আমাদের সরকারও গদি ছেড়ে পালাতে পারে।’ তবে বিষয়টি তখন আমলে নেয়নি আমার মতো অনেকেই। মাঝে ৬ই সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ফুটবল দল। ম্যাচটিতে ভালোই দর্শক-উপস্থিতি দেখা যায়। পরের দিনও এত বড় আন্দোলনের ছিটেফোঁটাও চোখে পড়েনি। তবে ৮ই আগস্ট বুধবার সকালে কাঠমান্ডুর জেনিসিমপাথে অবস্থিত হোটেল ক্রাউন ইম্পিরিয়ালে দুই দলের সংবাদ সম্মেলন কাভার করতে যাওয়ার সময় পথেই আন্দোলনের আবহ আঁচ করা যায়। বেলা ১২টার আগেই সেই আন্দোলন রূপ নেয় সহিংসতায়। সংবাদ সম্মেলনে নেপালের সাংবাদিক হিমেশ খাটকা জানান, এরইমধ্যে পার্লামেন্ট ভবন দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সকালে রাজধানী কাঠমান্ডুর বাণেশ্বর এলাকায় প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয় এবং অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে কাঠমান্ডুর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমনে দেশটির পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান নিক্ষেপ করে। সকালেই মারা যায় ৬-৭ জন আন্দোলনকারী। সকল মন্ত্রীকে নিয়ে জরুরি সভায় বসেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। বাতিল করা হয় বাংলাদেশ নেপালের মধ্যকার দ্বিতীয় ফুটবল ম্যাচ। সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হলেও কাঠমান্ডুর থামেলে সেভাবে তার আঁচ পড়েনি। সারারাত খোলা ছিল ক্যাসিনো। বার-পাবেও লোকজন দেখা গেছে। বলা যায় সারা রাতই জেগেছিল থামেল।
ইউরোপিয়ান ট্যুরিস্টদেরও নির্বিঘ্নে চলাফেলা করতে দেখা যায়। আগের দিন ১৯ জনের মৃত্যুতে মঙ্গলবার আন্দোলন আরও সহিংসতায় রূপ নেয়। সারা দেশে কারফিউ জারি করে নেপাল সরকার। সকালেই মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক ডাকেন কেপি শর্মা ওলি। তবে তার আগে গোটা নেপালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ছাত্র-জনতা। এ যেন বাংলাদেশের ৫ই আগস্টের পুনরাবৃত্তি! কারফিউ ভঙ্গ করে নেপালের সকল সরকারি স্থাপনাতে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। হামলা চালানো হয় সকল থানা, সরকারি অফিস- আদালতে। পদত্যাগের ঘোষণার আগেই বিক্ষোভকারীরা ভক্তপুরের বালকোট এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। শুধু ওলির বাড়িতে নয়, এদিন বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন জোটের শরিক নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ কয়েকজন মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বাড়িতে হামলা চালান। আগুন দেয়া হয় পার্লামেন্ট ভবনেও। বাদ পড়েনি দেড়শ’ বছরের অধিক পুরনো সিংহদরবারও। দুপুরে ওলি পদত্যাগ করে হেলিকপ্টারে পলায়নের পরে বিক্ষোভ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। রাস্তায় নেমে উল্লাস করতে থাকে সাধারণ জনতা। ৫ই আগস্ট বাংলাদেশে সরকার পতনের পর যা যা ঘটেছে, ওইদিন তারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখেছি নেপালে। সকল সরকারি স্থাপনায় আগুন দেয়া হয়। হামলা করা হয় সকল রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িঘরে। থামেলের মুসলিম টোল এলাকাতে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়রা তাদের বাড়ি থেকে পুরনো কাঠ, চেয়ার দিয়ে বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় আগুন জ্বালাতে সহায়তা করছেন। অনেককে পানিসহ শুকনো খাবার দিতে দেখা যায়। একটু পর পর পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান ও গরম পানি নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলে যাওয়ার পর তারা আবার জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। ‘ওলি সরকার মুর্দাবাদ’, ‘জেন-জি জিন্দাবাদ’, ‘কেপি শর্মা মুর্দাবাদ’ ‘জেন-জি জিন্দাবাদ’, ‘মন্ত্রীরা চোর, প্রচণ্ড চোর’ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ হিমালয়কন্যা খ্যাত দেশটির অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। থামেল, নকশাল, ভক্তপুর ললিতপুরে একটি থানাও অক্ষত ছিল না। কোথাও পুলিশের দেখা মেলেনি। আগুন জ্বলে হিলটন হোটেলেও। জানা যায়, এই পাঁচ তারকা হোটেলের মালিক দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। ওই হোটেলে আটকা পরে বাংলাদেশের একটি পরিবার। আতঙ্কগ্রস্ত পরিবারটিকে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে রাখা হয়। পাশাপাশি আরও ৩০ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে হোটেল ক্রাউন ইম্পিরিয়ালে অবস্থানরত বাংলাদেশ ফুটবল দল। দ্বিতীয় ম্যাচটি স্থগিত হওয়ার পর তাদের ৯ই সেপ্টেম্বর ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। জামাল-তপুদের ফিরিয়ে আনতে বিমানের একটি ফ্লাইট নেপালে গিয়েছিল, কিন্তু ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আর নামতে পারেনি। ওইদিন সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে যায় নেপাল বিমানবন্দর। বন্ধ হয়ে যায় সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। হঠাৎ করে বাংলাদেশ দলের টিম হোটেলের লাগোয়া প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে আগুন দেয়া হয় পাশের একটি পাঁচ তারকা হোটেলেও। বাংলাদেশের টিম হোটেলেও প্রবেশের চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা।
