আ ন্ত র্জা তি ক

ভারত-পাকিস্তান পানি লড়াই এবং মার্কোসের কৌশল

মোহাম্মদ আবুল হোসেন | আন্তর্জাতিক
আগস্ট ৩০, ২০২৫
ভারত-পাকিস্তান পানি লড়াই এবং মার্কোসের কৌশল

ভারতের ছেড়ে দেয়া পানিতে ডুবে যাচ্ছে পাকিস্তান। সেখানে পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি। সর্বগ্রাসী রূপ নিয়ে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। এমন অবস্থায় পানিকে ভারত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তান থেকে। উত্তর ভারতে ও পাকিস্তান জুড়ে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে নয়াদিল্লি একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত রাখার অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে। তাদের দেয়া ‘সীমিত সতর্কবার্তাকে’ উদ্বেগ প্রকাশের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করছে। ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত আইডব্লিউটি দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতপ্রবণ সম্পর্কে একটি বিরল সাফল্যগাঁথা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যুদ্ধ ও কূটনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেও এটি তথ্য আদান-প্রদান, পানি বণ্টন ও বন্যা ব্যবস্থাপনার একটি কাঠামো সরবরাহ করেছিল। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নদীর প্রবাহের প্রায় ধারাবাহিক আপডেট হতো, যা হতো সিন্দু কমিশন (পিআইসি)-এর মাধ্যমে। এটি গঠিত হয়েছিল এ উদ্দেশ্যেই। তবে এক দশক ধরে এই ব্যবস্থার ধীরে ধীরে ক্ষয় হচ্ছিল। আর এ বছর কার্যত ভেঙে পড়ে যখন এপ্রিল মাসে পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত চুক্তিকে ‘স্থগিত’ ঘোষণা করে। এটি ছিল আইডব্লিউটি’র ইতিহাসে নজিরবিহীন পদক্ষেপ। এর পর থেকে নিয়মিত তথ্যপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১৩-১৪ সালের আগ পর্যন্ত, আইডব্লিউটি কাঠামোর মাধ্যমে অত্যন্ত বিস্তারিত বন্যা-সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় হতো। তখন কেবল সাধারণ সতর্কবার্তাই নয়, অগ্রিম পূর্বাভাসে সম্ভাব্য বন্যার পানির পরিমাণ, সময় এবং কোন নদী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে- এসবও জানানো হতো। 

 

প্রতিদিনের নদীর স্তর, প্রবাহ এবং সম্ভাব্য প্লাবিত এলাকার তথ্য পর্যন্ত ভাগ করা হতো। কিন্তু এ বছর বর্ষায় ভারত তাওই এবং শতদ্রু নদী নিয়ে বন্যা সতর্কবার্তা দেয়। তবে পিআইসি ব্যবহার না করে, নয়াদিল্লি ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে এ তথ্য পাঠায়। এসব সতর্কবার্তা ছিল খুবই সীমিত, অনেক সময় শুধু ‘উচ্চ বন্যা’ শ্রেণিবিন্যাস উল্লেখ করা হতো। ফলে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুমান করতে হচ্ছিল পানি কতোটা ছাড়া হচ্ছে বা কখন। পাকিস্তানের ফেডারেল ফ্লাড বিষয়ক সাবেক কমিশনার আহমেদ কামাল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ভারতের দিক থেকে তারা কেবল খুব সাধারণভাবে তথ্য দিচ্ছে- শুধু বন্যার শ্রেণিবিন্যাস জানাচ্ছে। কিন্তু পানি ছাড়ার মাত্রা বা সময়ের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিচ্ছে না। ভারতের দাবি, এই সতর্কবার্তাগুলো ‘সদিচ্ছা’র প্রকাশ, চুক্তির বাধ্যবাধকতা নয়- কারণ তারা আইডব্লিউটি স্থগিত করেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এগুলোকে মানবিক আচরণের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, পিআইসি এড়িয়ে যাওয়া চুক্তির প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে দুর্বল করছে এবং বন্যা ব্যবস্থাপনাকে রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত করছে। ভারতে নিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার আবদুল বাসিত বলেন, কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ভারত বন্যা বিষয়ে জানাতে তিনভাবে বার্তা দেয়- দেশীয় জনগণকে জানায় যে আইডব্লিউটি স্থগিত রাখায় তারা অনড়, পাকিস্তানকে জানায় যে, চাপ সৃষ্টি করে চুক্তি ফের চালু করা যাবে না, আর বিশ্বকে দেখায় যে, মানবিক কারণে নয়াদিল্লি উদ্যোগ নিয়েছে, যেন তারা উদার ও সহানুভূতিশীল। বাস্তবে, মানবিক ক্ষতি মারাত্মক। পাঞ্জাবের নারোয়াল জেলা, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি। সেখানে মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ফসল ও ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। পানিসম্পদ পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে অভিযোগ করেন, মনে হচ্ছে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে পানি জমিয়ে তা একসঙ্গে ছেড়ে পাকিস্তানে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। পানিকে অস্ত্রে পরিণত করা এবং আগ্রাসনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা নিন্দনীয়। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনও ভূমিকা রেখেছে। যদি ভারত আইডব্লিউটি অনুযায়ী পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা করতো, তবে এই বিপর্যয়ের মাত্রা অনেকটাই কমানো যেত।


