অনেক বছর আগে ‘দ্য রুটস অব ডিকটেটরশিপ বা একনায়কতন্ত্রের শেকড়’ নামে একটি বই সম্পাদনা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত গবেষক ও পণ্ডিত হাসান গারদেজি ও জামিল রশিদ। বইটিতে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের সংকট ও কর্তৃত্ববাদের স্বরূপ ব্যাখ্যা করা হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে অনেকটা মিলে যায়।
কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, বাংলাদেশ সামরিক শাসন পেয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাকিস্তান থেকে। বাস্তবতা হলো নির্বাচিত শাসকেরা সামরিক ও গণতান্ত্রিক শাসনের ফারাকটা প্রায়ই ঘুচিয়ে দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে। কিন্তু স্বাধীনতার পর যাঁরা সরকার গঠন করলেন, তাঁরা দলতন্ত্রকেই গণতন্ত্র হিসেবে চালিয়ে দিতে সচেষ্ট হলেন। গণতন্ত্র হলো একসঙ্গে চলা, ভিন্নমত শোনা। কিন্তু ক্ষমতাসীন বিরোধী দলকে কোনো জায়গা দিতে প্রস্তুত ছিল না। তারপরও গণতন্ত্রের যেই নড়বড়ে কাঠামোটি ছিল, তারও অবসান ঘটলো একদলীয় শাসন কায়েমের মধ্যদিয়ে।
এই প্রেক্ষাপটে সামরিক নেতৃত্বের একাংশ ক্ষমতা দখল করে, যদিও তারা আওয়ামী লীগেরই আরেক নেতাকে সামনে রেখেছিল তাদের শাসনের একটি বেসামরিক আদল দিতে। এরপর অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ক্ষমতার দৃশ্যপটে আসেন। জিয়া ও তাঁর উত্তরসূরি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বেসামরিক শাসনের ছদ্মাবরণে সামরিক শাসন বহাল রাখেন। জিয়া ১৯৮১ সালের ৩০শে মে আরেক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন এবং নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদকে বিদায় করা হয়।
এরপর গত ৩৪ বছরে পালা করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করলেও তাদের কেউ গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠায় আগ্রহ দেখাননি। যত দিন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা জারি ছিল, তত দিন ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাত্রা কিছুটা কম ছিল, পাঁচ বছর পরপর তাদের জনদেবতার কাছে যেতে হতো বলে। কিন্তু ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এর তিনটি নির্বাচনই ছিল একতরফা ও জবরদস্তিমূলক।
২০০৮ সালের পর যাঁরা ভোটার হয়েছেন, তাঁদের বিশাল অংশ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ভেবেছিল রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে তারা চিরদিনের মতো ক্ষমতায় বহাল থাকবে; কিন্তু সামপ্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিসরে গণতন্ত্রের সমস্যা ও ব্যর্থতা, নির্বাচিত শাসকদের দুর্বলতার পাশাপাশি বেসামরিক প্রশাসনে সামরিক শাসকদের নীতি-কৌশল ব্যাখ্যা করা হয়েছে সাংবাদিক-গবেষক আমীর খসরুর ‘সংকটে গণতন্ত্র: সামরিক শাসনোত্তর বেসামরিক শাসনের সমস্যা’ বইয়ে।
ভূমিকায় আমীর খসরু প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী স্যামুয়েল পি হান্টিংটনের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘সাধারণ ধারণা এমন যে, স্বৈরতান্ত্রিক বা একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পর এই স্থান দখল করবে গণতান্ত্রিক সরকার; কিন্তু বাস্তবে নেতৃত্বের অক্ষমতার কারণে আবার ঘুরে ফিরে অগণতান্ত্রিক বা স্বৈরাচারী শাসনের বিকল্প হয়ে দাঁড়ায় এই একই ধরনের শাসন।’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে এর অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়। গণতান্ত্রিক বেসামরিক শাসকদের ব্যর্থতা, অক্ষমতা ও আত্মম্ভরিতার কারণেই বারবার অসাংবিধানিক শাসন এসেছে।
বহু তথ্য-উপাত্ত, উদ্ধৃতি ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে লেখক দেখিয়েছেন, ঔপনিবেশিক শাসনভুক্ত যেসব দেশে সামরিক শাসন আসে, সেসব দেশে গণতান্ত্রিক সংকট প্রবল। অনেক দেশে গণতান্ত্রিক ও সামরিক শাসনের রিলে রেস চলতে থাকে। অর্থাৎ সামরিক শাসনের পর গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়; আবার কথিত গণতান্ত্রিক শাসকদের স্বেচ্ছাচারিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, মানুষ সামরিক শাসনকেই বিকল্প হিসেবে বেছে নেয়।