জেন-জিদের ধারণা এখানে আশ্রয় নিয়েছেন পলাতক মন্ত্রী-এমপিরা। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ফুটবলার লবিতে চলে আসে। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের বোঝাতে সক্ষম হয় যে, এখানে বাংলাদেশ ও নেপাল ফুটবল টিম অবস্থান করছে অন্য কেউ এখানে নেই। এরপর বাংলাদেশের হোটেল ত্যাগ করে তারা। এসময় রুমের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে পাশের হোটেলের আগুন লাগার দৃশ্য ভিডিও করছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। এটা দেখে ফের হোটেলে প্রবেশের চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। দ্রুত এক ব্যক্তি জামালের কাছ থেকে আন্দোলনকারীদের সামনে ভিডিও ডিলিট করলে সে যাত্রায় রক্ষা হয় বাংলাদেশ দলের। এমন অবস্থায় এক মুহূর্তও নেপালে থাকতে চাচ্ছিলেন না ফুটবলাররা। তপু, রহমত, রাকিবদের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও হয়েছে বার বার। তাদের একটাই জিজ্ঞাসা, ভাই কখন এয়ারপোর্ট খুলবে, কখন বিমান আসবে আমাদের নিতে! বুধবার রাতে দেশে ফেরার কথা জানতে অন্তত গোটা পাঁচেক বার কল করেছেন ফুটবলাররা। ওইদিন সন্ধ্যায় আগুন দেয়া হয় থামেলের ওয়ালডো ও বেলিচ ক্যাসিনোতে। যেখানে আগুন দেয়ার আগে লুট করা হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। আমাদের চোখের সামনে আগুন দেয়া হয় সিনেপ্লেক্স ছায়া সেন্টারে। মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় থামেলের সকল দোকানপাট। লুট হয় নেপালের সবচেয়ে বড় শপিংমল ভাটভাটানিতে। বৃহস্পতিবার দেখা যায় কিছুই অবশিষ্ট নেই সাততলাবিশিষ্ট মলটিতে। আগের রাতের জেগে থাকা থামেল পরের রাতে পরিণত হয়ে শ্মশানের নীরবতায়। সকল দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার পুরো কাঠমান্ডুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সেনাবাহিনী। কাউকে রাস্তায় নামতে দিচ্ছিল না। যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন, তাদেরও পড়তে হয় জেরার মুখে। ওইদিন নেপালি এক সাংবাদিকের সহায়তায় বাংলাদেশ দলের টিম হোটেলে চাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু থামেল থেকেই বের হতে দেয়নি সেনাবাহিনী। তবে থামেলের অলিতে গলিতে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর কাঠমান্ডুর সিটি মেয়র বালেন্দ্র শাহকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি করেন। ২০২২ সালে স্বতন্ত্র ভাবেই মেয়র নির্বাচিত হন ৩৫ বছর বয়সী বালেন্দ্র শাহ। আন্দোলনকারীদের ভাষ্য- এবারের আন্দোলন শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য সংগ্রাম। এই সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হবে জবাবদিহিতা, সুশাসন ও নৈতিকতা। আর সেই নতুন নেপালের চালকের আসনে গোটা জাতি বালেন্দ্র শাহকে দেখতে চায়। যদিও পরবর্তীতে সেখান থেকে সরে আসে তারা।
জানা যায় সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীল কারকিকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা। শোনা যাচ্ছে তাকেই প্রধানমন্ত্রী করতে চায় তারা। বুধবার সন্ধ্যায় প্রথমে বৈঠক বসে তারা। বৃহস্পতিবার সকালে চার ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়। কিছু দোকানপাট খুলতেও দেখা যায়। রাস্তাও দেখা মেলে কিছু গাড়ির। তবে সকাল ১০টায় আবার কারফিউ শুরু হলে পথঘাটের আবারো নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। বন্ধ করে দেয়া হয় দোকানপাট। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কার্গো বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় ফুটবল দলকে। বুধবার দিনভর বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতির চেষ্টা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ফুটবল দলকে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি পায় বাংলাদেশ। তবে বিশেষ ফ্লাইটকে ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে নেপালে প্রবেশ করতে হবে। এ জন্য ভারতের অনুমতির প্রয়োজন। বুধবার সারাদিন ভারতের অনুমতি না মেলায় ঝুলে যায় ফুটবলারদের দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা। তবে বুধবার মধ্যরাতে ভারত সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর দলকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেয় বাফুফে। ম্যাচ দু’টি কভার করতে আসা সংবাদকর্মীদের তৈরি থাকার কথা বলে বাংলাদেশের হাইকমিশন। রাতে জানানো হয় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ত্রিভুবন বিমানবন্দরে আসবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমান। যা দ্রুততার সঙ্গে ফুটবলারদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে। ফ্লাইট ধরার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার ভোর ৮টায় হোটেল ছাড়েন ফুটবলাররা। আমাদের কাঠমান্ডুর থামেল থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসে নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এরপর বিমানবন্দরে দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ একটি ফ্লাইটে যাত্রা শুরু করে দল। এই বিশেষ ফ্লাইটে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ক্রুসহ ৭৩ জন যাত্রী ছিল। যা বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে চারটায় কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণ করে।