অন্যদিকে ইসলামাবাদ উত্তেজনা সত্ত্বেও চুক্তির প্রক্রিয়াগুলো মেনে চলেছে। বুধবার পাকিস্তান রবি, শতদ্রু ও চেনাব নদীর বন্যা সতর্কবার্তা প্রচলিত প্রক্রিয়া- পাকিস্তান কমিশনার ফর ইন্দুস ওয়াটারসের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। এটাই সেই চ্যানেল যেটিকে ভারত পাশ কাটিয়েছে। এই বৈপরীত্য প্রমাণ করে, যেখানে ভারত সীমিত তথ্যকে নৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রচার করছে, পাকিস্তান চেষ্টা করছে সেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো রক্ষা করতে- যেটি কয়েক দশক ধরে উভয় দেশকে বর্ষা বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সাহায্য করতো। এর প্রভাব কেবল বর্তমান বন্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আইডব্লিউটি-এর অনুচ্ছেদ চারের (৮) এবং সংযুক্তি স্পষ্টভাবে আগাম সতর্কবার্তা, পারস্পরিক পরামর্শ এবং তথ্য ভাগাভাগির বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করেছে। চুক্তি স্থগিত করে ভারত এমন এক নজির তৈরি করছে, যেখানে পানি আরেকটি রাজনৈতিক চালের ক্ষেত্র হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে, যখন হিমবাহ গলন ও অনিয়মিত বর্ষা বন্যার ঘনত্ব ও তীব্রতা বাড়াচ্ছে, এটি বিশেষভাবে বিপজ্জনক। এখন প্রশ্ন কেবল এই নয় যে, সিন্ধুর পানিচুক্তি এই রাজনৈতিক ঝড় সামলাতে পারবে কিনা, বরং তার ক্ষয়ক্ষতির মূল্য কতোটা চড়া হবে সিন্ধু অববাহিকার কোটি মানুষের জন্য। বন্যা সীমান্ত মানে না, ধ্বংসও নির্বিচার। প্রয়োজনীয় তথ্য রাজনৈতিক সংকেত দেয়ার জন্য গোপন বা দুর্বল করা হলে এর খেসারত গুনতে হয় কৃষক, গ্রামীণ মানুষ ও শহরের বাসিন্দাদের- হারানো ফসল, ডুবে যাওয়া ঘরবাড়ি ও বাধ্যতামূলক বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে।


দক্ষিণ চীন সাগরে ট্রাম্পের নীতি গড়ে উঠছে: ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ২২শে জুলাই হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পাশে দাঁড়ালেন। সেই প্রতীকী মুহূর্ত কারও চোখ এড়ায়নি। ট্রাম্প এই সফরকে ‘অসাধারণ সুন্দর ভ্রমণ’ বলে অভিহিত করেন। সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন একটি বৈষম্যমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। তাতে মার্কিন পণ্য ফিলিপাইনের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশ করবে। অথচ ফিলিপাইনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে হলে ১৯ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। কিন্তু মার্কোসের কাছে আসল অর্জনটি এই বাণিজ্য চুক্তি নয়, বরং আরও কৌশলগত একটি প্রতিশ্রুতি। তা হলো ট্রাম্পের কাছ থেকে ফিলিপাইন-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যক্তিগত আশ্বাস। এই সফর শুধু কূটনৈতিক নয়, কৌশলগতভাবেও সফল হয়। কারণ ট্রাম্পের দৃষ্টি আবার দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে ঘুরিয়ে আনতে সক্ষম হন মার্কোস।


