আজ গান গাইতে ইচ্ছে করছে- নিয়তি তোরে সালাম/পৃথিবী দিয়েছে যন্ত্রণা/ সমাজ করেছে বঞ্চনা/জীবন তো কষ্টেরই নাম/নিয়তি তোরে সালাম...।
প্রিয় হাসু আপা,
কেমন আছেন? এই প্রশ্নটি এতদিন আপনাকে করতে সাহস পাইনি। কেন পাইনি তা তো আপনি নিজেই জানেন। আপনি নিজের রাজ্য হারিয়েছেন। সিংহাসন হারিয়েছেন। দোর্দণ্ড প্রতাপ এক মুহূর্তে মিইয়ে গেছে। বিশ্ব দেখেছে এক লৌহমানবী কীভাবে পালিয়ে দেশ ছেড়েছে। এখন আপনি বিশ্বের মধ্যে রাষ্ট্রহীন এক মানবী। এসব কথা জেনে কীভাবে এই প্রশ্নটি করি? আপনিই বলুন। কিন্তু ক’দিন আগে আপনার একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। যেখানে আপনাকে আপনারই দলের এক নেতার সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। ওই নেতা আপনাকে জানাচ্ছিলেন তার বাড়িঘর ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়েছে। প্রতি উত্তরে আপনি বললেন, ওদের কি বাড়িঘর নেই? সবকিছু বলে দিতে হবে কেন? এ কথাটি কানে আসার পর ভাবলাম আসলে ‘কয়লা ধুলে ময়লা যায় না’ যে কথাটি প্রচলিত তা একদম ঠিক। কারণ ক্ষমতায় থাকতেও আপনি এভাবে কথা বলেছেন। এখন পালিয়ে গিয়েও একইভাবে কথা বলছেন। মনে পড়ে গেল, ২০০৭ সালের সেই অমানবিক ঘটনার কথা। আপনার নেতাকর্মীদের ঢাকায় লগি-বৈঠা নিয়ে আসতে বলেছিলেন। আর এ লগি-বৈঠা দিয়ে নয়াপল্টনে ৫ জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছিল আপনার নেতাকর্মীরা। আপনার মুখ থেকে এ ঘটনায় একটু আফসোসও শুনিনি। বরং উল্লসিত হয়েছেন। এরও আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের এক জনসভায় আপনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আমাদের একজন কর্মীকে ওরা মারলে আপনারা ওদের ১০ জন কর্মীকে হত্যা করবেন। প্রতিহিংসার রাজনীতি এদেশে আপনার মতো আর কেউ করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না বলে আমার বিশ্বাস। এক্ষেত্রে আপনি সেরা। ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। এ বিষয়ে নিশ্চয় আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন বলে বিশ্বাস করি। আরেকটি গুণ আপনার রয়েছে যা না বললেই নয়। আপনি ক্রেডিট নিতে ওস্তাদ। যেকোনো কাজের ক্রেডিট নিতে কতো কৌশলই না করেছেন গত সাড়ে পনের বছরে। এই তো সেদিন ভারতে সেলফি তুলে বাংলাদেশটাকে নাড়িয়ে দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনুরোধ করে তোলা সেই সেলফি তুলেই ক্ষান্ত হননি- দেশের সকল পত্রিকায় ছাপাতেও বাধ্য করেছেন। আবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আপনাকে সম্মান জানানোর ভিন্ন ভঙ্গির ছবি প্রকাশ করে ট্রুডোর বারটা বাজিয়ে দিয়েছেন। আসলে এমন ছবি প্রকাশ করা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। যেটা আপনি করেছেন। নিজেকে উপরে তুলে ধরতে কতো ছলনার আশ্রয়ই না নিয়েছেন। সেসব নিশ্চয় আজ নিঃসঙ্গ জীবনে খুব করে মনে পড়ছে। মনে পড়ারই তো কথা। ক্ষমতায় থাকাকালে কথায় কথায় আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। শপথ নিয়েছিলেন রাগ- অনুরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না। কিন্তু আপনি তা প্রকাশ্যেই করেছেন আবার তা জোর গলায় বলেছেনও। যেমন ধরুন, বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়ার বিষয়টি। আপনি একদিন এক অনুষ্ঠানে বললেন, খালেদা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যেদিন আমাকে ক্যান্টনমেন্টে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল সেদিনই আমি শপথ করেছিলাম কোনো দিন ক্ষমতায় গেলে খালেদাকে ক্যান্টনমেন্ট ছাড়া করবো। ঠিক তাই করেছেন। এক রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে এমন হিংসাপরায়ণ হওয়া কতোটুকু যৌক্তিক আপা।
হাসু আপা, একটি কথা না বললেই নয়, আপনার মতো ক্রেডিট নেয়ার ইচ্ছা আপনার দলের অনেক নেতাকর্মীরই ছিল। এখনো রয়েছে। এই যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এটিও নাকি ক্রেডিট নেয়ার ইচ্ছা থেকে শুরু হয়। কিন্তু ভুল চালে আপনি হয়ে যান কুপোকাত। এ কাহিনী এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের খায়েশ জেগেছিল ক্রেডিট নেয়ার। এ ক্রেডিট নিয়ে আপনার আরও কাছাকাছি যাওয়ার। কিন্তু চালটা চেলেছেন ভুল। যে ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে আপনাকে, আপনার দল আওয়ামী লীগকে। এই খেসারত কতো জনম দিতে হয় আল্লাহ মালুম। সেই ঘটনা কী নিশ্চয় আপনার জানতে খুব ইচ্ছা করছে? অবশ্যই আপনি তা এতদিনে শুনে ফেলেছেন। আচ্ছা শোনার পর আপনার কেমন লেগেছিল? হাইপারটেনশনে কাঁপছিলেন বোধ হয়। যাকগে