কূ ট নী তি

চীন-ভারত দ্বৈরথে বাংলাদেশ

মিজানুর রহমান | এক্সক্লুসিভ
এপ্রিল ১২, ২০২৫
চীন-ভারত দ্বৈরথে বাংলাদেশ

ভারত, চীন। এশিয়ার দুই উদীয়মান শক্তি। ভূ-রাজনীতির খেলায় দিল্লি এবং বেইজিং তাদের অবস্থান পোক্ত করেছে অনেক আগেই। রথী-মহারথীদ্বয় নানা ইস্যুতে পরস্পর মুখোমুখি। তবে আঞ্চলিক রাজনীতির মাতুব্বরিতে তারা কখনো কখনো নাটকীয়ভাবে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করে। যেমনটা ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার শাসনের ধারাবাহিকতার প্রশ্নে তারা বাংলাদেশে দেখিয়েছে। বোদ্ধা মহলে একটা কথা বেশ প্রতিষ্ঠিত, তা হলো- এ অঞ্চলে গত পাঁচ দশকে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যেখানে চীন এবং ভারত অনুপস্থিত! 
প্রকাশ্যে, ঘটা করে বা মঞ্চে প্রতিনিধির সশরীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে অন্তত তারা তাদের ‘ছায়া’ রেখেছে। দুনিয়ায় প্রায় দু’শ রাষ্ট্র আছে। সুপার পাওয়ার এবং উন্নত রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যেকের নিজস্ব অবস্থান রয়েছে। ইউরোপ তো এক সুতোয় গাঁথা। বৃটেন বেরিয়ে যাওয়ার পরও ইউরোপের ২৭ রাষ্ট্র পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস রেখে এখনো জোটবদ্ধ। ইউরোপীয়  ইউনিয়ন একসঙ্গে ইউরোপের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। এশিয়ায় এমন জোট কল্পনা করা দূরে থাক, এ অঞ্চলের দূরদর্শী নেতাদের তৈরি করা উপ-জোটও আজ ভাঙনের মুখে। সার্ক তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কারণ ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব। বিমসটেক ভারতের ‘ব্রেইনচাইল্ড’। কিন্তু এরও কাক্সিক্ষত অগ্রগতি নেই পারস্পরিক আস্থার ঘাটতিতে। 


বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার- চতুর্দেশীয় একটি ইকোনমিক করিডোরের আলোচনা বেশ এগিয়েছিল। কিন্তু সেটাও থমকে গেছে। সেখানেও অবিশ্বাস! 
৫ই আগস্টের রক্তাক্ত অভ্যুত্থান বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় নাটকীয় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ভারত ও চীন উভয়ের সমর্থনে প্রায় দেড় দশক কর্তৃত্ববাদী শাসন জারি রাখা শেখ হাসিনার শোচনীয় পতন ঘটেছে ওই দিনে। হাসিনা পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাকে না পারছে ফেলতে, না পারছে গিলতে- এই একটা অবস্থায় পড়েছে ভারত।
বাংলাদেশ চায় শেখ হাসিনার বিচার। এ জন্য তাকে দ্রুত ফেরতের অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু ভারত সে পথে যাবে বলে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। তাছাড়া হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশ নিয়ে এক ধরনের ডিলেমায় রয়েছে ভারত। দেশটির মিডিয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনকে ইস্যু করে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে ব্যস্ত। যদিও বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের বেশির ভাগ ঘটনা ‘রাজনৈতিক’ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত সরকার ইস্যুটি জিইয়ে রেখেছে। এ নিয়ে ক্রমশই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অবনতির দিকে যাচ্ছে। যদিও দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী-উপদেষ্টা পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। দিল্লির বিদেশ সচিবও ঢাকা সফর করে সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে ফিরেছেন। তথাপি সম্পর্কের উন্নতি নয়, বরং অবনতি ক্রমাগত। 


এ অবস্থায় ঢাকার প্রতি বাহু প্রসারিত করেছে চীন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিরল সম্মাননা সহকারে বেইজিংয়ে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর সেরেছেন। সফরটি ‘সফল’ বলে বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও চীন সফর করেছেন। ক্ষমতার সিঁড়িতে অপেক্ষমাণ বিএনপি, উদীয়মান শক্তি জামায়াত এবং ছাত্র প্রতিনিধিদেরও দাওয়াত করে বেইজিং নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের সফরগুলো এমন এক সময়ে সংঘটিত হয় যখন ভারত-বাংলাদশ সম্পর্ক চরম উত্তেজনাপূর্ণ।

বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৮ মাস ধরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সীমিত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের কথিত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ঢাকায় প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। চীনা বিশ্লেষক ঝো বো বিবিসিকে বলেন, ভারতের মতো সমগ্র উপমহাদেশকে দিল্লির প্রভাব বলয়ের অধীনে বিবেচনা করা ঠিক হবে না। এই মনোভাব ভারতের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হবে। এইসব ঘটনার মাঝে বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা সম্ভবত এই বছরের ডিসেম্বরে, নিশ্চিতভাবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।


দুই ‘মহারথী’ রাষ্ট্রের কৌশলী যুদ্ধে বাংলাদেশ যেন ব্যাটল ফিল্ড: অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার এমন শোচনীয় পরাজয় মেনে নিতে পারেনি ভারত। তারা এটাকে তাদের নিজেদের পরাজয় বলে মনে করছে! বাংলাদেশ কিন্তু ভারতকে ছাড়তে বা হারাতে চায়নি। কারণ পারস্পরিক নির্ভরশীলতা। দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সম্পর্ক এমনই। এখানে ভিন্নমত বা সম্পর্কের টানাপড়েন থাকবে, কিন্তু দিন শেষে একসঙ্গে বসবাস করতে হবে ভৌগোলিক কারণে। প্রতিবেশী বদল তো অসম্ভব।


কিন্তু বাংলাদেশে এক হাসিনার ওপর নিবদ্ধ হওয়ায় আজ গোটা দেশটাই হারাতে বসেছে ভারত। সেই সুযোগে বাহু প্রসারিত করে বাংলাদেশকে কাছে টানছে চীন। শুধু বাংলাদেশ নয়, দ্য ইকোনমিস্টের নিবন্ধে উঠে এসেছে কীভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় অন্য দেশগুলোকেও কাছে টানছে চীন। সদ্য প্রকাশিত ওই নিবন্ধে একটি ছবি আঁকা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে এ অঞ্চলে চীন ও ভারতের অবস্থান কীভাবে বদল হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে নিবন্ধে বলা হয়- কলম্বো বন্দরের পূর্বদিকের জেটিতে প্রায়ই ভারত ও চীনের যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে। দক্ষিণে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতাধীন প্রকল্পগুলোর একটি হলো কন্টেইনার টার্মিনাল। পাশে (পশ্চিমদিকে) ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি একটি নতুন টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি করেছে। ওই চুক্তির উদ্দেশ্য এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করা। বাণিজ্য, অস্ত্র বিক্রি ও অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে চীন বহু আগে থেকেই ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তারে তৎপর। পাল্টা জবাব শুরু করেছিলো ভারত। প্রতিবেশী দেশগুলোকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সহায়তা দেয়া এবং চীনা ঋণের কারণে সৃষ্ট দেনার বোঝা থেকে কিছুটা মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান র‌্যান্ড করপোরেশন লিখেছিল, ‘ভারত আর পিছিয়ে নেই, বরং বলা যেতে পারে, কৌশলগত প্রতিযোগিতায় চীনের বিরুদ্ধে জয়ের পথেই আছে।’ কিন্তু গত ১৮ মাসে মালদ্বীপ, নেপাল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ভারতপন্থি নেতারা ক্ষমতা হারিয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রমশ চীনের দিকে ঝুঁকছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের অভিজ্ঞতাও ভালো নয়। সব মিলিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে দেখানোর মতো আঞ্চলিক সাফল্যের কোনো কিছু নয়াদিল্লির ঝুলিতে ছিল না। তাদের ফাইন্ডিংস হচ্ছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের সঙ্গে পেরে উঠছে না ভারত!


