ভোট নিয়ে দেশের মানুষের আগ্রহ থাকলেও গণভোট মানুষের কাছে কোনো আগ্রহের বিষয় না। অতীতে দেশে তিনবার গণভোট হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ছিল প্রশাসনিক গণভোট। একবার ভোট হয় সাংবিধানিক বিষয়ে। এবার আরেকটি গণভোটের অপেক্ষায় দেশ। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে হতে পারে এই গণভোট। বহু প্রাণ আর রক্তের উপর দাঁড়িয়ে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ১৫ই অক্টোবর এই সনদে স্বাক্ষর করবে রাজনৈতিক দলগুলো। সনদ স্বাক্ষর হলেও এটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো গণভোটে একমত হলেও গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে না নির্বাচনের দিন এ বিষয়ে একমত হতে পারেনি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ কয়েকটি বৈঠকে এ বিষয়ে দলগুলো আলোচনা করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জোর চেষ্টা চালানো হয়েছে। জামায়াতসহ দু’একটি দল ছাড়া বাকি সবাই জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট গ্রহণের বিষয়ে মতামত দিয়েছে। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানাচ্ছে। এমন অবস্থার মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষ হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, তারা পুরো বিষয় সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়নি সে বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে প্রায় সব দল জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট গ্রহণে মত দিলেও জামায়াত, ইসলামী ঐক্যজোটসহ কয়েকটি দল কেন আগে গণভোট চাইছে। জামায়াতের শঙ্কা নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে গণভোটও সুষ্ঠু হবে না। এ কারণে এটি আগে হওয়া দরকার। অনেকে এই যুক্তির পেছনে শক্ত কারণ দেখছেন না। আর আগে গণভোট হলেও এটি বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার। নির্বাচনে বিজয়ী দল বা জোট যদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে তাহলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন তাদের জন্য নৈতিক দায় হয়ে দাঁড়াবে। এত প্রাণ আর রক্তের বিনিময়ে যে সংস্কারের সুযোগ এসেছে বিজয়ী দল বা জোট তার প্রতি অবজ্ঞা করবে- এমনটা এখনই ভাবার মতো সময় আসেনি। কারণ অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো নানা কারণে বিভক্ত হলেও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে ছাত্র-জনতা অকাতরে জীবন দিয়েছে, আন্দোলন করেছে দাবি পূরণে সেই ছাত্র-জনতা আবারো রাজপথে নামবে না এমনটা তো আর কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না।
নির্বাচনের আগে গণভোট দাবির পেছনে অন্য কারণ দেখছেন কেউ কেউ। এর আগে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন কোমর বেঁধে নেমেছিল। তাদের এই দাবি এখনো জারি আছে। তবে অবস্থান আগের মতো শক্ত নেই। কারণ এই দাবির পেছনে নানা যুক্তি থাকলেও সাধারণ মানুষের কাছে তা পরিষ্কার নেই। হঠাৎ করে এই পদ্ধতি চালু করার নানা ঝুঁকিও আছে। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ যারাই এই পদ্ধতির কথা বলেছে তারা বেশি বিবেচনায় নিয়েছে দলীয় সুবিধার বিষয়টি। এই পদ্ধতিতে ভোট হলে যত শতাংশ ভোট পড়ুক না কেন সংসদে সেই অনুপাতে আসন পাওয়ার সুযোগ থাকবে। এ কারণে ছোট দলগুলো এই পদ্ধতিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু আদতে এই মুহূর্তে জাতীয় সংসদের প্রস্তাবিত নিম্ন কক্ষে এই পদ্ধতি চালুর কোনো সুযোগ নেই। উচ্চকক্ষে হতে পারে যদি দলগুলো একমত হয়। এটি হতেও পারে। কিন্তু উভয় কক্ষে পি আর দাবির পেছনে দলগুলোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। আর এটা হলো প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে বিভ্রান্ত করা, নির্বাচনের আগে তাদের ভিন্ন ইস্যুতে ব্যস্ত রাখা। নির্বাচন বিলম্ব হলে যেসব দল সুবিধা মনে করছে এটি তাদেরও একটা কৌশল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন অবস্থায় গণভোট নিয়ে জামায়াতের অবস্থান নতুন করে প্রশ্ন তৈরি করেছে। নির্বাচন বিলম্ব বা নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্যই এই কৌশল নেয়া হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও রাখছেন কেউ কেউ। দলটি মনে করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। একইভাবে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে এর ফলও জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া গণভোট আয়োজনে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার বিষয়টিও মানুষ যাচাই করে নিতে পারবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জনগণের মতামত জানার পদ্ধতি এই গণভোট। বাংলাদেশের সংবিধানেও এই গণভোটের বিধান বিদ্যমান ছিল। কিন্তু নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে সংবিধান থেকে গণভোটের বিধান বাতিল করে দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পঞ্চদশ সংশোধনী মামলায় আদালত আবার গণভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট তিনটি গণভোট হয়েছে। তার প্রথম দু’টিতে দেশের জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হ্যাঁ-না ভোট করে নিজেদের শাসন কাজের বৈধতা নিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালের গণভোটে জিয়াউর রহমানের পক্ষে হ্যাঁ-তে ভোট পড়েছিল ৯৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর আগে ওই বছরের এপ্রিলে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৫ সালে দ্বিতীয় প্রশাসনিক গণভোটে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে হ্যাঁ ভোট পড়েছিল ৯৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ নির্বাচনে বিষয়বস্তু ছিল এরশাদের নীতি ও কর্মসূচির প্রতি আস্থা এবং নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত তার প্রেসিডেন্ট পদে থাকায় জনগণের সম্মতি আছে কি-না।
১৯৯১ সালে তৃতীয় গণভোটটি হয়েছিল। যেটি সাংবিধানিক গণভোট হিসেবে পরিচিতি পায়। এ ভোট নিয়ে তখন খুব একটা আলোচনা ছিল না। গণভোটটি হয়েছিল দ্বাদশ সংশোধনী বিল- যার ভিত্তিতে দেশ প্রেসিডেন্ট শাসিত থেকে সংসদীয় ব্যবস্থায় ফিরে। এ ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টের সম্মতি দেয়া উচিত কিনা সেটি জানতে চাওয়া হয় গণভোটে। ওই নির্বাচনেও ৮৪ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। অবশ্য ভোটের এই হার নিয়ে তখন প্রশ্ন উঠেছিল। তবে এই ভোটের আগেই প্রায় সব দল সংসদীয় ব্যবস্থায় ফেরার পক্ষে মত দিয়েছিল।
দেশের ইতিহাসে গণভোটের এই হালচালের মধ্যে আরেকটি গণভোট সামনে এসেছে। একটি জাতীয় নির্বাচনের আলোচনার মধ্যে এই গণভোটে মানুষের আগ্রহ কতোটা থাকবে এটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া আলাদাভাবে এই ভোট করতে গেলে বাড়তি খরচ, সময়, প্রস্তুতি এসব বিষয়ও বিবেচনায় নেয়া জরুরি। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জনগণের মতামত নেয়ার এই জরুরি গণভোট নির্বাচনের দিন একসঙ্গে নেয়ার বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক পক্ষের দ্বিমত নেই। একজন নির্বাচন কমিশনারও এ বিষয়ে মত দিয়েছেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের আলোচনার শেষ দিকে বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং গণভোট অনুষ্ঠানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য হয়েছে।
কমিশনের সভায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, যদি জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করা হয় তাহলে সংবিধান আদেশ বা সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেয়ার প্রয়োজন হবে না। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে যাতে ম্যান্ডেটের অভাব না হয়, জনগণ এটা সমর্থন করে কি-না, সে অনুমতির জন্য গণভোট হবে। জাতীয় নির্বাচনের দিনই আলাদা ব্যালটে জনগণের মত নেয়া যায়। তাতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে এবং কেউ আর হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। মানবজমিনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ মুহূর্তে গণভোটের প্রস্তাব নির্বাচন বিলম্বিত করার প্রয়াস। নির্বাচনের দিন গণভোটে যে ফলাফল আসবে তার আগে করলেও তাই হবে। তাই এ দাবি পরিহার করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ বিষয়ে বলেছেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, গণভোটও সুষ্ঠু হবে না। তাই গণভোট আগে হওয়াই যুক্তিযুক্ত। গণভোটের বিষয়ে সবাই একমত। নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটটা আলাদাভাবে হয়ে যাওয়া দরকার। কিছু বিষয়ে আমাদের মতভিন্নতা থাকলেও গণভোট নিয়ে এখন আর কোনো বিরোধ নেই। জুলাই চার্টারের যে সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে, সেটি গণভোটের মাধ্যমেই গৃহীত বা বাতিল হবে।
