প্রচ্ছদ প্রতিবেদন

নির্বাচন ভণ্ডুল কার লাভ কার ক্ষতি

লুৎফর রহমান | এক্সক্লুসিভ
অক্টোবর ২৫, ২০২৫
নির্বাচন ভণ্ডুল কার লাভ কার ক্ষতি

মাঠে ময়দানে এখন একটাই প্রশ্ন। নির্বাচন কী হবে? রাজনৈতিক দলের কর্মী, সাধারণ মানুষ সবার মুখে মুখে এই প্রশ্ন। নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টা হচ্ছে এই অভিযোগ অনেক পুরনো। এখনো একই অভিযোগ আসছে। এই প্রশ্ন, সংশয় আর অভিযোগের পেছনে নানা আলামতও দেখা যাচ্ছে। আলামত আছে বলেই নির্বাচন হবে কিনা এই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। মানুষের সংশয়ের মাত্রা বাড়ছে। খোদ প্রধান রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এখন নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে কারা নির্বাচন চায় না। কারা নির্বাচন বিলম্ব বা ভণ্ডুল করতে চায়। যারা নির্বাচন বিলম্ব করতে চায় তাদের উদ্দেশ্যইবা কী? তাদের ফায়দা কী? নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কারা? নির্বাচন না হলে দেশের কী পরিস্থিতি হবে? এসব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে চারদিকে। 


অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী মধ্য ফেব্রুয়ারির আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। নির্বাচন কমিশনও এই সময় ধরে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। নেয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। ভোটে লড়তে দলগুলোও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি নিয়ে আছে রকমফের। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ কোণঠাসা অবস্থায় থাকা জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলো নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মাঠে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এই দলগুলো অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে। জামায়াত নেতাকর্মীরা এমন একটা আবহ তৈরি করেছে যেন ক্ষমতায় বসার অপেক্ষায় তারা। 


অন্যদিকে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো নির্বাচন প্রস্তুতি এখনো পুরোদমে শুরু করতে পারছে না। একের পর এক পরিস্থিতি এসে এই দলগুলোকে বিভ্রান্ত করছে। আছে অভ্যন্তরীণ সমস্যাও। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অন্তহীন। 


জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, এর আইনি ভিত্তি নিয়ে পাল্টাপাল্টি চলছে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, গণভোটসহ কয়েকটি ইস্যুতে ইসলামী দলগুলোর জোট রীতিমতো আন্দোলন ঘোষণা করেছে। জাতীয় ঐক্যের আলোচনার মধ্যে এই আন্দোলন এবং ছোট ইস্যুতে বড় জটিলতা তৈরির এসব প্রক্রিয়ার কারণেই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় এবং সন্দেহ দিন দিন বাড়ছে। 
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন নিয়ে নিজের হতাশার বিষয় প্রকাশ করেছেন। তার ভাষায়, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময় না হয়, তার চেষ্টা করছে। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের অর্থনীতি, দেশের রাজনীতি, শিক্ষা, সবকিছু নির্ভর করছে আগামীতে একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর। এ কারণে একটি জাতীয় নির্বাচন হওয়া খুবই জরুরি। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের মহাসচিবের এই সংশয় প্রকাশের পেছনে নিশ্চয়ই বিশ্বাসযোগ্য তথ্য এবং সুনির্দিষ্ট যুক্তি আছে। শুধু মির্জা ফখরুলই নন, আরও অনেক দলের পক্ষ থেকে যথা সময়ে নির্বাচন হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। 


নির্বাচন নিয়ে এই শঙ্কার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল নির্বাচন নিয়ে  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের একেক সময়ে একেক ধরনের বক্তব্য। নানা সময়ে নানা কথা বলায় মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে।  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও শুরুতে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেননি। লন্ডনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি যখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তখন অন্য অনেক দল বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি। এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়। এই বিতর্কের পেছনেও নানা কথা চাউর ছিল। উপদেষ্টাদের কেউ কেউ এই সময়ে নির্বাচন চান না- এমন আলোচনাও ছিল। উপদেষ্টাদের কারও কারও এমন ভিন্ন ইচ্ছা থাকলেও সরকার প্রধানের দৃঢ় ইচ্ছার কারণে নির্বাচন কমিশন মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কমিশনের প্রস্তুতির অনেক কিছুই বাকি।


গত ১৩ই জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকেই আসছে রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হন। সরকারের তরফে এই বার্তা প্রচারের পর অবশ্য অন্যান্য কিছু দল আপত্তি জানায়। বলা হয়, শুধু বিএনপি’র সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা সমীচীন হয়নি। এই সময়সীমা নির্ধারণে অন্যসব দলের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। দলগুলোর এমন প্রশ্ন তোলার পেছনে নির্বাচন বিলম্বের ইচ্ছার প্রতিফলন ছিল বলেও মনে করা হয়।
দীর্ঘ আলোচনার পর জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করে এতে দলগুলো সই করেছে। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সনদে কয়েকটি বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। এর বাইরে সনদে প্রায় সব দল অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে। দুর্ভাগ্য হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি এই সনদে সই করেনি। ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের এই দল জুলাই সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রধান দাবিদার ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে দলটি সনদ সইয়ের অনুষ্ঠানে যায়নি। তারা বলছে, সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত হলে তারা সই করবে। সনদের আইনি ভিত্তির বিষয়েও এখন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সাংবিধানিক আদেশ নাকি নির্বাহী আদেশে এটির আইনি ভিত্তি দেয়া হবে। এই আদেশে প্রেসিডেন্ট নাকি প্রধান উপদেষ্টা সই করবেন তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান দলগুলোর। এ ছাড়া গণভোটে এই সনদ বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হলেও গণভোটের সময় নিয়ে এখনো দলগুলো একমত হতে পারেনি। বিষয়টি ঠেলে দেয়া হয়েছে সরকারের কোর্টে। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এসব বিষয়ে বিতর্ক ও মতভিন্নতা যথাসময়ে নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে সংশয় আরও জোরালো করেছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনগুলোতে একচ্ছত্র জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শিবিরের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ছাত্রদল। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠনগুলোর তরফে নানা অভিযোগ ছিল। সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল একটি সংগঠনকে প্রশাসন সহযোগিতা করেছে। যদিও এই অভিযোগের ভিন্ন ভিন্ন জবাব দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জামায়াতের তরফে বলা হচ্ছে, শিবিরের এই জয় আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। অন্যদলগুলো অবশ্য বলছে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক নয়। 