ভারত কেন পারছে না, তা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন উল্লেখ করে সেই নিবন্ধে বলা হয়-  ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘সবার আগে প্রতিবেশী’ নীতি গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এর সুফল দৃশ্যমান হয়নি। ভারতের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক মহলে অনেকে আশঙ্কা করছেন, সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির অভাব এবং সমন্বয়ের ঘাটতির কারণেই সুযোগ হাতছাড়া করছে ভারত। ভারতের এই দুর্বলতা আমেরিকা এবং অন্য অনেক দেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এই দেশগুলো চীনকে মোকাবিলায় ভারতের ওপর ভরসা করে। ডনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসাও ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। উদাহরণ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ‘সুইং স্টেট’ বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক (কারণ, পাকিস্তান বহু আগেই চীন শিবিরে ঢুকে পড়েছে)। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ সমর্থক ছিল ভারত এবং হাসিনার ক্রমবর্ধমান একনায়ক হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখেও তারা না দেখার ভান করেছে। এমনকি, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবনতির বিষয়ে আমেরিকার সমালোচনা যেন নরম হয়, সে জন্য ভারতীয় কর্মকর্তারা জোর তদবির করেছেন। তাদের যুক্তি ছিল, হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ কট্টরপন্থিদের দখলে চলে যেতে পারে। ক্ষণিকের জন্য ভারতের এই কৌশল কাজ করেছে। বাণিজ্য, অবকাঠামো ও নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক উন্নতিই হয়েছে। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ালেও নিরাপত্তার প্রশ্নে কখনোই ভারতের বাইরে যায়নি বরং নয়াদল্লিকে অগ্রাধিকারে রেখেছিল হাসিনা সরকার।


কিন্তু ২০২৪ সালের আগ বাংলাদেশে ভারতের সমুদয় কৌশল ব্যর্থ হয়। দ্য ইকোনমিস্টের নিবন্ধ মতে, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন কেবল ভারতীয় গোয়েন্দা-ব্যর্থতাই ছিল না, এটি অঞ্চলটির প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির ত্রুটিও প্রকাশ করে। বাংলাদেশে এখন ভারতবিরোধী মনোভাব তুঙ্গে; ভারতের অনেকে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের খবরে ক্ষুব্ধ। অপরদিকে, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ কিছুটা কমালেও, যেকোনো কৌশলগত সুযোগের সদ্ব্যবহারে ব্যস্ত। গত অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে চার বছরের সীমান্ত উত্তেজনা সমাধান করেছে চীন। আর বাংলাদেশকে এরইমধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আরও ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার আলোচনা চলছে।
ইকোনমিস্টের সেই নিবন্ধ বলছে- হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যমের ভিত্তিহীন খবর থামানোর খুব কমই চেষ্টা করছে ভারত সরকার। যেখানে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই বলা হচ্ছে- আমেরিকা শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে! 


সম্প্রতি, ভারতের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদের কৌশল পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের মন্তব্যটি ছিল এমন ‘বিশ্ব খুব দ্রুত বদলে গেছে। কিন্তু আমরা এখনো সেই পুরনো পদ্ধতিতেই কাজ করছি, যা আগে সফল ছিল এবং একই ফলাফলের প্রত্যাশা করছি।’ তার মতে, ভারতকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং দুর্বল প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে পারস্পরিক সুবিধা নেয়ার চিন্তা থেকে সরে আসা উচিত। অন্যরা চান, এই অঞ্চলের তরুণ সম্প্রদায়ের ওপর বেশি মনোযোগ দেয়া হোক, যাতে তারা বেশি সংখ্যায় ভারতে পড়তে যান। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শ্যাম শরণ মনে করেন- পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল সম্পর্কিত ভারতের আরও পারদর্শী কূটনীতি প্রয়োজন। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের স্থানীয় সরকারের আরও বেশি সম্পৃক্ততা জরুরি। 

 

সেই নিবন্ধে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার দেশকে উদীয়মান বিশ্বশক্তি ও নিজেকে গ্লোবাল সাউথের নেতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চান। অথচ আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলছেন, নিজ অঞ্চলেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট নয়। এটি সুনির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত দ্বিধাগ্রস্ত ও সংশয়গ্রস্ত প্রতিবেশীরা বিকল্প খুঁজতে থাকবে, আর সেই সুযোগ নেবে চীন। বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত, চীন দ্বৈরথ বিষয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টও একটি নিবন্ধ ছেপেছে। সেখান প্রশ্ন রাখা হয়েছে- ভারত কি চীনের কাছে দক্ষিণ এশিয়ার মিত্রদের হারাচ্ছে? ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারের অ্যাজাঙ্কট ফেলো নীলন্থি সামারানায়েক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের ‘দিস উইক ইন এশিয়া’য় বলেন, ৫ই আগস্ট হাসিনার আচমকা বিদায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে। নিঃসন্দেহে প্রতিবেশী নেতাদের মধ্যে হাসিনার সঙ্গেই নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠতম ও সবচেয়ে টেকসই সম্পর্ক ছিল। তার এই পরিণতি ভারতের জন্য আঞ্চলিক সম্পর্ক খারাপের দিকে মোড় নেয়ার ইঙ্গিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

এক্সক্লুসিভ'র অন্যান্য খবর