গত বুধবার শেষ দিনের বৈঠকের আগে সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে পাঁচটি পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তবে গণভোট নির্বাচনের আগে নাকি নির্বাচনের দিন হবে এ বিষয়ে পরামর্শ দেননি বিশেষজ্ঞরা। এই সিদ্ধান্ত তারা সরকারকে নিতে বলেছেন। গণভোট প্রসঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, নির্বাচনের দিন কয়েকটি দল, কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই গণভোটের কথা বলেছেন। দল ও জোটগুলোর মতামত বিবেচনা করে সুস্পষ্ট মতামত সরকারকে দেবে কমিশন। বৈঠকে যে মতামত সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আরও আলোচনা করে সরকারকে পরামর্শ দেয়া হবে। আর যারা সহযোগিতা করেছে সকলকে সেসব বিষয়ে অবহিত করা হবে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক গণভোট প্রসঙ্গে বলেন, কমিশন সরকারকে প্রস্তাব পাঠাবে। কমিশন দু’-তিনটি প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠাবে। সরকার গণভোটসহ সনদের কার্যকরী দিক পরীক্ষা করে একটি আদেশ জারি করবেন।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমানের মতে জাতীয় স্বার্থে গণভোট হলে সেটা নির্বাচনের দিন হতে পারে। বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়গুলোতে গণভোট হলো, কিন্তু নোট অব ডিসেন্টের বিষয়গুলো কীভাবে জনগণের কাছে নিয়ে গণভোট করা হবে। একটি বিষয় গণভোট হলে জনমত সহজ হতে পারে। বিএনপি ও সমমনা দল এবং জোটের প্রায় সব নেতাই গণভোট নিয়ে এমন মতামত দিয়েছেন। গণফোরাম, সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাসদ, গণঅধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ পার্টি এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দল নির্বাচনের দিনই গণভোট চায়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু মানবজমিনকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ঐকমত্য কমিশন যদি গণভোট আগেও করতে পারে আমাদের সমস্যা নেই। তবে আমাদের মত হচ্ছে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে ভালো হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান গণভোটের বিষয়ে বলেন, দু’-একটি দল ছাড়া বেশির ভাগ দলই চাইছে জাতীয় নির্বাচনের দিন জুলাই জাতীয় সনদের উপর গণভোট আয়োজন হোক। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নামে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। সেই প্রক্রিয়ার মধ্য থেকেই গণভোট হবে। একটি দল দাবি করতেই পারে। কিন্তু হাতে সময় চার মাস। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের মতোই। এ সময়ের মধ্যে কি নির্বাচন করা সম্ভব?
ওদিকে নির্বাচনের দিন গণভোট হতে পারে- এমন মত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেছেন, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না করে একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করা উচিত। একইদিনে দুই ভোট করতে সক্ষম নির্বাচন কমিশন। ৯ই অক্টোবর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে গণভোট আয়োজনে ঘোষিত ফেব্রুয়ারির সময়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ব্যয় সাশ্রয়ের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে গণভোট হলে বড় ব্যয় সাশ্রয় হবে। সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে সম্ভব। তবে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ কিছু বাড়ানো লাগতে পারে। এতে আইনগত কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। সরকার চাইলে গণভোটের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এখন সবার চাওয়া রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংস্কারের একটি রূপরেখা রেখে যেতে পারে। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দলগুলো এই সংস্কারের অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি দেবে। যা লিখিত একটি জাতীয় সনদ হবে। এর ভিত্তিতে নির্বাচনে জয়ী দল বা পক্ষ সংস্কার কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নেবে। জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রস্তাবিত গণভোটও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সনদ চূড়ান্তে দীর্ঘ আলোচনা করে দলগুলো নানা ছাড় দিয়ে প্রায় একমত হতে পেরেছে। সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্তে গণভোটের সময় নিয়েও দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাবে- এমনটা আশা করছে মানুষ।