প্রশাসনের মূলকেন্দ্র সচিবালয়ে এক প্রকার বিরাজ করছে বিশৃঙ্খলা। সব দাবির গন্তব্য যেন এখন জনপ্রশাসনে। বঞ্চিতের নামে আন্দোলনের মৌসুম বুঝে দাবি নিয়ে শামিল হচ্ছেন জনপ্রশাসনে। প্রশাসনে গতি ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানান উদ্যোগ নিলেও এখনো তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
নিজেদের নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত কর্মকর্তারা। অতীতে বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এমন দাবি করে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত অনেকে। এমন অবস্থায় নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার চার মাস পরও শৃঙ্খলা ফিরেনি মাঠ প্রশাসনে। কাটেনি স্থবিরতা। অনেকটা গতিহীন অবস্থায় চলছে মাঠ প্রশাসন। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমান জনবান্ধব সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ২০শে আগস্ট সব জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করেন। তবে পরবর্তীতে পদায়নকৃত ডিসিদের মধ্যে ৫৬ জনই ছিল পতিত আওয়ামী সরকারের তালিকায়। এই নিয়ে তৈরি হয় ব্যাপক বিতর্ক। শুরু হয় অস্থিরতা।
বিগত সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি অংশ চরম দলবাজি শুরু করেছে। অতি উৎসাহী কিছু সরকারি কর্মকর্তা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মতো আচরণ করেছে। এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগীরা দাপটের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে গত ১৬ বছর ধরে যারা বঞ্চিত তাদের ক্ষোভ ও হতাশা আরও বাড়ছে। নিজেদের দুর্নীতির চিত্র আড়াল করতে পদ বঞ্চনার নাটক সাজিয়ে প্রশাসনকে অকার্যকর করার একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে একটি গ্রুপ।
ওদিকে বৈষম্য দূর ও শৃঙ্খলা ফেরানো এবং জনবান্ধব প্রশাসন গড়তে সরকার যে সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়নের আগেই বাগড়া তৈরি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে প্রতিবাদ সভা করেছেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া শুরু হয়। আগেই অবসরে যান এমন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দায়িত্ব দেয়া হয়। সর্বশেষ জনপ্রশাসনের ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে একসঙ্গে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একের পর এক দাবি পূরণ হওয়ায় দাবি পূরণের এই মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। এতে প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসনে এই চরম অস্থিরতা সাধারণ মানুষ ভালোভাবে দেখছেন না। সচিব থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসন পর্যন্ত একই অবস্থা। গত সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকারী সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন বদলি এবং ওএসডি আতঙ্কে। আর এতদিন পদোন্নতি অথবা পদায়নবঞ্চিতরা মরিয়া ওই সব পদে আসতে। মূলত এ নিয়েই তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নানা দাবি-দাওয়া তুলছে বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠন। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে, এমনকি কেপিআইভুক্ত সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে কর্মসূচি পালন করছেন তারা। প্রশাসনকে এসব নিয়ে ব্যতিব্যস্ত রাখছেন তারা।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া এব্যাপারে ‘জনতার চোখ’কে বলেন, প্রশাসনে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অস্থির পরিস্থিতিতে কখনো কাজের গতি ঠিক থাকতে পারে না। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে কাজের গতি অনেক কমে গেছে। এমনকি রুটিন ও জনস্বার্থের কাজগুলোও করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে প্রশাসনে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। একসঙ্গে তো সবকিছু করা যাবে না। কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভেবেচিন্তে। এ ছাড়া সবাইকে খুশি করতে গেলে লেজেগোবরে হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, রাতারাতি কোনো কিছুর পরিবর্তন সম্ভব নয়।
আগস্টে সরকার পতনের পর থেকেই জনপ্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রতিদিন সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এখনো প্রায় দিনই সচিবালয়ে চলছে এই অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে কাজকর্মে মন নেই অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর। আগস্ট থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইংয়ে জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তারা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরাও দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ করেন সচিবালয়ে। সচিবালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেন গ্রাম পুলিশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য এবং পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্যরা। এর বাইরে রাজধানীর হেয়ার রোডে হেয়ার রোড, প্রেস ক্লাব, সচিবালয় এলাকায় মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন।
