প্র চ্ছ দ প্র তি বে দ ন

রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির উত্থান

লুৎফর রহমান | এক্সক্লুসিভ
নভেম্বর ২৩, ২০২৪
রাজনীতিতে তৃতীয়  শক্তির উত্থান

ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন অভ্যুত্থানের পর ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে দেশ। সংকট-সম্ভাবনার দোলাচল। রাজনীতিতে নয়া মেরূকরণের লক্ষণ ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আভাস মিলছে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের। 
৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের নজিরবিহীন পতনের পর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে দাবি উঠে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের। তাদের দাবি, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান পুরনো রাজনীতির যবনিকাপাত ঘটিয়েছে। নতুন বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির দুয়ার খুলে দিয়েছে এই অভ্যুত্থান। প্রচলিত দলগুলোকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে তাদের পুরনো চিন্তা ও কৌশল বদলে ফেলতে হবে। বদলাতে হবে দল পরিচালনার নীতি। দলগুলোর প্রতি শুধু এমন দাবি জানালেই যে পরিবর্তন আসবে না এটিও বিবেচনায় আছে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নেতাদের। এ কারণে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের প্রয়োজনীয়তাও অনুধাবন করছেন তারা। এমন একটি শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইতিমধ্যে তৎপরতাও শুরু হয়েছে। রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির উত্থান নিয়ে বাংলাদেশে আলোচনা বহু পুরনো। এক/এগারোর সময়ও এমন আলোচনা সামনে এসেছিল। নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ার বড় চেষ্টাও হয়েছিল। কিন্তু তখন তা হালে পানি পায়নি। কারণ যেসব দল ও পক্ষকে এক করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছিল তাদের কোনো জনসমর্থন ছিল না। রাজনীতির মাঠে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল না। জনমানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যে কারণে তখন বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরে তৃতীয় কোনো শক্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। উল্টো ক্ষমতার ছায়ায় গড়ে ওঠা দলগুলোর কিংস পার্টির খেতাব পেয়েছিল। 


এক/এগারোর সরকার ২০০৮ সালে যে নির্বাচন দিয়েছিল সেখানে এই বিএনপি ও আওয়ামী লীগই ছিল মূল রাজনৈতিক শক্তি। বাকিরা বড় কোনো চমক দেখাতে পারেনি। 
বলা হচ্ছে এবারের প্রেক্ষাপট আর এক/ এগারোর প্রেক্ষাপট এক নয়। এবার ভিন্ন এক পরিস্থিতি হাজির হয়েছে। ছাত্র-জনতা যে নজিরবিহীন অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছে তার মাধ্যমে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি মানুষ অনাস্থা জানিয়েছে। একতান্ত্রিক মানসিকতায় প্রতিষ্ঠিত সরকার ও স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে মানুষ সক্রিয় অংশ নিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য রায় দিয়েছে। আর এটি নিশ্চিত করতে হলে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন বলেও মনে করছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতৃবৃন্দ। 


আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যে সাড়ে তিন মাস সময় পার করেছে। এই সময়ে সংস্কারের নানামুখী পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আলোচনাও আছে। সময়ে সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে যেসব বক্তব্য দেয়া হচ্ছে তাতে সংশয়-সন্দেহও তৈরি হয়েছে দলগুলোর মধ্যে। ঠিক কবে নাগাদ নির্বাচন হতে পারে তার স্পষ্ট কোনো ঘোষণা এখনো দেয়া হয়নি। নির্বাচনের কোনো রূপরেখাও প্রকাশ করা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্য জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নির্বাচনী ট্রেন ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছেন। ট্রেনটি শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে তা অবশ্য খোলাসা করেননি প্রফেসর ড. ইউনূস। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে বল ঠেলে দিয়েছেন তিনি। 
দেড়, দুই বা তারও বেশি সময় পর নির্বাচন হতে পারে- এমন কথাবার্তা অবশ্য সরকারের উপদেষ্টাদের মুখ থেকেই আসছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এ এম এম নাসির উদ্দীনকে। এ ছাড়া অন্য চার কমিশনারও নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এই নির্বাচন কমিশনই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে। নতুন ইসি গঠনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রাথমিক পর্ব শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। 


