খো লা ক ল ম

ঐক্যমত না ঐকমত্য বিতর্কের শেষ কোথায়?

গাজী আসাদুজ্জামান | মতামত
জুলাই ১৯, ২০২৫
ঐক্যমত না ঐকমত্য বিতর্কের শেষ কোথায়?

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম ঐক্যমত না ঐকমত্য এই বিতর্কে একটি প্রতিষ্ঠানে দু’টি পক্ষ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষ বলছে- ঐক্যমত সঠিক আর অপর পক্ষ বলছে না ঐকমত্য সঠিক। বিতর্ক ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। শেষমেষ দুই পক্ষ টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর এবং প্রতিষ্ঠানের জানালার কাঁচে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। মারমুখী দুই পক্ষই ছাড় দিতে নারাজ। এই বিতর্ক শেষমেষ রাস্তায় গিয়ে ঠেকে। এক পক্ষ রাস্তা অবরোধ করে। অপর পক্ষ রাস্তায় মানববন্ধন আর প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। দুই পক্ষেরই অনড় অবস্থান। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এক পক্ষের রাস্তা অবরোধে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দুই ধারে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার গাড়ি। সারিবদ্ধ গাড়ি আগায়ও না পেছায়ও না। গাড়ির সারি ক্রমশ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যাত্রীসাধারণ হায়-হুতাশ করছে। এম্বুলেন্সের গাড়িগুলোর ভেতর মুমুর্ষূ রোগী। তারা বাঁচলো কি মরলো তাতে দুই পক্ষেরই কিছু যায় আসে না। এটা তাদের কাছে নস্যি। তারা চিৎকার করে বলছে, আমরাই ঠিক, তোমরা ভুল। 


দু’টি পক্ষের রাস্তায় অবরোধ আর মানববন্ধন, সেই সঙ্গে রাস্তায় তীব্র যানজটের খবর পেয়ে পুলিশের বড় কর্মকর্তারা ছুটে এলেন ঘটনাস্থলে। তারা দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বললেন। তারা বললেন আপনাদের সমস্যা কী? কি জন্য রাস্তা অবরোধ করছেন। কেন জনসাধারণকে দুর্ভোগে ফেলছেন। আপনাদের জন্য জনসাধারণের যে ভোগান্তি হচ্ছে তা কি আপনারা বুঝতে পারছেন না। দুই পক্ষের নেতারা বললেন, আমাদের সমস্যার সমাধান করুন; আমরা রাস্তা থেকে চলে যাই। পুলিশের কর্মকর্তা বললেন, আপনাদের সমস্যা বলুন। দুই পক্ষের এক নেতা বললেন, আমরা বলছি ঐক্যমত আর ঐ পক্ষ বলছে ঐকমত্য। আপনি বলুন, কোনটা ঠিক। পুলিশের কর্মকর্তা বললেন, আজ আপনারা রাস্তার অবরোধ তুলে নিন। কাল বিকালে আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে বসে এই সমস্যার সমাধান করবো। পুলিশের আশ্বাসে দুই পক্ষই মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ তুলে নিলো। 


পরদিন বিকালে দুইপক্ষই পুলিশের বড় কর্মকর্তার সঙ্গে বসলেন। পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, আগামী শুক্রবার বিদেশ থেকে বহু ভাষাবিদ এবং বাংলায় বিশেষ পারদর্শী আহমেদ শরীফ ইকবাল আসছেন। তিনি এই সমস্যার সমাধান দিবেন। এ ক’দিন আপনারা আপনাদের কর্মসূচি স্থগিত রাখুন। পুলিশ কর্মকর্তার আশ্বাস পেয়ে দু’পক্ষের নেতারা যার যার মতো চলে গেলেন।   
যথারীতি শুক্রবার সকালের ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামলেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ ও বাংলা ভাষায় বিশেষ পারদর্শী আন্তর্জাতিকমানের ব্যক্তিত্ব আহমেদ শরীফ ইকবাল। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি শেরাটন হোটেলে উঠলেন। সন্ধ্যা সাতটায় তিনি বিবদমান দুইপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন। আহমেদ শরীফ ইকবাল বললেন, “আপনাদের সমস্যার কথা বলুন, কী নিয়ে আপনাদের এই দ্বন্দ্ব?”


