ভীষণ স্বার্থপররে পাখি কঠিন স্বার্থপর/ছিঁড়িয়া খাইয়া কলিজা করে পরের ঘর। গানে গানে বাস্তব তুলে ধরে গীতিকবিরা। যে সুরে মন উদাসী হয়ে উঠে। স্বার্থপররা জীবনে নিজেরটা ষোলআনা বুঝে নেয়। অন্যের জন্য এক আনাও ভাবে না-
প্রিয় হাসু আপা, সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের মুখে বিডিআর বিদ্রোহের বর্ণনা শুনে মনে হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যার উত্তর রয়েছে আপনার কাছে। গত সংখ্যায় একাংশ লেখা হয়েছিল। এ সংখ্যায় বাকি অংশ লিখলাম পাঠকের জন্য।
মইন উ আহমেদ বলেন, এরইমধ্যে বিদ্রোহীরা বিডিআর গেইটগুলোর চতুর্পার্শ্বে হেভি মেশিনগান, মর্টারস, রিকলেস রাইফেল, রকেট লঞ্চার ও অন্যান্য অস্ত্র মোতায়েন করে যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। বেলা ১১টায় ৪৬-এর প্রথম গাড়িটি গেইটের কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। বিদ্রোহীরা টের পেয়ে একটি পিকআপকে লক্ষ্য করে রকেট ফায়ার করে। রকেটটি পিকআপকে হিট করে। ড্রাইভার জহির ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। এখানে আমি একটা জিনিস বলতে চাই- সেটা হলো ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আমি আবার এডিসিকে বলি লেটেস্ট ইনফরমেশন পাওয়ার জন্য তুমি আমাকে আবার ডিজি বিডিআরকে সংযোগ দাও। এবং সে কন্টিনিউসলি চেষ্টা করলো। কিন্তু ডিজি বিডিআরকে আর সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। হয়তো বাই দিস টাইম হি হেজ বিন কিলড। এখানে উল্লেখ্য- আনুমানিক সাড়ে ১০টায় ডিজি বিডিআরকে গুলি করা হয় এবং তিনি নিহত হন। এর পরপরই কিলার গ্রুপের গুলিতে ডিডিজি কর্নেল আনিস, কর্নেল কায়সারসহ বেশ ক’জন অফিসারকে হত্যা করা হয়। লে. কর্নেল শামস-এর ধারণা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বেশির ভাগ অফিসারকেই হত্যা করা হয়েছে। আর আমাদের ব্রিগেডটি পৌঁছে ১১টার পরে পিলখানার কাছে। তার মানে আমরা পৌঁছাবার আগেই তারা বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ড করে ফেলেছে। সাধারণত আক্রমণের পূর্বে সেনাবাহিনী শত্রুর দুর্বল স্থানগুলো বের করে নেয়। এবং সেই স্থান দিয়ে আক্রমণ পরিচালনা করে। রকেট লঞ্চার দিয়ে আক্রমণের ফলে ব্রিগেডটি ডিপ্লয় হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ক্যাপ্টেন শফিকের নেতৃত্বে ৩৫০ জন র্যাবের সদস্য নিয়ে তিনি পিলখানা এলাকায় পৌঁছে যান। তিনি পৌঁছে যান অত্র এলাকায় ১০টার আগেই। তারপর তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুমতি চান পিলখানায় প্রবেশ করার জন্য। যেটা তিনি পাননি। তাকে যদি অনুমতি দেয়া হতো ভেতরে প্রবেশ করার জন্য, বিদ্রোহীরা তখনো সংগঠিত হয়নি। এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতিও করতে পারেনি। এ অবস্থায় তিনি নিজেই তাদেরকে কন্টেইন করতে পারতেন। এবং কিছুক্ষণ পরেই আমরা এসে তার সঙ্গে মিলিত হয়ে বিদ্রোহীদের কন্টেইন করে তাদেরকে দমন করা আমাদের পক্ষে অতি সহজ হয়ে পড়তো। আর তারাও কোনো অফিসারকে খুন করতে পারতো না।
