প্র চ্ছ দ প্র তি বে দ ন

ধানমণ্ডি ৩২ এবং ডেভিল হান্ট নিয়ে বিতর্ক

লুৎফর রহমান | এক্সক্লুসিভ
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫
ধানমণ্ডি ৩২ এবং ডেভিল হান্ট নিয়ে বিতর্ক

কিছু বিষয়কে আওয়ামী লীগ বাড়াবাড়ির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরও এর বাইরে ছিল না। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল তাদের চলাচলের স্বাধীনতা অনেকটা খর্ব করা হয়েছিল। ওই বাড়ির সামনের সড়কটি যখন তখন বন্ধ রাখা হতো। দলীয় কর্মসূচি থাকলে এমনিতে এই সড়ক দিয়ে সাধারণ কেউ চলাচল করতে পারতেন না। ধানমণ্ডি ৩২ ঘিরে পরে যেসব স্থাপনা করা হয় তা সঠিক প্রক্রিয়া মেনে করা হয়নি বলেও অভিযোগ আছে। আর আওয়ামী লীগের এই বাড়াবাড়ি নেতাকর্মী এমনকি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী লুফে নিয়েছিল নিজেদের আখের গুছিয়ে নেয়ার কাজে। সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্ণার প্রতিষ্ঠা, শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নামে প্রতিষ্ঠান গড়ার নজিরবিহীন প্রতিযোগিতা চলেছে। মুজিব বর্ষ পালনের নামে হাজার কোটি টাকা বাতাসে উড়ানো হয়েছে। যেখানে  সেখানে প্রতিষ্ঠান গড়ে তা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা তার পরিবারের সদস্যদের নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে। 


পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল, যে কেউ ধানমণ্ডির ৩২ বা টুঙ্গিপাড়ায়  গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বা মাজারে ফুল দেয়ার ফটোসেশন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে নিজেকে বড় আওয়ামী লীগার বানিয়ে নিতেন। মুজিব কোট গায়ে চড়িয়ে টুঙ্গিপাড়ার মাজারে যাওয়াও একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও টুঙ্গিপাড়া বা ধানমণ্ডি ৩২ এ গিয়ে ছবি তুলে প্রচার করে নিজেদের দলীয় আনুগত্য প্রকাশ করতেন। এটি করে ভালো পদে পদায়ন, পদোন্নতি, লুটপাটের সুযোগ করে নিয়েছিলেন তারা। 


বিদেশি অতিথি কেউ সরকারি সফরে আসলে ধানমণ্ডির ওই বাড়িতে যাওয়া অনেকটা বাধ্যতামূলকই ছিল। ৩২-সহ অনেক বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের এই বাড়াবাড়ি মানুষের মাঝে ক্ষোভ তৈরি করেছিল। ক্ষোভের কারণেই হয়তো কেউ কেউ ধানমণ্ডির ৩২ কে ফ্যাসিবাদীর কেন্দ্র ভূমি বলেও আখ্যা দেন। ৫ই আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর প্রথম দফায় ছাত্র-জনতার তোপে পড়ে। ওই দিন বাড়িটিতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে বাড়িটির কাঠামো ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। গত ৫ই ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ভাঙচুর করে ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় ৩২ নম্বরের বাড়িটি। বলা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তৃতা এই ঘটনাকে উস্কে দিয়েছিল। ৫ই ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে তিনি ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দিয়েছিলেন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে এটি প্রচার করা হয়। অনেকে ধারণা করেছিলেন হাসিনা তার বক্তব্যে গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে পারেন। কিন্তু তিনি সেটা তো করেনইনি উল্টো গণহত্যা নিয়ে এক ধরনের সাফাই গাইলেন। অবলীলায় বললেন আমার কী দোষ ছিল? তার এই বক্তব্য প্রচারের আগেই ছাত্রদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার হলে তারা ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেবেন। সেই প্রস্তুতি নিয়ে সন্ধ্যা থেকেই তারা ধানমণ্ডিতে দলে দলে যেতে থাকেন। রাতে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের আগেই শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর। ঘোষণা দিয়ে এই ভাঙচুর শুরু হলেও সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো প্রস্তুতি ছিল না। রাতে এক পর্যায়ে ভেকু এনে ভবন গুঁড়িয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ততক্ষণে বিক্ষুব্ধ মানুষের সঙ্গে উৎসুক জনতা মিলে এক ধরনের মবের পরিস্থিতি তৈরি হয় যা চাইলেও আর ঠেকানোর অবস্থায় ছিল না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য। সেনাবাহিনীর একটি বড় দল বিক্ষুব্ধদের নিবৃত করতে ঘটনাস্থলে গেলেও নিরুপায় হয়ে তারাও ফিরে যান। পরিস্থিতি এমন হয় যে, ভাঙচুর থামাতে গেলে সেখানে রক্তপাতের শঙ্কা  দেখা দেয়।  


