পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ইনোভিশন কনসাল্টিং’ ছয় মাসের ব্যবধানে, চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশব্যাপী যে জরিপ চালিয়েছে, তাতে মাঠে থাকা আলোচিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটির জনসমর্থনই অল্প করে কমেছে। জরিপ অনুযায়ী, সমর্থন স্পষ্টভাবে বেড়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং কিছুটা ইসলামী আন্দোলনের।
ইসলামী আন্দোলন এ মুহূর্তে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আন্দোলনে রয়েছে। তাদের অন্যতম প্রধান দাবি সংসদের উভয় কক্ষে ‘পিআর’ চালু। জাতীয় সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হবে কিনা, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। অথচ তারা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হবে ধরে নিয়ে এর উভয় কক্ষে পিআর চাইছে। ইসলামী আন্দোলন এবং এ ধারার আরও কয়েকটি দল শেষতক ভোটের মাঠে জামায়াতের সঙ্গে থাকবে কিনা, সেটাও বলা যাচ্ছে না। ইসলামপন্থিদের সবাই একজোট হয়ে ‘মধ্যপন্থি’ বিএনপি’র বিরুদ্ধে লড়বে কিনা, এরকম একটা প্রশ্ন কিন্তু বাজারে রয়েছে।
বিএনপি এ অবস্থায় চেষ্টা করছে তাদের একাংশকে কাছে টেনে নির্বাচনে সঙ্গী হিসেবে রাখতে। এটাও উল্লেখ্য- জরিপ অনুযায়ী, জামায়াতের একার ভোট এখনো প্রায় ৩০ শতাংশ। এর সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য দলের ভোট যুক্ত হলে তা বিএনপি’র কাছাকাছি চলে যাবে, এমন ধারণাও রয়েছে। জামায়াতের ভোট এতটা লাফিয়ে বেড়েছে বলে অবশ্য অনেকে বিশ্বাস করতে চাইছেন না। এ-ও ঠিক, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে দলটির ছাত্র সংগঠন যেমন বিপুল বিজয় পেয়েছে; তাতে অনেকের ধারণা, জাতীয় পর্যায়েও জামায়াতের ভোট বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জামায়াত-শিবির বড় ভূমিকা রেখেছে। এ অবস্থায় এর মধ্যদিয়ে সূচিত পরিবর্তনের ধারার বিপুল সমর্থকদের মধ্যে জামায়াতের প্রতি শুভেচ্ছা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে থাকলে অবাক হওয়া যাবে না। দেখা গেছে, আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দিতে পারলে পরবর্তী নির্বাচনে সে দলটি কিছু বাড়তি সুবিধা পায়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অবশ্য নেতৃত্ব দিয়েছে ব্যাপক জনসাধারণের কাছে তখন পর্যন্ত অচেনা ছাত্র-তরুণদের একটি অংশ। অন্তর্বর্তী সরকারেও তাদের ক’জন যোগ দিয়েছেন। তারা এনসিপি নামে রাজনৈতিক দলও প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেটিকে অনেকেই বলছে ‘কিংস পার্টি’। এনসিপি’র প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছার কথা তিনি নিজেও গোপন করেননি।
সত্যি বলতে, গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে উঠে আসা দলটির প্রতি বহু মানুষেরই শুভেচ্ছা ছিল। প্রত্যাশা ছিল, তারা রাজনীতিতে নতুন ধারার সূচনা করবে। সৃজনশীল মডেলে এগোবে। সেটা হয়নি। হলে এনসিপি’র প্রতি শুধু ছাত্র-তরুণ নয়; সমাজের সব স্তরেই জনসমর্থন বাড়তো। মানুষ তো পরিবর্তন চায় এবং চায়, এর সূত্রপাত হোক রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে। এনসিপি’র মাধ্যমে সেটা ঘটবে বলে যারা আশা করেছিলেন, তাদের সিংহভাগ ইতিমধ্যে হতাশ বললে ভুল হবে না। উল্লিখিত জরিপেও এটা প্রতিফলিত। মার্চ মাসে সংস্থাটি যে জরিপ চালিয়েছিল, তাতেও এনসিপি’র প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে মোটামুটি পাঁচ শতাংশ মানুষ। সেপ্টেম্বরে পরিচালিত জরিপে দেখা যাচ্ছে, সে সমর্থনও নিম্নগামী। রাজনীতিসচেতন মহলে এমন ধারণাও তৈরি হয়েছে, এককভাবে অংশ নিলে এনসিপি’র একজন প্রার্থীও জিততে পারবেন না। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে অবশ্য তিন শতাংশ ভোট পেলেও তারা নয়টি আসন পাবেন। তবে সংসদের উভয় কক্ষের বদলে কেবল উচ্চকক্ষে এটা চালু হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি; যেহেতু প্রধান দল বিএনপি বড়জোর উচ্চকক্ষে পিআর মেনে নিতে রাজি মনে হচ্ছে।
