সা ম্প্র তি ক

মব বন্ধ না হলে সংকট ঘনীভূত হবে

হাসান মামুন | এক্সক্লুসিভ
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫
মব বন্ধ না হলে  সংকট ঘনীভূত হবে

স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা হবে- এটা ধরেই নেয়া হয়েছিল। সাধারণ মানুষও এমন বলাবলি করতেন। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়ও কিন্তু এদেশে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা ঘটে। ৫ই আগস্ট যে পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, তা ছিল নজিরবিহীন। একটি তুমুল রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের ভেতর দিয়েই পতন ঘটে সরকারের। এ অবস্থায় তৃণমূলের সরকার-ঘনিষ্ঠ লোকটিকেও পালিয়ে যেতে হয়। কিন্তু যারা পালিয়ে যেতে পারেনি, তারা স্বভাবতই পড়ে বিপদে। তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আক্রান্ত হয়। হাসিনা সরকারের প্রধান সহযোগী রাষ্ট্রীয় বাহিনী পুলিশও হয় ভীষণভাবে আক্রান্ত। তাদের প্রহরায় নিয়োজিত হতে হয় সেনাবাহিনীকে। এসব আমাদের সবারই জানা। 


মুশকিল হলো, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মব দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা কমে আসবে বলে যে ধারণা অনেকে করেছিলেন, সেটাও সত্য হয়নি। সরকার দায়িত্ব নিয়ে প্রতিশোধমূলক হামলা বন্ধের ব্যাপারে যে আহ্বান জানায়, তাও মানা হয়নি। সরকারও এসব বন্ধে এগিয়ে আসেনি বা আসতে পারেনি। হালে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ‘ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে’ বক্তব্য রাখবেন বলে খবর প্রচারের পর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে তার পিতার রেখে যাওয়া ভবনটি ভেঙে দিতে একদল মানুষ জড়ো হয়। দীর্ঘ সময় নিয়ে ভাঙা হয় ভবনটি। একই ঘটনা ঘটে দেশের আরও কিছু স্থানে। বুলডোজার নিয়ে এসে তা ব্যবহারের প্রবণতাও দেখা যায়। হাসিনা সরকার পতনের ছয় মাস পর নতুন করে এসব ঘটায় গভীর সংশয়পূর্ণ প্রশ্নও জন্ম নেয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে কিছুটা হতবিহ্বল হয়ে পড়তেও দেখা যায়। তবে দেরিতে হলেও তারা এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাতে এগিয়ে আসেন। তখন স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, সরকারের কাজ কি মব ভায়োলেন্সের সময় তা বন্ধে উদ্যোগী হওয়া নাকি বন্ধের আহ্বান জানানো? 


প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানের পর অবশ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবন ও অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুরে উৎসাহ কমে এসেছে। ছাত্র আন্দোলন থেকে আসা একজন আলোচিত উপদেষ্টাও এ বিষয়ে কড়া ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলেন। মব বন্ধ না হলে মবকারীরাও ‘ডেভিল’ বলে বিবেচিত হবেন, এমন একটা বক্তব্য ছিল তার পোস্টে। তিনি সম্ভবত বোঝাতে চেয়েছিলেন- হাসিনা সরকার পতনের পর যেসব মব ভায়োলেন্স চলছে, তার সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্টতা নেই। তার ওই বক্তব্যে কিছু তীব্র প্রতিক্রিয়া হলে তরুণ উপদেষ্টাকে অবশ্য পরে অধিকতর ব্যাখ্যা দিয়ে আরেকটি পোস্ট দিতে হয়। এতে বোঝা যায়, হাসিনা পতনের পর মাঠে থাকা ‘ছাত্র-জনতা’র মধ্যে চলমান ঘটনাবলীর বিষয়ে এক ধরনের বিভক্তি দেখা দিয়েছে। সেটা স্বাভাবিকও। সরকারে থেকে তো আর মব ভায়োলেন্সের ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকা যায় না। সেক্ষেত্রে সরকারের কার্যকর উপস্থিতি নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। এমন প্রশ্ন উঠতে পারে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও। 


গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অস্বাভাবিক নয় বলে ৩২ নম্বরের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়াকেও অনেকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মেনে নিয়েছিলেন। শেখ মুজিবের ভাস্কর্যের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের কিছু স্মারকও ধ্বংস করা হয়েছিল। আশা ছিল, এসবে জড়িতদের ছাড় দেয়া হলেও পরে আর অনুরূপ কিছু ঘটতে দেয়া হবে না। এ অবস্থায় সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে গণতন্ত্রে উত্তরণে মনোযোগ দেয়ার সুযোগ পাবে। যেসব কারণে ঘটনা সেদিকে অগ্রসর হলো না, তার একটি হলো মব ভায়োলেন্স বন্ধ না হওয়া। একে শুরুতে অবশ্য ‘মব জাস্টিস’ই বেশি বলা হতো। কিন্তু দলবদ্ধ বিশৃঙ্খল জনতার পক্ষে তো ‘জাস্টিস’ করা সম্ভব নয়। বিধিবদ্ধ আদালতই কেবল পারে তা নিশ্চিত করতে। আমাদের মতো দেশগুলোয় তো আদালত বা বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্নের অন্ত নেই। বিচার বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্যে কমিশনও গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এমনও বলা হচ্ছে, বিচার বিভাগ পক্ষপাতমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারলেও হাসিনা সরকার ওইরকম দানব হয়ে উঠতে পারতো না। ওই সরকারের ঘনিষ্ঠদের প্রতি জনতার ক্ষোভ তাই স্বাভাবিক। পতনের পরও শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত তাদের মধ্যে অনুশোচনার অনুপস্থিতি এ ক্ষোভ বাড়িয়েও তুলছে। কিন্তু ক্ষোভ থাকলেই যেনতেনভাবে তা প্রকাশ করা যায় না একটা গণতন্ত্রে। চর্চার অভাবসহ নানা কারণে আমাদের গণতন্ত্র অবশ্য অবিকশিত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু আমরা তো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই লড়ছি। সন্দেহ নেই, গণতন্ত্রের ন্যূনতম চর্চা অব্যাহত থাকলেও হাসিনা সরকারকে এমন পতনের মুখোমুখি হতে হতো না। এদেশে গণ-আন্দোলনের মুখে সেনাশাসক এরশাদের পতন হলেও তাদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা কিন্তু তুলনায় খুবই কম হয়েছিল। তাকে দেশ ছেড়েও যেতে হয়নি। জেলে থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি পাঁচ-পাঁচটি আসনে জয়ীও হয়েছিলেন। কোনো সন্দেহ নেই, নিজ কৃতকর্মে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা অনেক বেশি জনরোষের মুখোমুখি। কিন্তু একটি সরকার যখন দেশ পুনর্গঠনের দায়ি?ত্ব নিয়েছে, তখন তাকে সৃষ্ট জনরোষও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রেও কোনো গোষ্ঠী যেন ‘তাৎক্ষণিক বিচারে’ উদ্যোগী হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার পতনের ছয় মাসের মাথায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন স্থানে যা ঘটে গেছে, সেটাকে সর্বোচ্চ নৈরাজ্য বলে চিহ্নিত করেই এখন এগোতে হবে সরকারকে। 


কেবল ক্ষমতাচ্যুত সরকারের লোকজন ও তাদের সম্পদ মবের শিকার হয়েছে, তা কিন্তু নয়। নিছক সন্দেহবশত নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও এর মধ্যে কম ঘটেনি। এসব আগেও ঘটেছে, এটা কোনো যুক্তি নয়। সরকারের তরফ থেকে বলার চেষ্টা আছে, ‘রাজনৈতিক কারণেই’ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ দলের প্রতি ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অব্যাহত সমর্থন রয়েছে, এমন স্পর্শকাতর বক্তব্যও দেয়া হয়েছে সরকারের ভেতর থেকে। কিন্তু কোনো অজুহাতেই দেশের কোনো নাগরিক মবের শিকার হওয়ার সুযোগ নেই। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঘটনাবলীর ওপর অতিসমপ্রতি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে হাসিনা পতন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে মব ভায়োলেন্স নিয়েও জানানো হয়েছে উদ্বেগ। এতে ধর্মীয়, জাতিগত সংখ্যালঘুর ওপর হামলার পাশাপাশি মাজার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও তুলে আনা হয়েছে। মবের শিকার হয়েছে একশ্রেণির মিডিয়াও। সাংবাদিকতার মতো পেশায় থেকে যারা স্বৈরাচারী সরকারের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপের বিরোধিতা কেউ করে না। কিন্তু এক্ষেত্রে বাছ-বিচারহীন পদক্ষেপের পাশাপাশি মবের দ্বারা আক্রান্ত বা হুমকির মুখে পড়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকার যখন মিডিয়ার বাধাহীন ও বলিষ্ঠ ভূমিকা দেখতে চাইছে বলে জানাচ্ছে, তখন মবের দ্বারা তাদের একাংশ আক্রান্ত হলেও সেটা উদ্বেগ তৈরি করবে। এতে সংস্কার ও নির্বাচনের দিকে অর্থবহভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মবের চাওয়া যে সরকারের পথ চলার সঙ্গে সবসময় সঙ্গতিপূর্ণ হবে, তাও নয়। এরই মধ্যে দেখা গেছে, বিশেষত শিক্ষা খাতে মবের তৎপরতায় কিছু তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে সরকারকে। এতে শুধু বিতর্ক বাড়েনি; খোদ শিক্ষার্থীদের জীবনে এর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত তৈরির শংকা। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দাবি ঘিরে গড়ে ওঠা আন্দোলনটাই শেষতক হাসিনা সরকারের পতন ঘটালেও এর ছয় মাস পরও শিক্ষাঙ্গনে ফিরে আসেনি শৃঙ্খলা। এ খাতে ন্যায্য-অন্যায্য দাবি ঘিরে আন্দোলন বারবার উঠে আসছে রাজপথে; তাতে নাগরিক জীবনেও বাড়ছে হতাশা। সিংহভাগ শিক্ষার্থী জড়িত না থাকলেও তাদের নামে যেসব মব হচ্ছে, তাতে শিক্ষার্থীদের ভাবমূর্তিই হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। 


অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল শুরু থেকে মব ভায়োলেন্স বন্ধে তৎপর থাকা। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকার সময় মব দমনে সেনাবাহিনীকেও বেশি তৎপর দেখা যায়নি। শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ আর গোপালগঞ্জে সরকার সমর্থকদের উচ্ছৃঙ্খলতা দমন বাদে কোনো ক্ষেত্রে তাদের জোরালো ভূমিকা কেন দেখা গেল না, তা কারও জানা নেই। সেনাসদস্যরা কিন্তু শুরু থেকেই মাঠে আছে এবং তাদের হাতে ‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা’ও রয়েছে। এদিকে সরকারের ছয় মাস পূর্তির মুহূর্তে একটি বিশেষ অভিযানও শুরু করা হয়েছে। মব ভায়োলেন্সসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এর প্রয়োজন নিশ্চয়ই হতো না। কিন্তু বিশেষ অভিযান চলাকালেও স্পষ্ট নয়- মব বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হবে কিনা। সংবিধান বলবৎ থাকা এবং একটি সরকার গণতন্ত্রে উত্তরণের লক্ষ্যে কাজ করার সময় মব চলতে থাকলে ধরে নিতে হবে, একটি ‘সমান্তরাল প্রশাসন’ও দেশে বিরাজ করছে। এতে অসহায় বোধ করবে শান্তিপ্রিয় মানুষ এবং সে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও হতাশায় ভুগবে। এ অবস্থায় বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর তরফ থেকেও কিন্তু মব ভায়োলেন্সের বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে- এমনকি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান সম্ভবত তাদের আশ্বস্ত করতে পারেনি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে বক্তব্য। সরকারও কিন্তু এ প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে। এখন তাদের কাজ হলো ক্ষমতাচ্যুত অপরাধীদের বিচারে উদ্যোগী হওয়ার পাশাপাশি মবের তৎপরতা বন্ধ করা। সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরও এ সম্পর্কিত যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাটাও তার কাজ। 
ছয় মাসে সরকার প্রত্যাশিত অনেক কিছুই করতে পারেনি। তার সুযোগও কম ছিল বলতে হবে। বিপুল বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করেই তাকে সতর্কভাবে পথ চলতে হচ্ছে। তবে গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ী শক্তির ভেতর থেকে যে মব চলছে, সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা অন্তত জরুরি ছিল। সরকার পণ্যবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না; মবও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। এটা তাদের সক্ষমতার বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে না। আন্তর্জাতিকভাবেও অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি এতে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মব নিয়ন্ত্রণসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সংস্কারের সুযোগও পাবে না সরকার। ‘ন্যূনতম সংস্কার’ করে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে যাওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ জারি আছে অনেকদিন ধরেই; হালে তার ‘রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা’ নিয়েও কোনো কোনো মহলে প্রশ্ন উঠছে। মব বন্ধ না হওয়ার জন্য উপদেষ্টা পরিষদের একাংশ দায়ী, এমন আলোচনাও আছে জনপরিসরে। এটা বাড়তে দেয়া কোনোমতেই উচিত হবে না। মব বন্ধে পুলিশ অকার্যকর হলে সেনাবাহিনীকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে। বিচারহীনতা ও প্রতিশোধের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়ার যে কথা জাতিসংঘ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য শুধু একটি নির্বাচন আয়োজন নয়- মবের সংস্কৃতি থেকেও বেরুতে হবে। মব চলতে থাকলে ক্ষমতাচ্যুতদের অপরাধী অংশের বিচার নিয়েও অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠতে পারে। সংকটে পড়তে পারে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ তৈরির কাজটিও। 


লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

এক্সক্লুসিভ'র অন্যান্য খবর