পিলখানার ভেতরে কি হচ্ছে? তারা কি অফিসারদের হত্যা করছে? আমরা শুধু গুলির আওয়াজ শুনছি এবং গুলির আওয়াজ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। গোয়েন্দা থেকে আমরা কোনো তথ্যই পাচ্ছিলাম না। শুধু ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার লোকজন সেখানে লাইভ প্রোগ্রাম কাভার করছিল। তার মধ্যে মুন্নী সাহা লাইভ করছিল। বিদ্রোহীরা অফিসারদের সম্পর্কে ভুল বক্তব্য, মিথ্যা বক্তব্য তুলে ধরছিল জনগণের সামনে। এর মাধ্যমে একটা ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছিল অফিসার সম্বন্ধে। এ ছাড়াও বিডিআরের অন্যান্য ক্যাম্পেও এই বিদ্রোহ ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করছিল। সেনাপ্রধানের ক্লোজ প্রটেকশনের জন্য একটি সেকশন কমান্ডো ঢাকায় থাকে। বিদ্রোহীদের গতিবিধি নির্ধারণের জন্য হেলিকপ্টারে তাদেরকে অত্র এলাকায় পাঠানো হয়। বিদ্রোহীরা হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে গুলি করে। হেলিকপ্টারটি গুলিবিদ্ধ হয়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে পিএসওএফডি জানায় যে, সরকার রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে কোনো আলোচনার আগে সেনাবাহিনীকে এ এলাকা থেকে চলে যেতে হবে। তাই সরকার আদেশ করলো ৪৬ ব্রিগেড এবং সেনাবাহিনীর অন্যান্য যারা আছে তারা যেন দুই কিলোমিটার উত্তরে চলে যায়। আর যদি তাদের সঙ্গে সমঝোতা না হয়, তাহলে সামরিক অভিযান চালানো হবে। আনুমানিক বেলা ১২টায় পিএসওএফডি আমাকে টেলিফোন করে এবং বলে জরুরি ভিত্তিতে আমি যেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যমুনায় গিয়ে দেখা করি। তিনি কেনইবা এ সময়ে যেতে বললেন? কারণ ওই সময় প্রত্যেকটা মিনিট অত্যন্ত জরুরি। সিজিএসকে আমি সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে যমুনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। পথিমধ্যে দেখলাম যমুনা ভবনের কিছু সম্মুখে আর আর ডিপ্লয় করা হয়েছে। হেজ এ সামবডি গুয়িং টু অ্যাটাক যমুনা। বেলা ১টার দিকে সাদা পতাকা নিয়ে প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও হুইপ মির্জা আজম আলোচনার জন্য মেইন গেইট দিয়ে পিলখানার ভেতরে প্রবেশ করে। এরই মধ্যে সরকার থেকে বলা হলো যে, সেনাবাহিনী মেইন গেইট এলাকা লক্ষ্য করবে, পুলিশ করবে আরেক সাইডে এবং র্যাব করবে অন্য সাইড থেকে। আমার জানামতে ডেইরি ফার্ম যেখানে আছে ওই এলাকাটা অরক্ষিত ছিল। আমি বেলা ১টায় যমুনায় পৌঁছাই। সেখানে যে দৃশ্য দেখি সত্যিই তা হতাশাজনক। পুরো যমুনা লোকে লোকারণ্য। হাঁটার জায়গা নেই। যেসব লোককে আমি দেখলাম তাদের কোনো কাজ নেই। ওখানে এসেছে স্রেফ কৌতূহলবশত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় আলোচনা করছিলেন। কোনো সিদ্ধান্ত আসছিল না ওখান থেকে। আমি উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি যে পৌঁছেছি তা জানাতে অনুরোধ করি। এবং তিনি জানেন যে, আমি এসেছি। আমি ভেবেছিলাম তিনি আমাকে ভেতরে ডেকে নেবেন। কিন্তু তা করা হলো না। বেলা ২টার পর খবর এলো বিডিআর পিলখানা থেকে একজন অফিসার পালিয়ে যমুনায় এসেছে। আমি তা শুনে তার কাছে ছুটে গেলাম। তিনি জানালেন বিদ্রোহীরা বেশ কিছু অফিসারকে হত্যা করেছে। তবে ডিজি বিডিআর সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন। এই প্রথম নিশ্চিত হলাম বিডিআর বিদ্রোহীরা