ফ্যাসিস্ট হাসিনার পর চারদিক থেকে রব উঠলো সর্বক্ষেত্রে পূর্ণ সংস্কার করার জন্য। রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস সাহেব তো বলেছেন গোটা দেশকে গাজার মতো ধ্বংস করা হয়েছে। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথমে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে তথা, সংবিধান, প্রশাসন, আইন, পুলিশ, দুর্নীতি, নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে। এরপর আরও কয়েকটি বিষয়ের জন্য কমিশন গঠন করা হয়। লন্ডনপ্রবাসী প্রখ্যাত সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। সর্বোপরি শীর্ষে জাতীয় ঐক্য কমিশন। এই কমিশন অন্য সকল কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সকল রাজনৈতিক দল (নিশ্চিহ্ন প্রায় আওয়ামী লীগ ছাড়া) সহ একত্র বসে দেশবাসীকে কি সংস্কার উপহার দেয়া যায়, তা স্থির করবে। বিভিন্ন বিজ্ঞ সংস্কারক এগিয়ে এসেছেন তাদের অবদান রাখার জন্য। আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়েও এসেছেন। এর ভেতর সংবিধান সংস্কার কমিশনকে কুলীন কমিশন মনে করা হয়। কেননা, মানুষের সকল মৌলিক অধিকার, এবং মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি তো এই সংবিধানই দেবে। সংবিধান প্রণয়নের দাবিদার বোধ হয় সবাই হতে পারে না। এর জন্য বিশেষ জ্ঞান এবং পাণ্ডিত্যের অধিকারী হতে হয়। আমি নিজেই আমার অজ্ঞতাস্বীকার করছি। তা হলো জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশনে ১০ই ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালে যে সর্বজনীন মানবাধিকার সম্পর্কে যে ঘোষণা দেয়া হয়, সেটি বিশদভাবে পড়ে দেখেনি। এই ঘোষণায় ৩০ (ত্রিশটি) অনুচ্ছেদ রয়েছে। আর উপ-অনুচ্ছেদ ১৭টি বিশদভাবে পড়লে দেখা যাবে যে মানুষের সকল মৌলিক অধিকার, মানবিক মর্যাদা উল্লেখ রয়েছে। সবচেয়ে মানবিক মর্যাদা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পশুর মতো একজন মানুষকে ছোঁ মেরে ধরে নিয়ে নির্যাতন করার সুযোগ এতে নেই। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, রোগ মুক্তি, শিক্ষা, সবকিছুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ও যথাযথ যত্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শিশু বিবাহবন্ধনের না মুক্ত জন্মগ্রহণের ফসল সেটিও দেখবার বিষয় নয়। এটি শিশু জন্মগ্রহণ করার উপর সকল সেবা-যত্ন ও মৌলিক অধিকার তাকে দিতে হবে, অর্থাৎ বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যেন এসব ভোগ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এক কথায় বলা চলে যে, এই মানবাধিকারের সকল বিধান যদি কোনো দেশ সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করে তাহলে সে দেশের নাগরিককে মানবিক মর্যাদা, মানুষ হিসেবে স্বীকৃতির জন্য কোনো লড়াই করতে হবে না। অবশ্য এর বাইরে যদি সংবিধান বিশেষজ্ঞ/পণ্ডিতরা কিছু দিতে পারেন, সে তো আরও আনন্দের কথা। তারা আমাদের কাছে নমস্য। তারা টিভি-টকশো মাতিয়ে রাখবেন। রাষ্ট্রীয় খেতাব, পদক পাবেন।
হয়তো আরও অনেক দেশে থাকতে পারে তবে দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি এবং জার্মানির সংবিধান রাজনৈতিক দল সম্পর্কে কিছু বক্তব্য রয়েছে। তবে জার্মানি এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে কিছু বিধান রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানে বলা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক দক্ষতা থাকবে, অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা থাকবে যাতে জনগণ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে। রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রের সুরক্ষা পাবে এবং পরিচালনার জন্য আর্থিক সাহায্য পাবে। যদি কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যাবলী গণতন্ত্রবিমুখ হয় তাহলে তাকে বিলুপ্ত করার জন্য সরকার সাংবিধানিক কোর্টের কাঠগড়ায় হাজির করবে।
জার্মানির সংবিধানে রাজনীতি বা দল সম্পর্কে বক্তব্য একটু বেশি কড়া। রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলবে। তাদের সম্পদ এবং তহবিলের উৎস সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করবে। রাজনৈতিক দল যদি তাদের কার্যকলাপের দ্বারা মুক্ত গণতান্ত্রিক ধারাকে বিপন্ন বা ধ্বংস করতে চায় এবং জার্মানি রাষ্ট্র হিসেবে জার্মানির অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তোলে, তাহলে সেই দল অসাংবিধানিক হবে। ফেডারেল সাংবিধানিক কোর্ট এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া এ সম্পর্কে ফেডারেল আইন পরিষদ বিশদ বিধি-বিধান প্রণয়ন করবে। রাজনৈতিক দল সম্পর্কে জার্মানির এই সতর্কতার মূল কারণ হলো যে বিশ্বে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে ধ্বংসলীলা তার খলনায়ক তো হিটলার। জার্মানিকে জাতি হিসেবে যে ভয়াবহ ধ্বংসলীলা ও অস্তিত্ব বিপন্নের চরম শিখরে উঠেছিল, সেটা হিটলার করেছিলেন রাজনৈতিক দলের পিঠে চড়ে। যার নাম সংক্ষেপে নাওমী পার্টি।
