দেশে চলছে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। অন্তর্বর্তী সরকার সাত মাসের অধিক সময় ধরে ক্ষমতায়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে প্রতিনিয়ত। মোটাদাগে কথা উঠেছে সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার নিয়ে। রাজনীতির ময়দানে এসেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’। রাজনীতির মাঠের এসব নানান বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত টকশো মাতাচ্ছেন বোদ্ধারা। দর্শকরাও রাখছেন চোখ। কিছু টকশোর চুম্বক অংশ থাকছে এই লেখায়...
নতুন বন্দোবস্তের কথা বলা হচ্ছে। আমি কিন্তু নতুন কিছু দেখছি না। এগুলো পুরনো বন্দোবস্তই। তারা একই রকম রেটোরিক ব্যবহার করছেন। কখনো সংস্কারের নামে, কখনো বিচারের নামে। নির্বাচন যদি এক/দেড় বছরের মধ্যে হয়ে যায়... তারা তো (এনসিপি) দল গোছানোর বেশি সময় পায়নি। নির্বাচন পেছানো গেলে দলটা বেশি গোছানো যাবে। জামায়াতও দ্বিমত করছে না। কারণ জামায়াত মনে করছে তারা একটা জোট তৈরি করতে পারবে অন্যান্য ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গে। ছাত্রদের সঙ্গেও একটা ভালো যোগাযোগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান। সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় ‘ঠিকানায় মুহিউদ্দীন’ টকশোতে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. জাহেদ উর রহমান আরও বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা গেলে সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। এটা যেমন সঠিক আবার নির্বাচন চাইলে পলিটিক্যাল পার্টিকে বদমায়েশ বলা হচ্ছে। ১৫ বছর এক দল খেয়েছে, ১৫ বছর আরেক দল খাবে। সরকার যদি আনস্টেবল হয়ে উঠে তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারে। সেটা ১/১১ বা মিলিটারি টেকওভার অথবা সো কলড একটা বিপ্লবী সরকারের আলোচনা করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে আরেক আলোচক যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা বলেন, পরাজিত শক্তি ফোনে হুমকি দিচ্ছে। সীমান্তের কাছেই আছি। ধরে ধরে শিক্ষা দেবো... এই কথার প্রতিক্রিয়া সবার কাছেই ভিন্ন রকম। সবার কাছেই হাসি পায়। হরতাল দিলো সে হরতাল কী হলো আমরা দেখলাম। যে মানুষগুলো মাঠে থেকে আন্দোলন করলো। অফিস থেকে দেখলাম, পুলিশ আসলো, পুলিশ চলে গেল। এরপর আসলো ছাত্রলীগ-যুবলীগ। আমরা চোখের সামনে দেখলাম চার থেকে ছয় জন পড়ে গেল। ওই আন্দোলনে যারা ছিল তারা কিন্তু এখনো সুস্থভাবে চিন্তা করছে না। যার বন্ধু, সহকর্মী যারা একসঙ্গে স্লোগান দিয়েছে তার কাছে কিন্তু এটা হাসির জায়গায় থাকে না। তার কাছে প্রতিক্রিয়াটা ভিন্ন হয়।
তিনি বলেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি একটা উচ্চ ধারণা ছিল। কিন্তু এই গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। ভারত ঝড়ের কোনো পূর্বাভাস পেলো না। শেখ হাসিনা জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ১৪শ’ মানুষকে হত্যা করে পালিয়েছে। শেখ হাসিনা তখনই দেশে আসবে যখন ১৪ হাজার মানুষ হত্যা করার শক্তি পাবে। সেটা তো সম্ভব না।
ভারত প্রসঙ্গে জাহেদ উর রহমান যোগ করেন, শেখ হাসিনার আমলে প্রশ্ন করা হলে ভারত বলতো স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, উন্নয়ন করছে এরকম কথা। এখন বলছে, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন।
‘ঠিকানায় মুহিউদ্দীন’ অনুষ্ঠানের আরেক পর্বে যোগ দিয়েছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এক শ্রেণির মানুষকে আরেক শ্রেণির মানুষের পেছনে লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগ আমলে। নানা ধরনের আর্গুমেন্টেও নারী-পুুরুষকে আনা হয়েছে। নারীদের পোশাক, চলাফেরা ইত্যাদিকে নিয়ে এমনভাবে বাতাবরণ করা হয় যেন প্রত্যেকটা মানুষ নারীদের বিপক্ষে। কিন্তু এই গোষ্ঠীটা খুবই ছোট। যে বক্তব্যগুলো বিভাজিত করা যায় সেগুলোই বারবার সামনে আনা হয়। নারীদের, পুরুষদের পোশাক কী হবে সেটা নিয়ে আর্গুমেন্ট করার বিষয় না। কোনো কিছুর বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি করতে হয় তাহলে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে উদ্যোগ নেয়া হোক।