এক পক্ষের নেতা বললেন, “আমরা বলছি, ঐক্যমত আর ঐ পক্ষ বলছে ঐকমত্য। এখন আপনি বলুন, কোন্‌টা ঠিক। ঐক্যমত, না ঐকমত্য? এই নিয়েই আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে এত কিছু”। বিশিষ্ট ভাষাবিদ আহমেদ শরীফ ইকবাল দুই পক্ষের কথাই শুনলেন। এরপর বললেন, দেখুন, আপনারা বাংলাদেশিরা শংকর জাতি। বিভিন্ন দেশ থেকে আপনাদের পূর্ব পুরুষেরা এদেশে এসেছেন। কেউ এসেছেন সৌদি আরব থেকে, কেউ এসেছেন ইয়েমেন থেকে, কেউ এসেছেন তুরস্ক থেকে, কেউ এসেছেন ইরাক-ইরান থেকে, কেউ এসেছেন আফগানিস্তান-মঙ্গোলিয়া-তিব্বত-চীন-থাইল্যান্ড-বার্মা-নেপাল-ভুটান-পাকিস্তান থেকে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তারা এদেশে বসবাস করে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলোর মানুষ সাদা চামড়ার আর আফ্রিকার মানুষেরা কালো চামড়ার। তারা একবর্ণের হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে মতভেদ খুবই কম। তারা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সবাই এক। কিন্তু বাংলাদেশিদের মধ্যে এই প্রবণতা নেই বললেই চলে। তারা শংকর জাতি বিধায় তাদের মধ্যে একমত হওয়া খুব-ই জটিল। বাংলাদেশিরা নিজের স্বার্থটাকে বড় করে দেখে। নিজের স্বার্থ ছাড়া তারা কিছুই বুঝে না। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিজের স্বার্থ ছাড়া দেশের স্বার্থ ভাবেননি। নিজের গদি রক্ষার জন্য তিনি পুলিশকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেশের বিরোধী মত দমনে গুম, হত্যা, অপহরণ-এমন কোনো কাজ নেই যে তিনি করেননি। বিরোধী মত দমনে তিনি হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে জেলে পুরেছেন। তবুও তার শেষরক্ষা হয়নি। গণ-অভ্যুত্থানে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে একটি ভিন্ন রাষ্ট্রে। দেখুন, ঐক্যমত আর ঐকমত্য। কোনোটিই বৃহত্তর অর্থে ভুল নয়। শুধু বোঝার ভুল। আপনাদের এ দু’টি শব্দ নিয়ে এত হইচই করার কী আছে? আপনারা না হয় দু’টি শব্দ বাদ দিয়ে একমত হয়ে যান। তাহলে তো ল্যাঠা চুকে যায়। আপনাদের এই বাড়াবাড়ির কারণে জানতে পারলাম জনগণের দুর্ভোগ নেমে এসেছিল। এম্বুলেন্সের মুর্মূষু রোগীরা হাসপাতাল অবধি পৌঁছাতে পারেনি। একজন মুমূর্ষু রোগীকে পথেই মরতে হয়েছে। তার আত্মীয়-স্বজনরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন- “রাস্তায় যদি অবরোধ না থাকতো, মানববন্ধন না থাকতো তাহলে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেয়া যেত। এতে সে হয়তো বেঁচে যেতে পারতো। তাই আবারো বলছি, ঐক্যমত আর ঐকমত্য নিয়ে আর দ্বন্দ্ব নয়। এগুলো ঝেড়ে মুছে আপনারা একমত হয়ে যান। তাহলে আখেরে আপনাদের ভালো হবে। নতুবা আপনাদের পস্তাতে হবে।” দুই পক্ষের নেতারাই ভাষাবিদের এই গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শুনে চুপ হয়ে গেলেন। দুই পক্ষের নেতারাই বললেন, “আমরা আর ঐক্যমত আর ঐকমত্য নিয়ে বাহাস করবো না। আমরা আজ থেকে একমত হয়ে গেলাম।”


