সা ফ ক থা

সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত অনেক

হাসান মামুন | মতামত
ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত অনেক

জাতীয় নির্বাচনের যে সময়সীমা ঘোষিত হয়েছে, তার মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে বলা হচ্ছে। মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল হয়েছে এর মধ্যেই। প্রয়োজনে আরও করা হবে। অতীতে যত নির্বাচন হয়েছে, তাতে মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তফসিল ঘোষণার পর অবশ্য মাঠ প্রশাসন চলে যাওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক এ সংস্থার ক্ষমতায় ঘাটতি অতীতেও ছিল, একথা কেউ বলে না। ছিল সদিচ্ছার ঘাটতি। রাজনৈতিক সরকারগুলোও সংস্থাটিকে কাজ করতে দেয়নি, দলীয় স্বার্থে। দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেটা গুরুত্ব পায়নি বলে নির্বাচনগুলো কমবেশি সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে সেটা গ্রহণযোগ্য হয়। জাতীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না। সবচেয়ে বড় কথা, পরাজিত পক্ষ নির্বাচনে আসা গণরায় মেনে নিয়ে সংসদে গিয়ে বসে। দেশ প্রবেশ করে স্থিতিশীলতায়। 
স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে। দেশে স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া বহাল থাকলে গণ-অভ্যুত্থানের প্রয়োজন হতো না; নির্বাচনের মাধ্যমে যা হওয়ার হতো। সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালিত হলে নির্বাচনের মাধ্যমে তো ক্ষমতার ধারাবাহিকতাও বজায় থাকে। ‘ক্ষমতার ধারাবাহিকতা’র ওপর জোর দেয়া হয়; কিন্তু সুষ্ঠুভাবে দেশ চালিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের প্রয়াস নেয়া হয় না। সেজন্যই ক্ষমতায় থেকে; এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অপব্যবহার করে নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টা চালানো হয়। সাম্প্রতিক অতীতে তিন-তিনটি নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কী ধরনের নির্বাচন ছিল সেগুলো, তা সবারই জানা। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে কলুষিত করেও নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা কিন্তু হয়েছিল; যার পরিণতিতে ঘটে ওয়ান ইলেভেন। তখনকার সরকারের হাতে প্রায় দু’বছর পর যে নির্বাচন হয়, সেটা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ওয়ান ইলেভেন সরকারের ভূমিকায় সংশয় রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে যেতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। তারপরও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার স্বার্থে পরাজয় নিশ্চিত জেনেও নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, এমনটি বলা হয়ে থাকে। 
 

এরপর যা যা ঘটেছে, সেটা সবারই জানা। মোটা দাগে বললে, একটা চরম কর্তৃত্ববাদী সরকারের উত্থান ঘটেছে। সে অভিজ্ঞতা জনগণের জন্য ছিল নতুন। আওয়ামী লীগ বাদে দলমতনির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ রাজপথে নেমে সেই সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এর মধ্যদিয়ে যে সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের বলা হচ্ছে ‘অন্তর্বর্তী সরকার’। এ ধরনের সরকারের মেয়াদ শুরুতেই নির্ধারিত হয়ে যাওয়া ভালো। নির্বাচনের মাধ্যমে জনসম্মতির সরকার গঠনের তো কোনো বিকল্প নেই। অথচ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এটা নির্ধারণ করতেই লেগে যায় দীর্ঘ সময়। এর অবশ্য কারণ ছিল। এবারের প্রেক্ষাপট তো ভিন্ন। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুতদের অপরাধী অংশের বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কারের এজেন্ডা ছিল সামনে। যারা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের দাবি জানাচ্ছিল, তারাও এতে আপত্তি করেনি। সরকারও বেশি সময় নিয়েছে আর সেটা মূলত সংস্কার আলোচনায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে। এক্ষেত্রে যে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়েছে, তাও নয়। বরং জটিলতা সৃষ্টির মধ্যে দিয়েই আলোচনা শেষ হয়েছে। তবে এর পরিণতিতে রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে গণভোট হতে যাচ্ছে। গণভোট হবে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গেই। এটাও হতে যাচ্ছে এক নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে তিনটি গণভোট হলেও কখনো জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে এটা হয়নি। 
একত্রে দু’টি নির্বাচন আয়োজন ও সম্পন্ন করা ইসি’র জন্যও বিরাট চ্যালেঞ্জ। তার ওপর গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত ইসি’র তো কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা নেই। কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে তাদের অভিজ্ঞতা অর্জনের ওপর অনেকে জোর দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক ঐকমত্য না থাকায় সেটাও সম্ভব হয়নি। সরকারও এ প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থান নেয়নি। তবে এমন পরিস্থিতিতে জরুরি হলো ইসি’র আইনগত ক্ষমতা, রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ও সদিচ্ছা। নির্বাচন সংক্রান্ত বিধিবিধান নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইসি’র ক্ষমতা হ্রাস নয়; বরং বাড়ানো হয়েছে আরও। তার রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো কোনো দল থেকে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, সেটাও অপসৃত বলা যায়। দল নিবন্ধন ও প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে জটিলতাও কেটেছে। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হয়ে এসেছে। রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে ইসি’র সংলাপও সম্পন্ন। তফসিল ঘোষণার আগে প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো সম্পন্ন বলেই জানানো হচ্ছে। নিবন্ধটি ছাপা হতে হতে তফসিল ঘোষণার দিনক্ষণও স্থির হয়ে যাবে বলে আশা। নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন-তারিখ নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে। নির্বাচন ও গণভোট একযোগে করা যে জটিল, সেটা নিয়েও কথা কম হচ্ছে না। ভোট গ্রহণের সময় কিছুটা বাড়িয়ে কাজটা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের কথা ভাবছে ইসি। 
 

সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান শর্ত অবশ্য সরকারের সদিচ্ছাপূর্ণ সহায়তা। সরকারকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চাইতে হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। তার রাজনৈতিক নিরপেক্ষতায় কোনো প্রকার সংশয় থাকলে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে তা দূর করতে হবে। সমস্যার দিক এটাই যে, মাঠে থাকা রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থকগোষ্ঠীর মধ্যে এখনো সরকারের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় দূর হয়নি। তফসিল ঘোষণার সময় চলে এলেও মাঠেঘাটে অনেকে প্রশ্ন করছে, নির্বাচন আদৌ হবে তো? ইসি তার প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন করে আনছে আর সরকার মাঠ প্রশাসন প্রস্তুত করছে দেখেও মানুষের মন থেকে নির্বাচন নিয়ে সংশয় যাচ্ছে না কেন, এটা সরকারকে নিবিড়ভাবে চিন্তা করে দেখতে হবে। প্রধান দুই দল কিন্তু এরই মধ্যে প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। মনোনয়ন ঘিরে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে সহিংসতাও হচ্ছে। তবে যতটা খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ততটা অবনতি হয়নি। প্রার্থী বদল অবশ্য চলবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত। অনেক আসনে নির্বাচনী প্রচারণাও চলছে পুরোদমে। সরকার নিজেও ভোটদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বাজেট নিয়েছে। গণভোটে মানুষকে সজ্ঞান করার কাজও এবার করতে হবে। কোন কোন প্রশ্নে এটা হতে যাচ্ছে, সেগুলো সবার পক্ষে বুঝে ভোট দেয়া তো কঠিন। এ দিকটা স্পষ্ট না হলে গণভোটে মানুষের অংশগ্রহণ কমার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। কম ভোটার গণভোটে অংশ নিলে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলেও সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। সংস্কার, বিশেষত রাষ্ট্র সংস্কার যে জরুরি, সে বিষয়ে তো কোনো সন্দেহ নেই। 
সুষ্ঠু নির্বাচনের আরেক বড় শর্ত রাজনৈতিক দলগুলোর অবাধ অংশগ্রহণ। নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো দল যেন বৈষম্য বা বাধার মুখে না পড়ে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথাটা এজন্যই বলা হয়ে থাকে। এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কম বলে এটা এখনো জোর দিয়ে বলার প্রয়োজনীয়তা রয়ে গেছে। সরকার ও ইসি কারও দিক থেকেই এক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি রাখা চলবে না। এই দুই পক্ষ চাইলে মাঠ প্রশাসনে কিছুটা দলীয় প্রভাব থাকলেও আমরা অতীতে দেখেছি, নির্বাচন নিয়ে তেমন প্রশ্ন ওঠেনি। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীকেও বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হয়। বিধি সংশোধন করে তাদের অধিকতর ভূমিকা রাখার সুযোগ এবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারপরও এটা ঠিক যে, নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকাই প্রধান। সংস্কারের মাধ্যমে পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে আনার কাজ এগোয়নি, এটা একটা বড় বাধা। লটারির মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাদের রদবদল করা হয়েছে। এটা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠলেও তা মেনে নিয়েছে সবাই। প্রধান উপদেষ্টা তাদের সামনে দেয়া এক বক্তৃতায় আগামী নির্বাচনের ভিন্ন প্রেক্ষাপট ও বিশেষ গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। ভেঙে পড়া ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে পুলিশের জন্য এ নির্বাচন একটা সুযোগ, সন্দেহ নেই। সরকারকেও কাজের মাধ্যমে তাদেরকে পরিচ্ছন্নভাবে দায়িত্ব পালনের স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে। বেসামরিক ও সামরিক উভয় প্রশাসনই সরকারের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচনে ভূমিকা রাখবেÑ এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা। 
 

নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী ঘোষণার পাশাপাশি জোট গঠন আর আসন সমঝোতার আলোচনা চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। প্রতিদিন এ সংক্রান্ত খবর রয়েছে মিডিয়ায়। এর মধ্যে একটি বড় দুঃসংবাদ হলো খালেদা জিয়ার গভীর সংকটজনক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি। তার দল বিএনপি স্বভাবতই খালেদা জিয়াকে নিয়ে ব্যস্ত। রাজনৈতিক অঙ্গনেও দুশ্চিন্তার ছায়া ঘন হয়েছে। তিনি তো মাঠে থাকা সব দলের কাছেই শ্রদ্ধার আসনে আছেন। তবে এ ক্ষেত্রে যেটাই ঘটুক, তাতে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার কারণ নেই। ইতিমধ্যেই এ ক্ষেত্রে অনেক দেরি হয়ে গেছে। সে কারণে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়েছে আরও। আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতির কথা সরকার বাদে কেউ অস্বীকার করছে না। গণ-অভ্যুত্থানের পর মব ভায়োলেন্স চলছেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘মবের সরকার’ বলেও অভিহিত করছে। আর এ ব্যর্থতা নিয়েই সরকারকে যেতে হচ্ছে নির্বাচনে। তবে এমন পরিস্থিতি বহাল রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন সম্পর্কিত গোটা প্রশাসন অবশ্য চলে যাবে ইসি’র অধীনে। বাস্তবতা হলো, সরকার সহায়তা না জোগালে ইসি প্রশাসনকে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নিয়োজিত করতে পারবে না। পুলিশ তার কথা শুনবে বলে মনে হয় না। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো নিজের মতো করে প্রশাসনকে প্রভাবিত করলে পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠতে পারে। এ কাজে পিছিয়ে পড়া দল আবার চলে যেতে পারে নির্বাচন বর্জনে। তফসিল ঘোষণার পর, নির্বাচনের মাত্র ক’দিন আগে তা বানচাল হয়ে যাওয়ার ঘটনা কিন্তু রয়েছে। এর পুনরাবৃত্তি কারও কাম্য নয়। 
কোনো কোনো দল বা পক্ষ থেকে ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ বিবেচনা করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। এটা নির্বাচন আরও পিছিয়ে দেয়ার তাগিদ কিনা, সেটা তারাই জানেন। এ অবস্থায় কথাটি আরও স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন যে, ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। অনেক দরকষাকষির পর নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। বর্তমান সরকারের আমলে, একইসঙ্গে গণভোট আয়োজনের বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে। এ প্রশ্নে কিন্তু দ্বিমত ছিল। সুতরাং এত কিছু হয়ে যাওয়ার পর অন্য কোনো প্রশ্নের আশ্রয়ে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কোনো সংকট তৈরি হতে দেয়া যাবে না। ইসিকে বরং তার কর্তব্যকর্ম পালনে উৎসাহ জোগাতে হবে। আর রাজনৈতিক দলগুলোকে গণরায় মেনে নেয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই এগোতে হবে নির্বাচনের দিকে। জনগণও অপেক্ষা করে আছে পছন্দমতো দল ও প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য। শুধু সরকার নয়; রাজনৈতিক দলগুলোর কথা আর কাজেও যেন মানুষ আস্থা পায় যে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দেশের মালিক হলো জনগণ আর নির্বাচনে তারাই প্রধান অংশীজন। তাদের বিপুল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই হতে হবে অন্য সব পক্ষের লক্ষ্য। এটা অর্জন করা না গেলে আমাদের কপালে দুঃখ আছে। 


লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

 

মতামত'র অন্যান্য খবর