হিটলার এবং তার পার্টির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক দলের সরাসরি তুলনা হয় না। কিন্তু আমাদের আঙ্গিকে আমাদের রাজনৈতিক দলের ভূমিকা খুব একটা কম নয়। গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ এবং মানবিক মর্যাদা এবং মানবাধিকার সবকিছুর অন্তরায় ছিল আমাদের রাজনৈতিক দল। যে তিনটি রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিদার, তাদের প্রধানদের অবস্থান পর্যালোচনা করলে বুঝতে কষ্ট হবে যে, তারা কতোটা গণতন্ত্র ভোগ করে দিতে পারেন। দল তিনটি হলো- অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি (এরশাদ)।
এখানে তিনটি দল- বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র বিচার করলে আমরা দেখতে পাবো, দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়।
বিএনপি’র গঠনতন্ত্রের ৭ ধারার ‘খ’ উপ-ধারায় চেয়ারম্যানের কর্তব্য, ক্ষমতা ও দায়িত্বের কথা বলা আছে যথাক্রমে:
১. দলের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে চেয়ারম্যান দলের সর্বময় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয়সাধন করবেন এবং তদুদ্দেশ্যে জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিষয় কমিটিসমূহ এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটিসমূহের ওপর কর্তৃত্ব করবেন এবং তাদের কার্যাবলীর নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয় সাধন করবেন। ২. উপরোক্ত কমিটিসমূহের সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও চেয়ারম্যান প্রয়োজন বোধে নিতে পারবেন। ৩. জাতীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে উক্ত কমিটির কর্মকর্তাদের দায়দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কর্তব্য নিরূপণ করবেন। ৪. চেয়ারম্যান প্রয়োজন মনে করলে জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিষয়ভিত্তিক উপ-কমিটিসমূহ এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটিসমূহ বাতিল করে দিতে এবং পরবর্তী কাউন্সিলের অনুমোদন সাপেক্ষে পুনর্গঠন করতে পারবেন।
দলের চেয়ারম্যানই যদি সর্বময় কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয় করেন এবং জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিষয় কমিটিসমূহের ওপর কর্তৃত্ব করেন, তাহলে অন্য কোনো পদ থাকা না থাকার মধ্যে খুব ফারাক থাকে না।
জাতীয় পার্টির (এরশাদ) গঠনতন্ত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে বলা হয়েছে ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পার্টির সর্বপ্রধান কর্মকর্তা হইবেন। তিনি পার্টির ঐক্য, সংহতি ও মর্যাদার প্রতীক। গঠনতন্ত্রের অন্য ধারায় যাই উল্লেখ থাকুক না কেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত থাকিবেন। এই ক্ষমতাবলে তিনি প্রয়োজনবোধে প্রতিটি স্তরের কমিটি গঠন, পুনর্গঠন, বাতিল, বিলোপ করিতে পারিবেন। তিনি যেকোনো পদ সৃষ্টি ও বিলোপ করিতে পারিবেন। চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির যেকোনো পদে যেকোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ, যেকোনো পদ হইতে যেকোনো ব্যক্তিকে অপসারণ ও যেকোনো ব্যক্তিকে তাহার স্থলাভিষিক্ত করিতে পারিবেন।’
চেয়ারম্যানের এই ক্ষমতা বহুবার ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে দল ভেঙেছে। অনেক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু এরশাদ সাহেব যেই গঠনতন্ত্র রেখে গেছেন, সেটা এখনো বহাল আছে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সভাপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতা প্রসঙ্গে বলা আছে, ‘সভাপতি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে গণ্য হইবেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল, জাতীয় কমিটির সব অধিবেশন, কার্যনির্বাহী সংসদ ও সভাপতিমণ্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং প্রয়োজনবোধে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের যেকোনো ধারা ব্যাখ্যা করিয়া রুলিং দিতে পারিবেন। তিনি ১৯ ধারামতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের মনোনয়ন ঘোষণা করিবেন। সভাপতিমণ্ডলীর সহিত আলোচনাক্রমে তিনি বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্যদের মনোনয়ন দান করিবেন।
বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্যদের মনোনয়নের বিষয়ে দলীয় প্রধান সভাপতিমণ্ডলীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কিন্তু কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মনোনয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন কিনা, সেটা বলা নেই।
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ প্রথম সংসদের নির্বাচন হলো কিন্তু সেই নির্বাচনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সামান্য পরিচয় পাওয়া গেল না। এ বিরোধিতাকে একেবারেই সহ্য করতে চাইলো না আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে কারচুপি, হাইজ্যাক সহ সব ধরনের অপকর্ম ঘটলো। স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনী নামে একটি বাহিনী গড়ে তোলা হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সাহায্য করার জন্য। এই বাহিনীর সদস্যদের ন্যূনতম কোনো রাজনৈতিক চেতনা ছিল না। যার ফলে দেশপ্রেম কি তা বুঝতো না। আইনশৃঙ্খলা কাজে কোনো সাফল্য দেখাতে পারতো না। একটা কাজই পারতো তাহলো অমানুষিকভাবে শারীরিক নির্যাতন করা। আর শাসকদলের প্ররোচনায় গুম, হত্যা এসব ঘটনা ঘটাতো। বিএনপি’র আমলে এলো র্যাব। মাথায় কালো পাগড়ি বেঁধে অভিযান চালাতো। তবে র্যাব বিএনপি’র চেয়ে বেশি পরিষেবা দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকারকে। এরশাদের সময় ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে একটা রেকর্ড সৃষ্টি হয় ভোট শেষে গণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর গণনা বন্ধ করা হয় মাত্র ৩৬ ঘণ্টা গণনা স্থগিত রাখা হয়।
সাধারণত তৃণমূল থেকে কর্মী তৈরি হয়ে পরবর্তীতে নেতায় পরিণত হওয়ার কথা। এখানে তা হয় না। রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠে পরিবারতন্ত্র থেকে। অথবা অর্থ দিয়ে হোক বা অন্য কোনো সূত্রে একজন দল গঠন করে তার প্রধান সাজলেন। তারপর কিছু শিষ্য জুটে গেল। তিনি দলীয় প্রধান থাকবেন যুগ যুগ ধরে। তারপর উত্তরাধিকার সূত্রে পুত্র/কন্যা দলের মালিক হয়ে যান। অর্থাৎ দলে কোনো গণতন্ত্র চর্চা হয় না। ফলে সব দলীয় নেতারা কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠেন। বরেণ্য সাংবাদিক সোহরাব হাসান যথাথই বলেছেন যে, নেতারা দেশে গণতন্ত্র চান, কিন্তু দলে গণতন্ত্র চান না। অর্থাৎ সোনার পাথরবাটি।
১৯৭১ সালে ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, জনাব আকতার প্রাণ বিসর্জন দিয়ে স্বাধীনতা এনেছিলেন। চেয়েছিল মুক্তি, মানবিক মর্যাদা এবং সার্বিক মানবাধিকার, এর পরিবর্তে দেশে প্রতিষ্ঠিত হলো দলীয় সরকার ব্যবস্থা। এই সুযোগ নিয়ে শেখ হাসিনা হয়ে গেল ফ্যাসিস্ট। ৫ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর জনগণের প্রত্যাশা যে এবার গণহত্যার বিচার হবে, দুর্নীতিবাজদের উৎখাত করা হবে। আর কখনো ফ্যাসিবাদের যেন জন্ম না হয়, তার জন্য হবে আমূল সংস্কার। পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, এর জন্য অনেক কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া যেন বদলাতে শুরু করেছে। এখন সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনের দিকে আকর্ষণ যেন বেশি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অনিবার্য তা কেউ অস্বীকার করছে না। কিন্তু বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। আর কিছু সংস্কারকে বাস্তবায়িত করা প্রয়োজন শহীদদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবার জন্য। দলীয় সরকার যে পরিচয় দিয়েছে অতীতে তাতে বোঝা যায় যে, তারা সংস্কার করবে সেই সব বিষয়ের যা তাদের ক্ষমতায় থাকার সহায়ক হবে।
সকল রাজনৈতিক দলের এটা মহান দায়িত্ব যে সবাই মিলে ঐকমত্য পোষণ করে অন্তর্বর্তীকারীন সরকারের সহায়তার ন্যূনতম কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়িত করবে। তা না হলে ’৭১-এর শহীদদের ত্যাগ যেমন স্মৃতির অন্তরালে হারিয়ে গেছে তেমনি ’২৪-এর জুলাই- আগস্টের শহীদের স্মৃতিও আমরা হারিয়ে ফেলবো। আর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার পংক্তি দু’টি বার বার উচ্চারণ করবো “বীরের এ রক্তস্রোত, মাতার এ অশ্রুধারা এর যত মূল্য সে কি ধরার ধুলায় হবে হারা”।