এখন প্রশ্ন হলো, যখনই নির্বাচন হোক, এই নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নেবে, গণআন্দোলনে বিদায় নেয়া আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে কোনো ফরম্যাটে অংশ নিতে পারবে কিনা? বিদ্যমান দলগুলোর সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল বা শক্তি এই নির্বাচনে যুক্ত হবে কিনা? এসব প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট উত্তর পেতে অবশ্য আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে আপাতত আলামত বলছে, বিদ্যমান দলগুলোর সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নতুন রাজনৈতিক দল বা শক্তির অংশ নেয়া প্রায় নিশ্চিত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতারা ইতিমধ্যে এ ধরনের রাজনৈতিক শক্তি গড়ার তৎপরতা শুরু করেছেন। এটি রাজনৈতিক দল হবে নাকি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হবেন কিনা, সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যেসব নেতা দায়িত্ব নিয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত কী করবেন তা নিয়েও আলাপ আলোচনা হচ্ছে ভেতরে ভেতরে। সূত্রের দাবি, শুধু আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়াদের নিয়ে নতুন দল বা শক্তি হবে না, এতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অভিজ্ঞ ও পরিচ্ছন্ন নেতাদের কাউকে কাউকে এই দলে দেখা যেতে পারে। এজন্য কিছু নেতার সঙ্গে আলাপ আলোচনাও হচ্ছে। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা নেতৃবৃন্দ এবং বাইরের বিভিন্ন দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন হতে পারে নতুন দল বা প্ল্যাটফরম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হবে নাকি তারা নেপথ্যে থেকে কাজ করবে- এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। এই দুই প্ল্যাটফরমের অবস্থান যাই হোক নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানে তারাই নেপথ্যে ভূমিকা রাখতে চাইছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন অবশ্য মানবজমিনকে জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি সিভিল সোসাইটির কাজগুলোই করবে। কিন্তু এখান থেকে একটা অংশ যারা রাজনীতিতে আগ্রহী তারা মিলে একটি রাজনৈতিক দল হতে পারে। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা তাদের সংগঠনের বিষয়ে বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কোনো রাজনৈতিক দলে রূপ দেয়া হবে না বলে আমরা একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমরা আমাদের সংগঠনকে সে রকমই রাখতে চাই। তবে কেউ যদি আলাদাভাবে নির্বাচন করতে চায় সেটি তারা করতে পারেন। 
কার্যক্রম জোরদার করতে ইতিমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে সারা দেশে থানা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিও হচ্ছে সারা দেশে।  কেন্দ্রীয়ভাবে পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। 


এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করতে গত ৮ই আগস্ট গঠন করা হয় লিয়াজোঁ কমিটি। সেদিন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার আগ মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ছয় সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি ঘোষণা করেন। যেখানে সদস্য করা হয়- মাহফুজ আলম, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, আরিফুল ইসলাম আদিব, ভূঁইয়া আসাদুজ্জামান, আকরাম হোসাইন ও মামুন আব্দুল্লাহকে। সেদিন সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, লিয়াজোঁ কমিটি আগামী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে সকল অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ ও প্রস্তাবনার কাজ করবে। লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ঠিক এক মাস পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮ই সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ ঘটে জাতীয় নাগরিক কমিটির। লিয়াজোঁ কমিটির একাধিক সদস্যের সমন্বয়ে এই কমিটির আত্মপ্রকাশ হয়। ৫৫ সদস্যের ওই কমিটিতে মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়। ওইদিন নাগরিক কমিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বলা হয়, রাষ্ট্র পুনর্গঠন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও ‘নতুন বাংলাদেশের’ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল করার লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক অন্যতম সমন্বয়ক ও বর্তমান জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম গত সপ্তাহে টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের বলেন, যে তরুণ প্রজন্ম খুনি হাসিনার পতন ঘটিয়েছে তারা রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা সেটা বাংলাদেশের মানুষই ঠিক করবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বিশ্বাস করি যে, তাদের একত্রিত হয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক দল থাকা উচিত। যখন বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল দুটোর জায়গায় চারটা হবে তখন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মানুষের জন্য কাজ করার যে প্রতিযোগিতা, সেটি বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, জুজুর ভয় দেখিয়ে অনেকে বলছেন মাইনাস ওয়ান, মাইনাস টু ফর্মুলা। আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান বাংলাদেশের ডিমান্ড হচ্ছে মাইনাস টু না বরং প্লাস টু ফর্মুলা। 
সারজিস আলম প্লাস- মাইনাসের যে বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, এটি নিয়ে নানা আলোচনা আছে। এক/এগারোর সময় প্রধান দুই দলের নেতাকে জেলে ভরে মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের চেষ্টা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তখন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের জেলে দেয়া হয়েছিল। কাউকে কাউকে কিংস পার্টিতে যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন মাইনাস চেষ্টা সফল হয়নি; কারণ মাঠের রাজনীতি বা আমজনতা তাতে সমর্থন দেয়নি। বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য উল্টো চাপের কারণ হয়েছিল এই চেষ্টা। এবারো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর মাইনাস চেষ্টার বিষয়ে আলোচনাও এসেছে। বিএনপি’র কোনো কোনো নেতা এই আলোচনা সামনে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে মাঠে কিন্তু এমন কোনো আলামত নেই। বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অবশ্য অন্যরকম দৃশ্য দেখা গেছে। এক যুগ পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সরকার, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা খালেদা জিয়ার প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছেন তাতে বিএনপিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। 


এর বাইরে আওয়ামী লীগকে নিয়ে নানা আলোচনা আছে। দলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও ধোঁয়াশামোড়া। গণহত্যা-লুটপাটে জড়িত নেতারা আর রাজনীতিতে ফিরতে পারছেন না। পরিচ্ছন্ন নেতাদের নিয়ে দল পরিচালনার মতো অবস্থাও তৈরি হয়নি। নির্বাচনের আগে এমন কোনো চেষ্টা হলেও হতে পারে। কারণ প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি চাইছে আসন্ন নির্বাচনে যাতে সব দল অংশ নিতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। বিচারের পর নির্দোষ আওয়ামী লীগ নেতারা রাজনীতি করতে পারবেন- এমন বার্তা  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও দেয়া হয়েছে। 
তাই এবার পুরনো মাইনাস তত্ত্ব ফিরতে পারবে তা খুব একটা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। বরং ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমের প্লাস তত্ত্ব অনুযায়ী সামনে নতুন রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব হচ্ছে এটি জোর দিয়ে বলা যায়। তবে দেখার বিষয়, নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয় নাকি অন্য কোনো উপায়ে। 

এক্সক্লুসিভ'র অন্যান্য খবর