অনেকে বলছেন, জামায়াত আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিও একই কৌশল নিয়েছে। ছাত্রসংসদ নির্বাচন জামায়াতের একটি নির্বাচনী পরিকল্পনারই অংশ ছিল। এর মাধ্যমে এনসিপিও নিজেদের সমর্থনের বিষয়টি যাচাই করার একটা সুযোগ পেয়েছে। এই নির্বাচনের পর জামায়াত এবং এনসিপি’র নেতাদের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে, চাঁদাবাজি ও অপকর্মের কারণে ছাত্রদলের প্রার্থীদের শিক্ষার্থীরা ভোট দেয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন বিলম্ব হলে জামায়াত নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও গুছিয়ে আনতে পারবে- এমনটাই মনে করছে দলটি। তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে বড় কোনো সংকট পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন দলের কেউ কেউ। 


যথাসময়ে নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের আরেক বড় কারণ প্রশাসন। এখন পর্যন্ত সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী প্রশাসন গড়তে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপি প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিএনপি’র অভিযোগ একটি দলের লোকজন নিয়ে প্রশাসন সাজানো হচ্ছে। বিএনপি কোনো দলের নাম না বললেও নেতারা জামায়াতের দিকেই এই ইঙ্গিত করেছেন। ৫ই আগস্টের পর থেকে দলটির সমর্থকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে বসেছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পদেও তাদের লোকজনের পদায়ন হয়েছে। ওদিকে জামায়াতও বিএনপি’র দিকে উল্টো অভিযোগ তুলেছে। দলটির দাবি প্রশাসন ও বিচার বিভাগে একটি দলের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকেও প্রশাসনে ভাগ-বাটোয়ারার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অবস্থায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে প্রশাসনের নিরপেক্ষতার জায়গাটি যে এখনো প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় রয়েছে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। 


জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নিবন্ধন এবং প্রতীক বরাদ্দ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দলটি শাপলা প্রতীক পেতে দেনদরবার করে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় এই প্রতীক না থাকায় তারা এটি বরাদ্দে অপারগতা প্রকাশ করেছে। নিবন্ধন ও প্রতীক বরাদ্দ না দেয়ায় এনসিপি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দলটির পক্ষ থেকে কমিশন পুনর্গঠনেরও দাবি তোলা হয়েছে। এনসিপি’র তরফে বলা হয়েছে, শাপলা না নিলে নিবন্ধন গ্রহণ করা হবে না। আর নিবন্ধন না দিলে নির্বাচনে অংশও নেবে না। এমনটি হলে নির্বাচন নিয়ে নতুন কোনো মেরূকরণ হতে পারে যা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনকে অনিশ্চিত করে তুলতে পারে। 


যে উপদেষ্টা পরিষদের ওপর একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব এখন সেই উপদেষ্টা পরিষদেরও কারও কারও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতি এমনকি অনিয়ম-দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রকাশ্যেই এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। বিএনপি’র পক্ষ থেকে দলীয় উপদেষ্টাদের অপসারণের দাবি করা হয়েছে। জামায়াতও কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। এনসিপিও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছে। দলগুলোর তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকারকে নির্বাচনকালীন সরকারের আদলে নিতে হবে। প্রয়োজনে উপদেষ্টাদের বহর আরও ছোট করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদের কারও কারও অবস্থান নিয়ে এমন প্রশ্ন সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ড. ইউনূসের সামনে বড় এক চ্যালেঞ্জেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। 


গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া দল এবং শক্তিগুলোর মধ্যে বিবদমান নানা জটিলতার বাইরে অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তিও বসে নেই। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিলের পরিসর দিন দিন বাড়ছে। দলটির পক্ষ থেকে নানা চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচন বানচালে সর্বশক্তি দিয়ে তারা চেষ্টা চালাবে এটি দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ইতিমধ্যে নানা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সামপ্রতিক কিছু ঘটনা ঘিরে নাশকতার প্রশ্ন উঠেছে। সামনে এমন ঘটনা আরও বাড়তে পারে এই আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। যা নির্বাচন আয়োজনের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। 
এখন প্রশ্ন হলো, যথাসময়ে নির্বাচন না হলে কী পরিস্থিতি হতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে লাভবান হবে কারা। অনেকে বলছেন, সরকার ঘোষিত সময়ে নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। এতে যেকোনো শক্তি সুযোগ নিতে পারে। উগ্রবাদী শক্তি উত্থান হতে পারে। স্বাভাবিক উপায়ে যেসব দল ক্ষমতায় যেতে পারবে না তাদের জন্য নয়া কোনো সুযোগ তৈরি হতে পারে। রুদ্ধ হতে পারে গণতন্ত্রে উত্তরণের নিয়মমাফিক পথ। আর এমন কিছু হলে সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের গণতন্ত্র। বাধাগ্রস্ত হবে উন্নয়ন। নষ্ট হবে দেশের ভাবমূর্তি। সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের সাধারণ মানুষ। 

এক্সক্লুসিভ'র অন্যান্য খবর