সময় বদলেছে। রাজনীতির টেবিলে বেগম খালেদা জিয়া এখন সর্বদলীয় ঐক্যের নাম। আপসহীনতার প্রতীক। দীর্ঘ রাজনীতির নানান বাঁকে তিনি অটল ছিলেন দেশ ও দশের পক্ষে। দীর্ঘ কারাবাস, অসুস্থতায়ও অসুস্থ রাজনীতির দিকে না হেঁটে বিনয়ী ও সৌজন্যতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রাজনীতিতে খিস্তি খেউর-এর বদলে স্বল্পকথার পথেও দৃঢ়তা প্রদর্শন করা যায় তা করে দেখিয়েছেন। সারা দেশ আজ প্রার্থনা করছে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়। উন্নত চিকিৎসা শেষে হাসিমুখে ফিরবেনÑ এমন প্রত্যাশা সকলের।
অন্যদিকে সাবেক আরেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশ থেকে পালিয়ে অন্যদেশে অবস্থান করছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের রায় মাথায় নিয়ে তিনি পলাতক। বলা যায়Ñ হাসিনা আপাতত মাইনাস। কিন্তু খালেদা জিয়া? এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে সারা দেশে হচ্ছে প্রার্থনা। বাংলাদেশের সকল দলমত, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার দৃষ্টি এখন এভারকেয়ার হাসপাতালের দিকে। যেন সকল চোখ গিয়ে মিলিত হয়েছে সেখানে।
এক/এগারোর আমল। এক আড্ডায় কথা হচ্ছিল বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে। ভালো-মন্দ আর ইতি-উতি। উঠে এসেছিল মাইনাস টু ফর্মুলার বয়ানও। এক সময় সেখানে উপস্থিত অভিজ্ঞতালব্ধ সর্বজনশ্রদ্ধেয় প্রাজ্ঞ ব্যক্তি আড্ডায় সরব তরুণ তুর্কিদের থামান। বলেন, তোমরা তো অনেক বললে, যাদের ব্যাটলিং বেগম বলে এত আওয়াজ তাদের ছাড়া এখনো কি সমাধান এসেছে? সকলেই চুপ। আলোচনা ঘুরে যায়।
ওয়ান/ইলেভেন থেকে দীর্ঘ সময় গেছে। জল অনেকদূর গড়িয়েছে। চব্বিশের জুলাই নিয়ে আসে নয়া বাস্তবতা। রাজনীতি নতুন আঙ্গিকে খোলস বদলায়। আগস্টের ৫ তারিখ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। নতুন রাজনীতির বন্দোবস্ত আন্দোলিত করে আম মানুষকে। এত সংস্কারের ভিড়ে সত্যিকার একটি নির্বাচন আয়োজন নিয়েই মানুষের মধ্যে আলোচনা বেশি। এন্তার প্রশ্ন এ নিয়ে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে তো? অথচ সিইসি নিজে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। তারপরও এক অজানা প্রশ্ন সর্বত্র।