স ম্পা দ কী য়

নির্বাচনী বাস্তবতায় ঐতিহাসিক রায়

কাজল ঘোষ | মতামত
ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
নির্বাচনী বাস্তবতায় ঐতিহাসিক রায়

বিজয়ের মাসে উচ্চ আদালতের একটি রায় নতুন আশার সঞ্চার করেছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের দুটি ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল এবং আইনের আরও চারটি ধারা বাতিল করেছেন আদালত।
বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে ১৩ বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছিল। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেন। 
পঞ্চদশ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ই আগস্ট বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯শে আগস্ট সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি বাতিল এবং গণভোট পুনর্বহাল করে দেয়া হাইকোর্টের রায়কে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই রায়ে আমি খুব উৎফুল্ল, আনন্দিত এবং অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আমি মনে করি যে, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। পুরো  দেশবাসীর জন্য আমি আনন্দিত। এই রায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার একটা গুরুত্বপূর্ণ দ্বার উন্মোচিত হলো। তবে এটা নির্ভর করবে ভবিষ্যতে কীভাবে আচরণ করা হয় তার ওপর। গণতন্ত্র ফিরে আসা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ মানে একটা পরিবর্তন।
এই রায়ের ফলে দশকের পর দশক নির্বাচন নিয়ে বিবদমান অবিশ্বাস, হিংসা, হানাহানি, রাজনৈতিক সহিংসতা, রাজপথের লড়াইয়ের ইতি ঘটবে বলেই আমরা আশা করি। মানুষ যেনো নির্ভয়ে, আনন্দের সঙ্গে নিজের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই পথ সুগম হবে আবারো।

মতামত'র অন্যান্য খবর