বিএনপিকে উপেক্ষা করে তো রাষ্ট্র কাঠামোর কোনো সংস্কার সম্ভব নয়। সরকার তেমন মনোভাব নিয়ে চলছে বলেও মনে হয় না। তারা বরং শুরু থেকে বলে আসছেন, ‘রাজনৈতিক ঐকমত্য’ ছাড়া কোনো সংস্কার নয়। কিছু এজেন্ডা অবশ্য রয়েছে, যেগুলোয় ইতিমধ্যে সবাই একমত। সেগুলোয়ও সরকার খুব একটা এগোতে পারেনি। এ অবস্থায় তারা বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠীর চাহিদামতো সংস্কারে এগোতে চাইলে সেটা রাজনীতির মাঠকে অহেতুক উত্তপ্ত করবে। এরই মধ্যে কিন্তু নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছে সরকার। এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে তাদের তরফ থেকে জটিলতা সৃষ্টির কারণ রয়েছে বলে মনে হয় না। তবে জামায়াতের নেতৃত্বে কিছু দল এরই মধ্যে পিআর চালুর বিষয়ে ‘গোঁ’ ধরেছে মনে হয়। জামায়াত ওদিকে আবার সংসদের সব আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে রেখেছে। তাদের অনেকেই চালাচ্ছেন জনসংযোগ।
হালে বিএনপি ২০০’র মতো আসনে প্রার্থী স্থির করেছে বলে খবর হয়েছিল। বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া ওইসব নামধামও প্রকাশ করে কিছু সংবাদপত্র। বিএনপি পরে বলেছে, এ বিষয়ে কথাবার্তা চললেও তারা প্রার্থী চূড়ান্ত করেননি। সত্যিই সেটা না করে থাকলে তারা পিছিয়ে আছেন বলতে হবে। এ অবস্থায় অনেক এলাকায় বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলযোগ কম হচ্ছে না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনে দাঁড়ালেই জিতবো- এরকম একটা মনোবৃত্তি তৈরি হয়েছে বিএনপি নেতাদের মধ্যে। সেজন্য মনোনয়ন পেতে পারেন, এমন সব নেতাই নিজেদেরকে সম্ভাব্য এমপি ভেবে কর্মী-সমর্থকদের প্রস্তুত করছেন। এতে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কলহ।
গণ-অভ্যুত্থানের পর মাঠ পর্যায়ে দখল আর চাঁদাবাজির কারণেও বিএনপি’র একশ্রেণির নেতাকর্মী খুব বদনাম কামিয়েছেন। শীর্ষ নেতার নির্দেশে সাত হাজারের মতো বিতর্কিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরও বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ইতিমধ্যে দলের গায়ে ‘চাঁদাবাজ’ সিল লেগেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ স্বভাবতই তাদের গায়ে ওই সিল দাগিয়ে দিতে দেরি করেনি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর জামায়াতের গায়ে কিন্তু এমন সিল পড়েনি। একই সিল পড়েছে ছাত্র-তরুণদের দল এনসিপি’র গায়েও। জামায়াত বরং প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, তাদের নেতাকর্মীরা এদিক দিয়ে আলাদা। তারা নিজ নিজ পেশায় নিয়োজিত থেকে রাজনীতি করছে। প্রয়োজনে দলকে জোগাচ্ছে অর্থ। ব্যাংক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে কিছু প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছে; যেগুলোয় কাজ করছে দলীয় কর্মীরা। এগুলোর কিছু বিগত সরকারের আমলে স্রেফ দখল হয়ে গিয়েছিল। সবচেয়ে সফল বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের নাম করা যায়। ‘ইসলামী ধারা’র আরও কিছু ব্যাংক একই প্রক্রিয়ায় দখল ও লুট হয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন সেগুলোকে একীভূত করে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হচ্ছে। এমন ঘটনাপ্রবাহেও জামায়াতের প্রতি জনমনে সহানুভূতির সৃষ্টি হয়েছে বললে ভুল হবে না।
জামায়াত সহানুভূতি পাচ্ছে শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক ও প্রশাসনিকভাবে নির্যাতিত হওয়ার কারণেও। শিক্ষাঙ্গনে দীর্ঘদিন তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে রাখার বিষয়টিও ভালোভাবে নেয়নি মানুষ। সাধারণ ছাত্ররাও নেয়নি। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের ফলে এটি ভালোভাবেই প্রতিফলিত। অতঃপর আসছে জাতীয় নির্বাচনেও কি জামায়াতের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ার ঘটনা দেখতে হবে? ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু নির্বাচনগুলোর মধ্যে ১৯৯১ সালে দলটি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল- ১২ শতাংশের বেশি। আসনও পেয়েছিল এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৮টি। জামায়াতের একজন নেতা সমপ্রতি দাবি করেছেন, তাদের ভোট ইতিমধ্যে তিনগুণ হয়েছে। দাবিটি সঠিক হলে জামায়াত ৩৬ শতাংশ ভোট পাওয়ার কথা। তবে উল্লিখিত জরিপ বলছে, তার ভোট মোটামুটি ৩০ শতাংশ।