নব্বইয়ে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পর ধারণা করা হয়েছিল, বাংলাদেশে সামরিক বা অগণতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটেছে, বাস্তবে তা হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র সংঘাতের মুখে ২০০৭ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। যদিও তারা পূর্বসূরিদের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাশাসন জারি করেনি, নেপথ্যে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। সে সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র শীর্ষ দুই নেত্রীসহ বহু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে মহা শোরগোল উঠলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরনো রাজনীতিই ফিরে এলো। ক্ষমতাসীনরা প্রতিপক্ষের ধ্বংসের মধ্যদিয়ে নিজের বিজয় নিশ্চিত করতে চাইলেন।
আমীর খসরু বইটি শুরু করেছেন বৈশ্বিক পরিসরে বিভিন্ন সংস্থার তথ্য-উপাত্ত জরিপকে সামনে রেখে। সামরিক শাসন-পরবর্তী বেসামরিক নেতৃত্বের সমস্যা চিহ্নিত করতে গিয়ে তিনি অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মন্তব্য তুলে ধরেছেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রবার্ট দালের প্রশ্ন ১. এসব দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসলে গণতান্ত্রিক কি না এবং গণতান্ত্রিক হয়ে থাকলে কম বা বেশি অগণতান্ত্রিক আবরণ দ্বারা কলুষিত কি না; ২. নির্বাচনী ব্যবস্থার কোনো ব্যবস্থায় প্রাপ্তবয়স্ক ও ভোটার হওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তির ভোটাধিকার অস্বীকার করা হয়েছে কি না। দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের উত্তর হবে-হ্যাঁ।
স্টিফেন হ্যাগারড ও রবার্ট আর কাউফস্যারের মতে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর গণতান্ত্রিক শাসনের সমস্যা এখানে নির্বাচিত সরকারগুলো ক্ষমতার অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত গণতন্ত্রের স্বার্থেই।
মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী পি হান্টিংটন ‘দ্য থার্ড ওয়েভ’ বইয়ে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের তরঙ্গ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছেন, ১৮২৮ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত ছিল প্রথম তরঙ্গ, বিপরীত তরঙ্গ ছিল ১৯২২ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত। গণতন্ত্রের দ্বিতীয় তরঙ্গ ছিল ১৯৪৩ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত। বিপরীত তরঙ্গ ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৫। তৃতীয় তরঙ্গ ১৯৭৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত।
সামরিক বাহিনী যে নিজেদের অত্যন্ত সুশৃঙ্খল বলে দাবি করে, সেটা প্রমাণিত। কিন্তু তারা বেসামরিক প্রশাসনে জড়িয়ে পড়লে সেই শৃঙ্খলা অনেকটা ভেঙে পড়ে। পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ সেনা শাসন এবং বাংলাদেশ আমলে জিয়া, এরশাদ ও ১/১১-পরবর্তী শাসন সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা কিছুটা হলেও ব্যাহত করেছে।
আমীর খসরু তাঁর বইয়ে দেখিয়েছেন, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মুরব্বিদের তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো গণতন্ত্র উদ্ধার প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেন এর জ্বলন্ত প্রমাণ। এসব দেশে তাদের দখলদারি সমাজ জীবনে স্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছে; গোষ্ঠীগত ও জাতিগত সংঘাত বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে খসরু ১৯৭২-৭৫ সালের বেসামরিক শাসনকে ক্ষমতা ব্যক্তিগতকরণ বলে চিহ্নিত করেছেন। শেখ মুজিব উদার গণতান্ত্রিক পদ্ধতির বদলে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। যদিও এই গণতন্ত্র নিয়ে সামরিক বাহিনীর তেমন মাথাব্যথা ছিল না। তারা চিন্তিত ও শঙ্কিত ছিল জাতীয় রক্ষীবাহিনী নিয়ে। প্রচার করা হচ্ছিল যে, শেখ মুজিব সেনাবাহিনী বিলোপ করে রক্ষীবাহিনীর হাতেই ক্ষমতা ন্যস্ত করবে। পঁচাত্তরের প্রথম সেনা অভ্যুত্থানের পেছনে এটাও কাজ করেছে। বিস্ময়কর হলো, সেই ‘বিজাতীয়’ রক্ষীবাহিনীকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আত্তীকরণ করা হয়েছে সামরিক অভ্যুত্থানের পর।