তিনি আরও বলেন, নারী সেল বা উইং করেও একটা বিভাজন করা হয়। নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে এমন একটা বাংলাদেশ চাই যেখানে ২৫ শতাংশ, ৩৩ শতাংশ নারী রাখতে হবে- এটা বলতে না হয়। আওয়ামী লীগ সামাজিকভাবে আমাদের বোঝাপড়ার জায়গাটা নষ্ট করেছে। মোরাল পুলিশিং কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
এই অনুষ্ঠানে আরেক আলোচক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বলেন, পপুলিস্ট কথা বললে কিন্তু সবসময় চলে না। কোনো রাজনৈতিক দল, ইসলামিক দল নারীর সঙ্গে কী আচরণ করবে সেটা স্পষ্ট করে না। সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মীয় মত থাকার কারণে পারিবারিক আইন করে রেখেছেন। এর কারণে সনাতন, খ্রিষ্টান নারীদের দায় বহন করতে হয়। যদি এই অসমতার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস না থাকে তাহলে কিসের নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্ত? গ্যালিলিও বারবার বলেছিলেন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। এ কারণে তাকে বন্দি করা হয়েছিল। তাতে তো সত্য পরিবর্তন হয় নাই।
তিনি আরও বলেন, যে স্পিরিট থেকে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। আন্দোলনের সময় কিন্তু ওড়না নিয়ে কথা হয়নি। আন্দোলনের সময় ওড়না ছাড়া একটা মেয়ে প্রিজন ভ্যানের সামনে বুক পেতে দিয়ে একজনকে বাঁচিয়েছিল। তখন কিন্তু কেউ প্রশ্ন করে নাই মাহরাম আছে কী নাই।
এসএ টিভির লেট এডিশন পর্বে যোগ দিয়ে জি-নাইনের সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিভিন্ন দেশ মৃত্যুদণ্ড থেকে বেরিয়ে আসছে। অন্তর্বর্র্তী সরকারের অবস্থান কী হবে সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে না। ৭ মাস আগে থেকেও অনেককে বলতে শুনেছি, আওয়ামী লীগ পুলিশ নিয়োগ করেছিল। তাদেরকে লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছিল আওয়ামী লীগ। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় পুলিশরাও লাঠিয়াল হয়ে উঠেছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঠিক করতে যে নতুন রক্ত প্রভাবের প্রয়োজন সেটি নিয়ে কোনো কাজ করে নাই। অভ্যুত্থানের শক্তির পক্ষের কিছু লোককে শর্ট ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের কথা উঠেছিল। সেটি যদি করা হতো তাহলে এই সাত মাসে কিছু নিয়োগ দেয়া যেতো। এই যে সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা লোকদের পুলিশে আনা হচ্ছে, এ দিয়ে উন্নতি হবে না। আমরা যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছি তারাও কিছু বুঝি না। বোঝে শুধু যারা চেয়ারে যায়।
সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, কয়েকটি সেক্টর আছে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে তা সংস্কার করা সম্ভব নয়। এই যে পেশাজীবীদের রাজনীতি কী আদৌ দরকার আছে? গ্রহণযোগ্য ছাত্ররাজনীতি নেই। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো এই সংস্কার করতে পারবে না। কারণ তাদের দরকার আছে দল চালাতে। পেশাজীবী ও ছাত্ররাজনীতি নিয়ে এই সরকারের সুযোগ ছিল সংস্কার করার; তা নিয়ে কোনো কথা নাই।
চ্যানেল ২৪-এর ‘মুক্তবাক’ টকশোতে বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরীর একটি কথা ভাইরাল হয়। তিনি তাতে বলেছিলেন, যদি বিএনপি একটা ধাওয়া দেয় কারও অস্তিত্ব থাকবে না। এর জবাবে এই টকশোতেই এনসিপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন বলেন, বিএনপি যদি সত্যিই গত ১৫ বছর ধরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতো, তাহলে আজ ১৪০০ প্রাণ ঝরে যেতো না, এত মানুষ অন্ধ বা পঙ্গু হয়ে যেতো না। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় নতুন দল হিসেবে তাদেরকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সম্মান না পাওয়া ও ছোট করে দেখার প্রবণতা। গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের অবদানকে অবহেলা করা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় লিখেছে, অথচ আমাদের কথা ও অবস্থানকে খাটো করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি গত সাত মাসে ৩ হাজার সদস্যকে বহিষ্কার করেছে বলে গর্ব করছে, যদিও এটি মোটেও গর্বের বিষয় নয়। বরং এটি দলটির অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনারই প্রমাণ। আমরা পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরে যেতে চাই না। আমাদের দলের কেউ বাজারে গিয়ে দাবি করে না যে, পুরো বাজার তার দখলে, অথবা তাকে না জানিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। অপরাধ প্রমাণিত হলে যেই হোক, আইন অনুযায়ী তার বিচার হতে হবে। গত ১৫ বছরে একটি দানবীয় সরকার জনগণের ভোটাধিকার ও মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নাজুক পরিস্থিতিকে তুলনা করা বাস্তবতা বিবর্জিত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শাসন বা দখলদারিত্বের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের এসব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
যমুনা টেলিভিশনের ‘২৪ ঘণ্টা’ টকশোতে যোগ দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ভোট দেবে জনগণ। গণপরিষদ কী এর উত্তর রিকশাচালক, ভ্যানচালক কিংবা শিক্ষিত মানুষদেরও কাছে পাবেন না। ১/১১ সরকার শুরুতে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেছিল। এই সরকার এনজিও ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী-কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে আপন মনে করছে না। তারা কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের মধ্যে লিপ্ত রয়েছে। সংস্কার ও বিচারের জন্য মুখিয়ে আছে তাহলে আপনি (সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম) কেন পদত্যাগ করলেন? দলগঠন তো একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এরকম হলে কী কেউ একটা দল গঠন করলে প্রধান উপদেষ্টা কী সেখানে এসে বসে যাবেন? সেটা তো কেউ মানবে না।
তিনি বলেন, জনগণ চায় গণহত্যার বিচার। ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশে থেকে পালিয়ে যাবে- এটা কী গণহত্যার বিচার। হাসিনাকে কেনোভাবে ভারত থেকে আনতে পারবেন না। ভারত দেবে না। এই সরকার হাসিনার বিচার সম্ভব করবে না। সংস্কারের কথা বলে, না করেই পদত্যাগ করলেন। বাকি যে দু’জন উপদেষ্টা রয়েছেন তারা যে নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করবে না তার নিশ্চয়তা কী? আমার ধারণা ছাত্ররা সরকারের ব্যর্থতার দায় নেবে না।
এই টকশোতে বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, সাত মাস এই সরকার ক্ষমতায়। এখনো কেন আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হলো না? রাষ্ট্র অপরাধীকে পাকড়াও করবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে- যাতে দ্বিতীয় অপরাধটা আর না হয়। মিরপুর, উত্তরা, আগারগাঁওয়ের মতো নীরব এলাকা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন মানুষ। সংসদ সদস্যের সাবেক স্ত্রী; যাকে তিনি ২৫ বছর আগে ডিভোর্স দিয়েছেন তার বাসায় কী করে যায়? টাঙ্গাইলে একজন সংসদ সদস্যের বাড়ি পাগল দিয়ে ভরে ফেলে। এগুলো হচ্ছে কারণ রাষ্ট্রের পরোক্ষ মদত আছে। হিযবুত তাহ্রীর ঘোষণা দিয়ে মিছিল করছে। সিগারেট খাওয়া নিয়ে দু’জনকে হেনস্তা করা হলো। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেনে শুনে অপরাধীকে এক অর্থে প্রশ্রয় দিয়ে গেলেন। খুব ভালো করে জানেন ১০টা ছেলে সিগারেট খেলে কিছু হতো না। একটার পর একটা মাজার ভাঙা হচ্ছে। একটাও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলো না।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের সঙ্গে বিএনপি’র কোনো বিরোধ নেই। ২০১৬ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকল সংস্কারের কথা বলেছিলেন। এর বাইরে কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা উপদেষ্টা কিছুই বলেন নাই। তিনি যোগ করেন, এই সংস্কার নির্বাচিত পার্লামেন্ট অ্যাপ্রুভ না করলে কেউ বাস্তবায়ন করতে পারবে না।
এতে আরেক আলোচক এনসিপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন বলেন, নির্বাচন পেছানোর কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের নাই। গণপরিষদ নির্বাচনের পর সংসদ নির্বাচন। এরমাধ্যমে যদি কোনো অসুবিধা হয় তাহলে গণপরিষদ নির্বাচন কাম সংসদ নির্বাচন করুন। আপনারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন। শুধু আমরা ভিন্ন একটা পথ চাইছি মাত্র। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানটাও কিন্তু একটা সংবিধান। সংবিধান মেনে কিন্তু গণ-অভ্যুত্থান হয় নাই।