ধানমণ্ডি ৩২ থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর শুরু হয়। আগুন দেয়া হয়। ৫ই আগস্টের পরও এমনটা হয়েছিল। এসব ঘটনার মধ্যেই গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই বাড়িতে লুটপাট হচ্ছে এমন খবরে ছাত্ররা সেখানে গিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে,  কৌশলে এমন খবর দিয়ে ছাত্রদের সেখানে নিয়ে হামলা করা হয়েছে। এটি ছিল আওয়ামী লীগের ফাঁদ। এ ঘটনায় সর্বশেষ বুধবার আবুল কাশেম নামে এক শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা কফিন নিয়ে মিছিল করেন। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার অঙ্গীকার করেন এই মিছিল থেকে।  


যে ৩২ থেকে এসব ঘটনার সূত্রপাত সেই ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ অনেকে এই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকেই দায়ী করছেন। তারা বলছেন, হাসিনা উস্কানি না দিলে ছাত্র-জনতা এই পথে যেতো না। তারা বলছেন, গণহত্যার দায় স্বীকার না করলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। 


বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে এসব ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করা হয়েছে। অভ্যুত্থানের ৬ মাস পর এমন ঘটনা সরকারের দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে। পরিবর্তনের অঙ্গীকারে যে সরকার কাজ করছে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তৈরি করে এসব ঘটনা। 
কেউ কেউ বলছেন, ৫ই আগস্টের অভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশ গড়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এখানে প্রতিহিংসার রাজনীতি থাকতে পারে না। নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার সংস্কৃতিও অগ্রহণযোগ্য। যে সংস্কৃতি খোদ আওয়ামী লীগও গড়ে তুলেছিল। 


রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে হামলা ও স্থাপনা ভাঙচুরের চেষ্টা থামানোর আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। জামায়াত আমীরও দলের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। 
ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি ‘ফ্যাসিবাদের প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করে এক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তারা জুলাই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অনুতপ্ত নয়, বরং দিল্লিতে বসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। গণহত্যার দায় স্বীকার না করলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ৩২ নম্বর ও অন্যান্য স্থানে হামলার বিষয়ে বলেন, এখানে মনে হয় সরকারের ভেতর থেকে সমর্থন রয়েছে। না হলে তো এভাবে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে এই পদক্ষেপ নেয়া কিংবা এই কর্মযজ্ঞে পাবলিককে উত্তেজিত করে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার কথা না। তিনি বলেন, সরকারের উপদেষ্টাদের কারও কারও ফেসবুক লেখাতেও আমরা দেখেছি যে, এটাতে সমর্থন রয়েছে। সরকার যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেয় তাহলে তো নৈরাজ্য তৈরি হবেই। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাও বলছেন, এই ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুবই দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।


হাসিনার বক্তব্য ঘিরে সারা দেশে যখন এক ধরনের মব পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়। ৭ই ফেব্রুয়ারি রাতে প্রচার করা সরকারি বিবৃতিতে হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। তবে সরকারি এ হুঁশিয়ারির পরও আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে গুঁড়িয়ে দেয়া ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির ইট, লোহা খুলে নেয়ার দৃশ্য এখনো দেখা যাচ্ছে। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের অদূরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার বাড়ি ‘সুধাসদন’-এ দুই দিন ধরে আগুন জ্বলেছে। সেই আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস যায়নি কেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। 