আমীর খসরু ১৯৭৫-৮১ সালকে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের শাসন বলে চিহ্নিত করেছেন। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনী থেকে এসেছেন, সেনাবাহিনী ছিল তাঁর ক্ষমতার উৎস। আবার সেনাবাহিনীর একদল ক্ষুব্ধ কর্মকর্তার হাতেই তাঁর জীবন দিতে হয়েছে।
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের সেনা অভ্যুত্থান ছিল ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত ক্ষোভ থেকে। রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো অভিপ্রায় বা সামর্থ্য তাদের ছিল না। এ কারণে তারা যেই আওয়ামী লীগ সরকারকে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা বলে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের প্রায় সব মন্ত্রীকে নিয়ে সরকার গঠিত করলো। কিন্তু ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এসেছেন রাষ্ট্রক্ষমতায় সেনাবাহিনীর অংশীদারত্বের স্লোগান তুলে।
এরশাদ বলেছিলেন, ‘আমাদের সমাজে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে সাংবিধানিক ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ স্থির করতে হবে।’ এরশাদ কখনোই সামরিক থেকে বেসামরিক ব্যবস্থায় রূপান্তরের চেষ্টা করেননি বলে আমীর খসরু মন্তব্য করেছেন। কিন্তু আমরা নব্বইয়ে সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটতেও দেখেছি। এরশাদ দ্বিতীয়বার সামরিক শাসন জারি করতে চাইলেও তৎকালীন সেনাপ্রধান রাজি হননি।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখলাম জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময়ও। শেষ মুহূর্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের শাসন স্থায়ী করতে সেনাবাহিনীর সমর্থন চেয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, তারা জনগণের বিপক্ষে যাবে না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।
আমীর খসরু সামরিক শাসনকে অনুন্নয়নের কাল বলে অভিহিত করেছেন। এ সময়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ে, এটাও অসত্য নয়। কিন্তু আমাদের কথিত গণতান্ত্রিক শাসকেরাও মুখে যতই উন্নয়নের কথা বলুন না কেন, জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে তারা সামান্যই ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশে প্রথম সাড়ে তিন বছরের বেসামরিক শাসন বাদে সব সরকারই সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে খুশি রাখতে সচেষ্ট থেকেছে।
আওয়ামী লীগের চার রাষ্ট্রীয় মূল নীতি, বিএনপি’র ১৯ দফা, এরশাদের ১৮ দফায় জনকল্যাণমুখী অনেক কথা থাকলেও তারা কেউ জনগণের মৌলিক অধিকার তথা-অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেনি।
বাংলাদেশে সামপ্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, ৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন কিংবা দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে আনার কার্যকর ও টেকসই সংস্কারের কোনো কর্মসূচি নেই। সব শাসকই জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের কথা বলে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
১৯৯০ সালের ১৯শে নভেম্বর তিন জোটের রূপরেখায় হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের অবসান এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার কথা বলা হলেও বারবার তাতে ছেদ ঘটেছে কথিত গণতান্ত্রিক শাসকদের অগণতান্ত্রিক ও জবরদস্তি শাসনের কারণে। গণতন্ত্রের সংকট যে কেবল তৃতীয় বিশ্বের সামরিক শাসনোত্তর দেশগুলোতেই জেঁকে বসেছে তা-ই নয়, যেসব দেশে সামরিক শাসন কখনো জারি হয়নি- সেসব দেশও এই সংকট থেকে মুক্ত নয়। প্রবল অর্থনৈতিক বৈষম্য জিইয়ে রেখে ধর্ম ও গোষ্ঠীতন্ত্রকে উস্কে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন যে সোনার পাথরবাটি, সেটা পুরনো গণতান্ত্রিক দেশগুলোও প্রমাণ করেছে।
গণতন্ত্র মানে সমতার ভিত্তিতে একসঙ্গে চলা। কিন্তু আমাদের পূর্বাপর সরকারগুলো চলেছে-একলা চলার নীতিতে। কে কার থেকে বেশি গণতান্ত্রিক, সেটা প্রমাণ না করে তারা প্রতিযোগিতায় নেমেছে কে কার চেয়ে বেশি অগণতান্ত্রিক।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিসরে গণতান্ত্রিক শাসনের সংকটের স্বরূপ বুঝতে আমীর খসরুর বইটি পড়ুন।
সংকটে গণতন্ত্র: সামরিক শাসনোত্তর বেসামরিক শাসনের সমস্যা, আমীর খসরু, অনন্যা, ৩৮/২ বাংলাবাজার। প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ, দাম: ৫০০ টাকা।