সুবেহ সাদেকে মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনিতে ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম থেকে জেগে মনে মনে ভাবলাম  আমাদের দেশেও আমরা একমত হতে পারি কোথায়? নির্বাচন নিয়ে আমরা একমত হতে পারি না, সংস্কার নিয়ে একমত হতে পারি না, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা একমত হতে পারি না, সংসদ নির্বাচন আগে না স্থানীয় নির্বাচন আগে- এই নিয়ে একমত হতে পারি না। কোথায় যেন একটি মতানৈক্য আমাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আমাদের গ্রামের একটি ঘটনার কথা না বললেই নয়। স্বাধীনতার আগে আমাদের গ্রামে তিনজন মাতব্বর ছিলেন। একজনের নাম ছিল ওফাজ মাতব্বর, আরেকজনের নাম ছিল শিফা মাতব্বর, আরেকজনের নাম নওয়াব আলী মাতব্বর। তিনজনেরই বহু অনুসারী ছিল, গ্রামে জনপ্রিয়তাও ছিল। তিন মাতব্বরের মধ্যে ওফাজ মাতব্বর ছিল একটু শিক্ষিত। তার এক ছেলে ছিল, সে বিএ পাস। তিনি ভাবলেন গ্রামে তো কোনো স্কুল নেই; কয়েক মাইল দূরে গিয়ে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে। যদি গ্রামে একটি স্কুল হয় তাহলে আমার ছেলেটিকে এই স্কুলে শিক্ষকতায় নিয়োজিত করা যাবে। তিনি একদিন সকালে চেয়ারম্যানের কাছে গেলেন। চেয়ারম্যানকে বললেন, চেয়ারম্যান সাব আমাদের গ্রামে তো কোনো স্কুল নেই। যদি একটি স্কুল নির্মাণ করে দেন তাহলে ছেলেমেয়েদের অনেক দূরে গিয়ে লেখাপড়া করতে হবে না। তারা নিজ গ্রামেই লেখাপড়া শিক্ষতে পারবে। চেয়ারম্যান সাব বললেন, ঠিক আছে আমি এ ব্যাপারটি মহকুমা প্রশাসকের কাছে পেশ করবো; যাতে তিনি আপনার গ্রামে একটি স্কুল স্থাপন করে দেন। চেয়ারম্যানের আশ্বাস পেয়ে ওফাজ মাতব্বর খুশিমনে বাড়ি ফিরলেন। দুপুর নাগাদ এই খবর নওয়াব আলী মাতব্বরের কানগোচর হলো। তিনি লোক মারফত জানতে পারলেন, ওফাজ মাতব্বর চেয়ারম্যানের কাছে একটি স্কুলের দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান নাকি তাকে আশ্বাস দিয়েছেন গ্রামে একটি স্কুল করে দিবেন। খবরটি পেয়েই নওয়াব আলী মাতব্বর চেয়ারম্যানের কাছে ছুটে গেলেন। এখানে বলে রাখা ভালো নওয়াব আলী মাতব্বরের গোয়ালে শতাধিক গরু ছিল। গ্রীষ্ম মৌসুমে গরুগুলোর ঝাপানোর পানি পাওয়া যায় না। তখন পানির খুব অভাব দেখা দেয়। নওয়াব আলী মাতব্বর মনে মনে ভাবলেন, গ্রামে একটি গভীর পুকুর খনন করা গেলে তার গরুগুলোর ঝাপানোর জায়গার অভাব হবে না। তিনি চেয়ারম্যানের বৈঠকখানায় উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যানকে বললেন, চেয়ারম্যান সাব শুনলাম ওফাজ মাতব্বর নাকি আপনার কাছে এসেছিল। তিনি নাকি একটি স্কুলের দাবি জানিয়েছেন। গ্রামে স্কুলের কোনো দরকার নাই। গ্রামে এমনিতেই কামলা-মজুর পাওয়া যায় না। যদি পোলাপান শিক্ষিত হইয়া যায় তাহলো তো আরও পাওয়া যাবে না। আর তাছাড়া কয়েক মাইল দূরেই তো স্কুল আছে। পোলাপানরা যদি এখন একটু কষ্ট না করে তবে কখন করবে। তার চেয়ে বরং আমাদের গ্রামে সুপেয় পানির খুবই অভাব। লোকজন বিশুদ্ধ পানির অভাবে কলেরা, বসন্ত, টাইফয়েড, আমাশায় ভুগছে। যদি একটি বড় পুকুর খনন করা যায় তাহলে মানুষের পানির অভাব হবে না। রোগবালাইও থাকবে না। আপনি বরং আমাদের গ্রামে বড় খাস জমিটিতে একটি পুকুর খনন করে দেন। চেয়ারম্যান নওয়াব আলী মাতবরের কথা শুনে বললেন, আপনার পরামর্শ ভালো- ঠিক আছে, আমি এ বিষয়টি মহকুমা প্রশাসকের নজরে আনবো। নওয়াব আলী মাতব্বর চেয়ারম্যানের আশ্বাসে পুলকিত হলেন। তার সঙ্গে আসা লোকজনকে নিয়ে বাজারে চা খাইয়ে বিদায় করলেন। এবং মনে মনে ভাবলেন, যাক গরু ঝাপানোর একটা উপায় হলো।
নওয়াব আলী মাতব্বর এবং ওফাজ মাতব্বরের চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়া এবং স্কুল আর পুকুর খননের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি শিপা মাতব্বর তার কাছের লোকদের মুখ থেকে শুনে তিনি আর দেরি করলেন না। মাগরিবের নামাজের পরই রওয়ানা দিলেন চেয়ারম্যানের কাছে। এখানে বলে রাখা ভালো শিফা মাতব্বরের একটি ছেলে আলিম পাস। তিনি মনে মনে ভাবলেন, চেয়ারম্যানের কাছে একটি মাদ্রাসার জন্য বলবেন। কারণ মাদ্রাসা হলে তার ছেলেটিকে শিক্ষক হিসেবে মাদ্রাসায় নিয়োগ দিতে পারবেন। 