ফিলিপাইন-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্প্রসারণ: মার্কোসের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর থেকে ফিলিপাইন-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সহযোগিতা দ্রুত গতি পাচ্ছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষা দপ্তরের মধ্যে ধারাবাহিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও উদ্যোগ এই নতুন বাস্তবতাকে স্পষ্ট করছে। ৭ই আগস্ট ফিলিপাইন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল রোমিও ব্রাউনর যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডার এডমিরাল স্যামুয়েল পাপারোর সঙ্গে একটি বিরল ‘৮-তারকা সমঝোতা স্মারক’ স্বাক্ষর করেন, যা সামরিক সমন্বয়ের একটি বড় মাইলফলক। ১৫ই আগস্ট ফিলিপাইন আর্মির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আন্তোনিও নাফারেতে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক সহায়তা দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর উদ্দেশ্য দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা। ১৪ই আগস্ট ওয়াশিংটনে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত জানান যে, ফিলিপাইনে আরও ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী অন্তত পাঁচটি দ্রুতগামী নৌযান মোতায়েনের জন্য একটি ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা প্রকাশ করে। ১৮ই আগস্ট মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি লকহিড মার্টিন ম্যানিলায় একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেয়। যা ফিলিপাইনের একাডেমিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এসব পদক্ষেপ ইঙ্গিত করছে যে, দুই দেশের সম্পর্ক কেবল যৌথ মহড়া বা প্রতীকী সহযোগিতার বাইরে গিয়ে এখন একটি গভীর ও সমন্বিত কাঠামোর দিকে এগোচ্ছে।


দক্ষিণ চীন সাগরে সমন্বিত তৎপরতা: সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দক্ষিণ চীন সাগরের ফিলিপাইন-চীন বিরোধপূর্ণ জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বেড়েছে। ১৩ই আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি নৌবিধ্বংসী জাহাজ ইউএসএস হিগিন্স ও ইউএসএস সিনসিনাটি বিতর্কিত স্কারবোরো শোলে মোতায়েন হয়। ইউএসএস হিগিন্স এমনকি শোলের ১২ নটিক্যাল মাইলের ভেতর প্রবেশ করে, যেটিকে চীন তাদের সমুদ্রসীমা বলে দাবি করে। চীন দাবি করে তারা জাহাজটিকে ‘তাড়িয়ে দিয়েছে’ এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে। একই দিনে ফিলিপাইন কোস্ট গার্ডের একটি বিমান বিদেশি সাংবাদিকদের নিয়ে ওই এলাকায় টহল দেয়, যা চীনা যুদ্ধবিমানের সঙ্গে বিপজ্জনকভাবে ২০ মিনিট ধরে ঘনিষ্ঠ মোকাবিলার দিকে গড়ায়। একসময় বিমানের দূরত্ব কমে মাত্র ৬১ মিটারে নেমে আসে। এর মাত্র দুইদিন আগে ১১ই আগস্ট দু’টি চীনা জাহাজ- চীন কোস্ট গার্ড ৩১০৪ ও নৌবাহিনীর গুইলিন-১৬৪ ফিলিপাইনের জাহাজকে ধাওয়া করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনাগুলো প্রায় একই সময়ে ঘটায় স্পষ্ট হয়েছে যে, ম্যানিলা ও ওয়াশিংটন সমন্বিতভাবে বেইজিংকে বার্তা পাঠাতে চায়। ট্রাম্পের নীতি ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’র ছায়া এতে স্পষ্ট। তবে এর ফলে ভুল হিসাব, সংঘাত ও যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বেড়ে যাচ্ছে।


আঞ্চলিক সংকট ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা: মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে চীন-ফিলিপাইন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একের পর এক সংঘাত দেখা দিয়েছে। চীনা জাহাজের সংঘর্ষ, চীনা যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ফিলিপাইনের বিমানের বিপজ্জনক মুখোমুখি, আর স্কারবোরো শোলে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র মোকাবিলা। যদিও চীন-ফিলিপাইন এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন সংকট যোগাযোগ ব্যবস্থা (যেমন ২০২৩ সালে শি জিনপিং ও মার্কোসের মধ্যে স্থাপিত যোগাযোগ প্রক্রিয়া এবং ২০১৪ সালের চীন-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক কার্যক্রম অবহিতকরণ ব্যবস্থা) রয়েছে। তবুও সাম্প্রতিক ঘটনায় সেগুলো একবারও সক্রিয় হয়নি। এটি উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয় যে, আঞ্চলিক সংকট ব্যবস্থাপনা কাঠামো কার্যত অচল হয়ে আছে। ফলে দক্ষিণ চীন সাগর এখন আর বিরোধ নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে না, বরং শক্তি ও প্রভাবের প্রতিযোগিতার দিকে এগোচ্ছে।


১১ই আগস্টের সংঘর্ষ, ১৩ই আগস্টের চীন-যুক্তরাষ্ট্র মোকাবিলা এবং ফিলিপাইন বিমানের বিপজ্জনক মুখোমুখি- সবকিছু মিলিয়ে এ অঞ্চলের সংকট ব্যবস্থাপনা কাঠামো একেবারে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলো সক্রিয় না হওয়া এবং পারস্পরিক আস্থার অবক্ষয় প্রমাণ করছে যে, ভবিষ্যতে যেকোনো সময় আরও বড় সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর একবার সংঘাত শুরু হলে তা থামানো সহজ হবে না। 


তথ্যসূত্র: ডন ও ডিপ্লোম্যাট

আন্তর্জাতিক'র অন্যান্য খবর