স ম্পা দ কী য়

কাজল ঘোষ | মতামত
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫
স ম্পা দ কী য়

ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইস্যুতে। ক্রাইসিস গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আগামীর চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছে। তাদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণে উভয় সংকট। নির্বাচনকে সামনে রেখে এখানে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিশ্রুত সংস্কারের জন্য। আইসিজি’র রিপোর্টের শিরোনাম- বাংলাদেশ: দ্য ডিলেমাস অব এ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন।
রিপোর্টে বলা হয়, ক্ষমতা ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। তারা এখনো আওয়ামী লীগপন্থি অবস্থানে। ফলে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষমতাকে সামনে  রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় থাকা অন্যদের মধ্যে সংকট দেখা দিচ্ছে। 
এতে আরও বলা হয়েছে, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে। তারা বলেছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে হবে এই নির্বাচন। এই সরকারের নেতৃত্বে আছেন শান্তিতে  নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্বাধীন সরকার এবং এর সমর্থকরা আশা করেন, এই নির্বাচন শুধুই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নির্বাচন হবে না। একই সঙ্গে ১৫ বছর ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী এবং নিষ্পেষণকারী শাসনের পরে দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন যুগের উদয় হবে। হাসিনার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার যে একচেটিয়া সমর্থন পেয়েছিল, তা আস্তে আস্তে ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ড. ইউনূস এখন সুদৃঢ় ফলাফল দেয়ার চাপ মোকাবিলা করছেন। 
অন্যদিকে রাজনীতিতে নতুন দল গঠনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সরকারে থেকে ছাত্রদের দল গঠন নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। ওদিকে, ফেব্রুয়ারিতেই প্রত্যাখ্যাত দল আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে কর্মসূচি দেয়া নিয়েও নানামুখী আলোচনা চলছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে দিন যত গড়াচ্ছে ততই রাজনীতি জটিল ঘূর্ণাবর্তে আটকাচ্ছে। সাধারণ মানুষ শান্তি চায়, স্বস্তি চায়। একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায়।    

 

মতামত'র অন্যান্য খবর