চেয়ারম্যান সাব রাতের খাবার শেষ করে উঠতেই তার কাজের লোক এসে বললেন, আপনার কাছে শিফা মাতব্বর এসেছেন। আপনার সঙ্গে তার নাকি জরুরি কথা আছে। তাকে আমি বৈঠকখানায় বসিয়ে রেখেছি। চেয়ারম্যান বললেন- ঠিক আছে তাকে বলো আমি আসছি। 
চেয়ারম্যান সাব পান চিবুতে চিবুতে বৈঠকখানায় এসে হাজির হলেন। শিফা মাতব্বর চেয়ারম্যানকে সালাম দিলেন এবং বললেন, আপনাকে বিরক্ত করলাম। শুনলাম আপনার কাছে নাকি ওফাজ মাতব্বর এবং নওয়াব আলী মাতব্বর এসেছিল। তারা নাকি গ্রামে একটি স্কুল এবং একটি পুকুর খনন করার জন্য আবেদন করেছে। আপনি তো জানেন পাশের গ্রামে একটি স্কুল আছে আর পুকুরের কথা বলছেন। পুকুর তো অনেক বাড়িতেই আছে। তার চেয়ে আমাদের একটা মাদ্রাসার খুবই প্রয়োজন। মাদ্রাসা থাকলে ছেলেমেয়েরা দ্বীনের পথে হাঁটবে। চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ধর্ষণ থাকবে না। আমাদের বরং একটি মাদ্রাসা স্থাপন করে দেন। চেয়ারম্যান সাব সব শুনলেন, এরপর বললেন, দেখি আপনাদের জন্য কী করা যায়।
শিফা মাতবর চলে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান কিছুক্ষণ ভাবলেন। তারপর মনে মনে বললেন কারোটাই করে দেবো না। কারণ ওফাজ মাতবরের কথা শুনলে নওয়াব আলী মাতবর রাগ হবে আবার শিফা মাতবরের কথা শুনলে দুই মাতবরই রাগ হবে। তার চেয়ে বরং কারোটাই করবো না। বুঝলেন পাঠক তিন মত থাকলে কী হয়!


লেখার শেষে আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে বলছি-
এক্সেলেন্সি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আপনি একজন সজ্জন ব্যক্তি। সৃজনশীলও বটে। একজন সাদা মনের মানুষ। একজন নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব। দেশে এবং বিদেশে আপনার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বিশ্বের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের সঙ্গে আপনার একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আপনাকে খু্‌বই সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। আপনিই পারেন অতি সত্বর একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। দিন যত গড়াবে ততই দেশ অরাজকতার পথে ধাবিত হবে। স্বৈরাচারী একটি মহল এবং বিদেশি একটি গোষ্ঠী দেশকে ইতিমধ্যেই বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আপনি সেনাবাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব, পুলিশ আর আনসার সদস্যদের নিয়ে একটি ফেয়ার ইলেকশন দিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনুন। তবেই দেশের ও জাতির মঙ্গল। 

মতামত'র অন্যান্য খবর