জনপ্রশাসনে সর্ষের মধ্যে থাকা ভূত তাড়াতে জনগণই একমাত্র ভরসা বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যরা। গত ২৩শে ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কমিশন সদস্যরা এ কথা বলেন। কমিশনের সদস্যরা বলেন, জনপ্রশাসনকে একটি সুন্দর কাঠামোর ওপর দাঁড় করানো সকলের দায়িত্ব। জনগণের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার জন্য জনপ্রশাসন কাজ করবে। সেবাপ্রদানকারী সরকারি কর্মচারীদের কাজ স্বচ্ছ রাখতে এবং নাগরিকদের সেবা পাওয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণের মতামত জরুরি বলে তারা জানান।
এদিকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের খসড়া সুপারিশকে ঘিরে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে ক্যাডারদের মধ্যে। এতে মুখোমুখি অবস্থা বিরাজ করছে প্রশাসন ক্যাডার ও অন্য ক্যাডারদের মধ্যে। গত ১৭ই ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপ-সচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা। এরপর থেকেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন (বিএএসএ) আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। তারা বলেছেন, উপ-সচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্য ২৫ ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ রাখার যে প্রস্তাব জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন আনতে যাচ্ছে তা বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। শুধু সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করলেই হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এ সংস্কার কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপ-সচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়। সরকারের উপ-সচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০ শতাংশ অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী এসোসিয়েশন। গত ২৫শে ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে এসোসিয়েশন এ অনুরোধ জানায়।
অন্যদিকে, উপ-সচিব পদসহ উচ্চতর সচিব পদে কৃত্ত পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ডিএস পুলের কোটা বাতিল, সকল ক্যাডারের সমতা বিধান দাবিতে বিদায়ী বছরের ২৬শে ডিসেম্বর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রশাসন ক্যাডার ব্যতীত আমরা বাকি ২৫ ক্যাডার বঞ্চিত। আমরা কৃত্ত পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় চাই। উপ-সচিব পদে সকল কোটার অবসান চাই। স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে খ্যাত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা কাজ করেছে। এখনো তারা ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এখনো সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বড় বড় পদ দখল করে রয়েছে। তারাই এখন আবার ক্যাডার বৈষম্য সৃষ্টি করছে। এককভাবে তারা বাকি ২৫টি ক্যাডারের সবাইকে বঞ্চিত করে উপ-সচিব পদ সহ বড় বড় পদ নিজেরা নিয়েছে লিয়াজোঁ আর তদবির করে। পরীক্ষা দিয়ে উপ-সচিব পদ সহ সকল স্তরের জন্য পদোন্নতিতে তাদের সমস্যা কোথায়? তারা আরও বলেন, আমরা ক্যাডার বৈষম্য নিরসন চাই। যে যে ক্যাডারে কর্মরত সে সে ক্যাডারের উচ্চ পদে পদোন্নতি পাবে। উচ্চপর্যায়ের সকল পদ শুধু প্রশাসন ক্যাডাররা দখল করে রাখবে তা আর হবে না। দিনের ভোট রাতে হয়েছে এগুলো করেছে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তারা সবসময় কর্তার ভূমিকায় থাকতে চায়। এখন তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করছে।
এদিকে, আচরণবিধির বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক করলো সরকার। ৩১শে ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অসদাচরণের দায়ে তাদের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সরকার। এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনসেবা ও রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সরকারি কর্মচারীদের সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল ও পেশাদার আচরণের ওপর জনপ্রশাসনের সফলতা নির্ভর করে। সমপ্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থি।
সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসমক্ষে কোনো অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ, অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করা বা কোনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে ও অন্যকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা। এ ছাড়া, যেকোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল বোঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করতে বা অন্যকে প্ররোচিত করতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতেও পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর যেকোনো বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
সচিবালয়ে কেন এই অস্থিরতা- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব আবুল আলম শহীদ খান ‘জনতার চোখ’কে বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছে। স্বাভাবিকভাবে সরকার পরিবর্তন হয়ে আসেনি। ফলে অস্থিরতা থাকবে। স্বাভাবিকভাবে সরকার পরিবর্তন হলে এত অস্থিরতা থাকতো না। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই এই অস্থিরতা দূর করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ক্যাডার দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সংস্কার কমিশনের খসড়া সুপারিশের প্রেক্ষিতে হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সুপারিশ হলে তা দূর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।