অপারেশন ডেভিল হান্ট এবং...: বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর এবং গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় তৈরি হওয়া উদ্বেগের মধ্যেই গত ৮ই ফেব্রুয়ারি অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করে সরকার। এর আওতায় চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানানো হয়। এই অভিযান এমন এক সময়ে শুরু হয় যখন সারা দেশে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। অনেকে মনে করেন এসব থামানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিছু ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা উঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদেরও একটি বার্তা দেয়া হয় অভিযান ঘোষণা করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো না ঘটলেও এমন একটি অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। কারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মানুষের মাঝে যে অসন্তোষ তৈরি করেছে সেটা দূর করতেই এমন একটি অভিযান পরিচালনা নিয়ে ভাবছিল সরকার। 


দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসের মাথায় সরকারের এমন অভিযান নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নাম নিয়ে। আইন বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অতীতে এমন অভিযান করার সময় যেসব প্রশ্ন উঠতো এবারের এই অভিযান নিয়েও প্রশ্ন জারি আছে। অভিযানে সন্দেহভাজন হিসেবে কাউকে ধরা হলেও সে ‘ডেভিল’ বা শয়তান আখ্যা পাচ্ছে। অপরাধী ধরা হলে আইনেই তার বিচারের ব্যবস্থা আছে। ‘ডেভিল’ বা শয়তানের বিচারের কথাতো কোনো আইনে উল্লেখ নেই। বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নাম দিয়ে অভিযান চালানো মোটেও যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন। এভাবে ডেভিল বা শয়তান বলে কারও বিরুদ্ধে অভিযান চালানো আইনের শাসনের পরিপন্থি বলেও তার মত।  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রার শুরু থেকেই বড় রকমের ঝুঁকি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। যে কারণেই সরকারকে হয়তো এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। তবে এর মধ্যদিয়ে কোনো অবস্থাতেই যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন না ঘটে সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ডেভিলের বিচারের জন্য কোনো আইন আছে কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন।  


ওদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ডেভিল হান্টের সঙ্গে মবকেও টেনে এনেছেন। সম্প্রতি মব থামানোর আহ্বান জানিয়ে দেয়া এক ফেসবুক বার্তায় তিনি বলেন, এই মব সংস্কৃতি শত্রুদেরই উপকৃত করছে। তিনি এও বলেছেন, মব বন্ধ না হলে ডেভিল হিসেবে ট্রিট করবো। উপদেষ্টার এই বক্তব্য অনুযায়ী যারা মব চালিয়ে যাচ্ছে তারাও এই ডেভিলের দলে। অপারেশন ডেভিল হান্টে তাদেরও ধরা পড়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত মব সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে তার কোনো উদাহরণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। 


গাজীপুরের ঘটনার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ফাঁদ পেতে তাদের সেখানে ডেকে নেয়া হয়। তারপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়। এলাকার আওয়ামী লীগের লোকজন এই পরিকল্পনা করেছিলেন। ছাত্রদের এই বয়ানের বিষয়ে ভিন্ন কোনো তথ্য প্রকাশ্যে কেউ দেননি। তাতে ধরে নেয়া যায় পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজ করেছে। অনেকে বলছেন, গণহত্যা চালিয়ে ফেরারি হওয়া দল আওয়ামী লীগ ক্ষমা না চেয়ে পুরনো রাস্তা ধরেই ফিরতে চাইছে। তাদের এই ফেরার চেষ্টায় এমন নানা ফাঁদ তৈরি হবে সরকার এবং ছাত্র-জনতার জন্য। গুজব ছড়িয়ে মব তৈরি করাও হতে পারে তাদের কোনো কৌশল। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেয়া এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি, প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেয়ার যে মব চলেছে এতে আওয়ামী লীগেরই লাভ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাইরের দুনিয়ায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার নিয়ে ভুল বার্তা যাচ্ছে এসব ঘটনায়।  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে আরও বড় কোনো ফাঁদ অপেক্ষা করছে কিনা কে জানে? 

এক্সক্লুসিভ'র অন্যান্য খবর