একটি সংবাদ শিরোনাম পড়ে আঁতকে উঠেছি। মার্কিন নির্বাচনে যিনিই জয় পাবেন- দুর্বল হবে গণতন্ত্র। এটি একটি জরিপের ভাষ্য। দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ কর্তৃক পরিচালিত জরিপে বলা হয়েছে, ভোটারদের ৪০ শতাংশ বলেছেন যে, তারা নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার সহিংস প্রচেষ্টার বিষয়ে ‘অত্যন্ত’ বা ‘খুব’ উদ্বিগ্ন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যিনিই জয়ী হোক, তাতে গণতন্ত্রই দুর্বল হবে বলে মনে করছেন আমেরিকার প্রায় অর্ধেক ভোটার। তারা দেশটির রাজনৈতিক সহিংসতা, নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার চেষ্টা এবং গণতন্ত্রের জন্য বৃহত্তর প্রভাব সম্পর্কে বেশ শঙ্কিত। এই শঙ্কার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তামাম দুনিয়ার মানুষের চোখ এখন কে বসছেন হোয়াইট হাউসে?
ঢাকায়ও শুরু হয়েছে নির্বাচনী আলোচনা। বিশেষত বিচারপতি জুবায়ের আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সার্চ কমিটি গঠনের পর থেকেই জল্পনা চলছে কেমন হবে নির্বাচন কমিশন? একটি নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে কতোটা সফল হতে পারবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এরই মধ্যে ঢাকা সফর শেষ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভলকার তুর্ক। ৫ই আগস্টের আগে-পরে সব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়েছেন তিনি। এও বলেছেন, গণহত্যা বা গণপিটুনি কোনো হত্যার দায়মুক্তি সমর্থন করে না জাতিসংঘ। যেকোনো পরিস্থিতিতে সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
আমরা মনে করি, বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে তার নেপথ্যে ছিল দীর্ঘদিনের গণতন্ত্রহীনতা। ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ন্যায্যতা, ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতার দাবি পূরণের যে আকাক্সক্ষা তা নিশ্চিতেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। কিন্তু ছোট ছোট ভুলে আমাদের এই বৃহৎ অর্জন যেনো বেহাত না হয়, ব্যর্থ না হয়- তা নিশ্চিতে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অতীব জরুরি।