সম্প্রীতিতেই ঐক্য, বিভেদে নয়
গেল সপ্তাহ জুড়েই ছিল অস্থিরতা। অটোরিকশা চালকদের অবরোধ, পুরান ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর, দু’টি বড় পত্রিকা বন্ধের জন্য জিয়াফত আয়োজন, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার, চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে সংঘাত, তরুণ আইনজীবীকে হত্যা- সবখানেই দুশ্চিন্তার বলিরেখা।
স্বস্তি ছিল না এতটুকুও। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঝুঁকিও ছিল কোথাও কোথাও। পাশের দেশের প্রতিক্রিয়াও ছিল লক্ষ্য করার মতো। সাধারণ মানুষের উদ্বেগের সীমা নেই। বিশেষত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় শহর জুড়েই অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ মাত্রেই শান্তি চায়, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিয়ে বাঁচতে চায়।
সপ্তাহের শেষ বিকালে উপদেষ্টা পরিষদের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। আর তা করা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে। সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দ দেখা করে করণীয় নিয়ে কথা বলেছেন। বিএনপি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার তাগিদ দিয়েছেন।
নবনির্বাচিত সিইসি ‘জনতার চোখ’-এর সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রথম ধাপ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আগামী ৬ মাস তা চলবে। এরপর নির্বাচনের অন্যান্য ধাপ। তিনি ন্যূনতম সংস্কার সম্পন্ন করেই নির্বাচন দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। গণতন্ত্রের অনিবার্য শর্ত হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত প্রতিনিধিত্বশীল সরকার। আমরাও বিশ্বাস করি, সকল অন্ধকার দূর হয়ে টানেলের অপর প্রান্তে আলোর দেখা মিলবে।