বাস্তবে ৩০ শতাংশ ভোট কি রয়েছে জামায়াতের? মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ সংগঠনের প্রথম সারির অনেক নেতার ন্যক্কারজনক ভূমিকা কারও অজানা নয়। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে একটা সময়ে এসে প্রকাশ্য রাজনীতির সুযোগ পেলেও জামায়াত যে সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, তাও নয়। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতি পরিচালনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জাতীয় রাজনীতিতে ‘সুবিধাবাদী অবস্থান’ গ্রহণের অভিযোগও কম নেই। এসব সত্ত্বেও কেবল বিগত সরকারের আমলে নির্যাতিত হওয়ার কারণে জামায়াতের প্রতি সমর্থন অনেক বেড়ে গেছে, এমনটা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইছেন না। দু’টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে যে ফল মিলেছে, সেটাকেও ‘শিক্ষাঙ্গনের চিত্র’ বলেই তারা বিবেচনা করতে চান। তাদের মতে, জাতীয় রাজনীতির চিত্রটি ভিন্ন।
উল্লিখিত জরিপে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, তরুণ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিএনপি’র তুলনায় জামায়াতের সমর্থন বেশি। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও বয়স্ক আর কম শিক্ষিতদের মধ্যে আছে তাদের মূল সমর্থন। আসছে নির্বাচনে ভোটারদের একটি বড় অংশ হবে তরুণ ও নতুন ভোটার। আর শিক্ষিত জনগোষ্ঠীটি বিভিন্ন উপায়ে জনমতকে প্রভাবিত করবে। উল্লিখিত জরিপের ফল অনুযায়ী, সে প্রক্রিয়া কি ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে? নইলে জামায়াতের প্রতি ৩০ শতাংশের মতো জনসমর্থন প্রকাশের ঘটনা ঘটে কীভাবে?
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারছে না, এটা মোটামুটি স্পষ্ট। এ অবস্থায় লীগ সমর্থকদের কতো অংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে? আর যারা করবে, তাদের সিংহভাগ কি জামায়াত প্রার্থীদের সমর্থন করবে? জরিপ বলছে, এদের বেশির ভাগ বিএনপিকে সমর্থন করছে। সেটা কিছুটা স্বাভাবিকও বটে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বড় অংশ তো মনে করছে, দেশ আরও দক্ষিণপন্থায় চলে যাবে জামায়াত আসছে নির্বাচনে ভালো করলে। দলটি সরকার গঠন করবে, এটা তারা চিন্তাই করতে পারছে না। তা সত্ত্বেও এদের একাংশ নাকি জামায়াতকে ভোট দেবে! তাদের মনোবৃত্তি বুঝে ওঠা কঠিন। তারা কি দিল্লিতে আশ্রিত শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেবে? আর আছে কি তার জটিল কোনো পরিকল্পনা?
হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগও এক ধরনের ‘রেজিমেন্টেড’ দলে পরিণত হয়েছে বলে অনেকের মূল্যায়ন। সে কারণেই নাকি গণ-অভ্যুত্থানে হাসিনা নেতৃত্বের ভয়াবহ পতন হলেও দলের সিংহভাগ কর্মী-সমর্থক এখনো শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারছে না। আগামী নির্বাচনেও তারা এই মনোকাঠামো অটুট রেখে চলতে পারে। এদের সিংহভাগ ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকেও দূরে থাকতে পারে। দূরে দাঁড়িয়ে হয়তো দেখবে বিএনপি ও জামায়াত নেতৃত্বাধীন দু’টি সম্ভাব্য জোটের ক্ষমতার লড়াই।
নির্বাচনী সেই লড়াই আসতে আসতে আরও জরিপ হবে নিশ্চয়। টালমাটাল পরিস্থিতিতে জনমতও একই রকম থাকবে না। গত ছয় মাসে যে পরিবর্তন এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে- আগামী তিন মাসে হয়তো এর চেয়ে অনেক বেশি পরিবর্তন ঘটবে। উপযুক্ত জরিপ পরিচালিত হলে তার আভাসও আমরা পাবো নিশ্চয়। ইনোভিশন কনসাল্টিং-এর সামপ্রতিক জরিপের ফল জামায়াতে ইসলামীর জন্য উৎসাহব্যঞ্জক, এতে কোনো সন্দেহ নেই। গত ছয় মাসে ভোট কিছুটা কমলেও দলটির প্রতি যে সমর্থন এখনো প্রকাশ পাচ্ছে এবং যে জনগোষ্ঠী তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে, সেটা বিএনপি’র জন্য এক বড় সতর্কবার্তা। বিএনপিকে প্রথমত তার ‘রাজনৈতিক অবস্থান’ স্পষ্ট করতে হবে। দ্রুত সব আসনে মনোনয়ন নিশ্চিত করে বাড়াতে হবে জনসংযোগ। দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারেও মনোনিবেশ করতে হবে তারেক রহমানকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে এসে। তরুণ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর পরিবর্তিত চাহিদা পূরণের মতো ভাষ্য হাজির করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারলে তার পক্ষে ভাসমান ভোটের উল্লেখযোগ্য অংশ কেটে নেয়াটা অসম্ভব তো নয়। ্ত
লেখক: সাংবাদিক, কলাম লেখক