নিরপরাধ অফিসারদের হত্যা করেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সভা শেষ করে আরেকটি ছোট্ট সভা আয়োজন করলেন। তারপর তিনি তিন বাহিনী প্রধানকে একসঙ্গে ডাকলেন। এখানে উল্লেখ্য যে, আমি যমুনায় পৌঁছার দেড় ঘণ্টা পরে বাকি দুজন প্রধান যমুনায় এসেছিলেন। তার মানে আমাকে আসতে বলার বেশ কিছুক্ষণ পরে উনাদের বলা হয়েছে যমুনায় আসতে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আমাদের বললেন, রাজনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জনাব নানক, মির্জা আজম ও তাপস একটি ডেলিগেশন নিয়ে যমুনায় আসছে। এবং তারা চাচ্ছে সাধারণ ক্ষমা। তিনি আরও বলেন, বিদ্রোহীদের কিছু বলার থাকলে আমরা যেন তাকে বলি। আমি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বলি অপারেশন পরিচালনার শুরুতেই আমাদের একজন সৈনিককে নিহত হতে হয়েছে এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছে। এইমাত্র খবর পেলাম বিদ্রোহীরা অনেক অফিসারকে হত্যা করেছে। আমি আরও বলি, বিদ্রোহীদের কোনো শর্ত মানা যাবে না। আপনি তাদের বলবেন অফিসার হত্যা বন্ধ করতে হবে। আর একটি প্রাণও যেন না হারায়। দ্বিতীয়ত আমাদের সকল অফিসার ও তাদের পরিবারকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত সকল প্রকার অস্ত্রসহ বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। চতুর্থ আমি জোর দিয়ে বলি সাধারণ ক্ষমা করার প্রশ্নই আসে না। এরপর প্রধানমন্ত্রী চলে গেলেন। বেলা ৩টা ৪৮ মিনিটে ১৪ জন বিদ্রোহীকে আলোচনার জন্য যমুনায় আনা হয়। এবং তাদের একটি রুমে রাখা হয়। আমি আমার এডিসিকে বললাম দেখতো এদের মধ্যে নেতা কে? তাকে ডেকে নিয়ে আস।
এডিসি জুনায়েদ ডিএডি তৌহিদকে ডেকে নিয়ে আসলো। আমি তাকে দেখেই বললাম- আপনি আমাকে চেনেন? সে উত্তর দিলো-স্যার আপনি সেনাপ্রধান। আপনার কাছে আমার প্রশ্ন- কী হয়েছে পিলখানায়? কতোজন অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে এবং এখন কি অবস্থা? তিনি উত্তরে বলেন, সকাল ৯টায় বিদ্রোহীরা আমাকে একটি রুমে তালা মেরে আটকে রাখে। এখন আসার সময় তালা খুলে আমাকে নিয়ে এসেছে। আমি কিছুই জানি না। আমি বললাম, ঠিক আছে আপনি জানেন না। আপনার সঙ্গে যারা এসেছে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে আমাকে জানান। সেই যে ভেতরে গেলেন ডিএডি তৌহিদ আর আসছেন না। বেশ কিছুক্ষণ পর আমি আমার এডিসিকে ফের পাঠালাম তৌহিদকে ডেকে আনতে। তাকে আনা হলো। আমি বললাম, আপনি তো উত্তর দিলেন না। কী হয়েছে বলুন। ডিএডি তৌহিদ বললেন, স্যার ওরা সব জানে কিন্তু কিছুই বলছে না। এ কথা বলেই সে ভেতরে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সঙ্গে ছিলেন নানক, মির্জা আজম এবং তাপস। প্রথম পর্যায়ে কি আলাপ হয়েছে আমার জানা নেই। তার কিছুক্ষণ পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রুম থেকে বের হয়ে শুধু আমাকে ডাকলেন। আমি সেখানে গেলাম। ভেতরে গিয়ে দেখি এই ১৪ জন লোক সব নিচে তাকিয়ে আছে আর উস্কুখুস্কু চুল। দেখে মনে হয় রাস্তার বখাটে ছেলে। ওদের ডিমান্ড কি ছিল আমি জানি না। হয়তো প্রথম পর্যায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী তাদের বলছেন, তোমরা অস্ত্র-গোলাবারুদ সারেন্ডার করো। সবাই ব্যারাকে ফিরে যাও। পরে উনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। বিদ্রোহীরা ৬টা ৩৭ মিনিটে যমুনা ত্যাগ করে পিলখানার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। পিলখানায় পৌঁছেই তারা ঘোষণা দেয় যতক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমার পরিপত্র তাদের হাতে না আসবে তারা আত্মসমর্পণ করবে না। ফের তারা গোলাগুলি শুরু করে এবং অফিসারদের খুঁজতে থাকে। রাত ১২টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, আইন প্রতিমন্ত্রী তাপস ও আইজিপি বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পিলখানায় যান। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। একপর্যায়ে বিদ্রোহীরা কিছু অস্ত্র সমর্পণ করে এবং ৮টি পরিবারকে মুক্তি দেয়। তার মধ্যে তিনটি পরিবার ছিল সেনাবাহিনীর সদস্যের পরিবার এবং ৫টি পরিবার ছিল ডিএডি ফ্যামিলির। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানতেন সেনাবাহিনীর অফিসার এবং পরিবারগুলোকে কোয়ার্টার গার্ডে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি তাদের মুক্তির ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেননি। তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবরও নেননি। ২৬শে ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীরা সকাল থেকে গোলাগুলি শুরু করে। এবং বেঁচে যাওয়া অফিসারদের খুঁজতে থাকে। পাশাপাশি কোয়ার্টার গার্ডে গিয়ে অফিসারদের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আমাকে যমুনায় ডাকেন। সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে আমি যমুনায় পৌঁছাই। সিদ্ধান্ত হয়, বিদ্রোহীরা যদি আজকের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করে তাহলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ২টা ১৮ মিনিটে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। এবং বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দিলেন। ৪টা ৪৮ মিনিটে আমাকে বলা হলো বিদ্রোহীরা কোনো শর্ত ছাড়াই সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে। তারা পিলখানার সব গেইটে সাদা পতাকা উত্তোলন করে। রাত ৮টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি দল পিলখানার ভেতরে প্রবেশ করে। বিদ্রোহীরা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই সঙ্গে শেষ হলো ৩৩ ঘণ্টার বিডিআর বিদ্রোহ। নিহত হলেন ৫৭ সেনা অফিসার সহ ৭৪ জন। পরিশেষে আমি আশা করবো একটি প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে এখনো যারা দোষী চিহ্নিত হয়নি এবং এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করা হউক।
হাসু আপা, এ ঘটনায় আপনার চোখ দিয়ে জল পড়েছিল কি? এমনি তো দেখতাম কথায় কথায় আপনার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে। বিডিআর বিদ্রোহের সময় কি চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছিল? আপনিই ভালো জানেন। তবে আপনার শাসন উদাহরণ হয়ে থাকবে হাজার বছর ধরে। ঘৃণার তালিকায় আপনার নাম থাকবে সবার উপরে। ভালো থাকুন। কথা হবে আবার- অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।