সেটা আপনার ব্যাপার। আমি সেদিকে যাচ্ছি না। যেদিন ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে আপনি মঞ্চে বসা থাকা সত্ত্বেও সাদ্দাম একটি বক্তব্য দিয়ে আপনার হৃদয় কেড়ে নিয়েছিলেন সেদিনই বুঝে গেছি সাদ্দাম পরবর্তী সভাপতি। অর্থাৎ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি। সাদ্দামের বক্তব্য শেষে আপনি অনেকক্ষণ হাততালি দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি জানতেনই না সাদ্দাম আরেকজনের লেখা চুরি করে সেটা মুখস্থ এবং ঠোঁটস্থ করে এসেছিলেন সেদিনের ছাত্রলীগের সম্মেলনে। ক’দিন পর দেখলাম যা ভেবেছি- তাই হয়েছে। সাদ্দামকে বানানো হলো-বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি। যেদিন একজন লেখা চোরকে আপনি সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেদিনই ভেবেছিলাম এই ছাত্রলীগই আপনাকে ডোবাবে। আচ্ছা সাদ্দাম কার লেখা চুরি করেছিলেন? সেটা জানেন কি? ২০১৬ সালের ১৫ই আগস্ট কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত অঞ্জন রায়ের ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: রক্তক্ষরণ থামেনি বাঙালির হৃদয়ে’ শীর্ষক লেখা হুবহু ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্রলীগের সম্মেলনে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। সবাই বাহবা দেন এমন সুন্দর বক্তব্যের। ৫ই আগস্ট আপনি পালিয়ে যাওয়ার পর সাদ্দাম-ইনানের নানা কুকীর্তির কথা ছাত্রলীগের সদস্যরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, আপনার এ অবস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী সাদ্দাম। ছাত্রদের এরকম একটি যৌক্তিক দাবিকে যদি সাদ্দাম ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে পারতেন তাহলে হয়তো আজকের এ পরিস্থিতি হতো না। অথচ ছাত্রলীগের মধ্যে কথিত রয়েছে কোটা আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন সাদ্দাম নিজেই। একটি চাল চালতে চেয়েছিলেন সাদ্দাম। আন্দোলন চাঙ্গা হলে সাদ্দাম গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে বসে সকল দাবি মেনে নেয়া হবে- এমন ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিয়ে আসবেন। ছাত্রদের এমনটি বুঝিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন। তারপর বুঝিয়ে এসে বলবেন ছাত্রদের সব দাবি প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। এর ক্রেডিট যাবে সাদ্দামের গোয়ালে। এমনটা করার জন্য সাদ্দাম নিজে তার এলাকার এক ছাত্রকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে সমন্বয়কদের একজন বানান। আন্দোলন চলাকালীন বেশ ক’দিন ওই সমন্বয়কের সঙ্গে সাদ্দামের গভীর যোগাযোগ ছিল। আন্দোলনের মাঝেই সাদ্দাম ছুটে যান আপনার কাছে। আপনি সাদ্দামের কাছ থেকে শুনে নেন। তারপর আপনি আশ্বস্ত হন। আর এদিকে পরদিন সাদ্দামের কথার উপর ভর করেই বলেন, এ আন্দোলন দমাতে আমার ছাত্রলীগই যথেষ্ট। এ বক্তব্যই কাল হয়ে দাঁড়ায়। পরদিন ছাত্রলীগ আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আর ট্যাকেল দিতে পারেনি সাদ্দাম। ওদিকে সাদ্দামের নিযুক্ত চর সেও পাল্টি দেয় সাদ্দামের সঙ্গে। চরম বেকায়দায় পড়ে সাদ্দাম। এ ঘটনায় প্রমাণিত হয় সাদ্দামের ভুল চালে আপনি কুপোকাত হয়ে পড়েন। ক্যাম্পাসে কান পাতলে এমন অনেক কথা শোনা যায় সাদ্দাম ও ইনানকে নিয়ে।
হাসু আপা,
অন্যের কথা লিখবো পড়ে। আজ ছাত্রলীগেরই সাবেক সহ-সভাপতি শেখ সাগর আহমেদের ফেসবুক স্ট্যাটাসের কথা তুলে ধরা যাক। সাগর এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- সাদ্দাম সম্পর্কে। ২০১১-১২ সেশন মানে আমার ব্যাচমেট, তাই তার সম্পর্কে কিছুটা জানাশোনা আছে। ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে বাম রাজনীতি শুরু করে। আমরা যখন মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতাম, তখন সে বামের মিছিলের সঙ্গে যেতো। অনেকে বলে সে নাকি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিল (শোনা কথা)। সাদ্দাম এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিল। সায়েম খান ভাই তাকে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানান আর তখন থেকেই জারুল ফুল হয়ে যায় ছাত্রলীগ। তারপর ২০১৮ সালে সে হয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই সে সকল ধরনের অপকর্ম শুরু করে দেয়। তার অপকর্মের তালিকা এতটাই বড় যে, ফেসবুকে লেখা সম্ভব না। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ডেডিকেটেড ছেলেমেয়েদের বাদ দিয়ে কোন ডিপার্টমেন্টে কে ফার্স্ট, কে সেকেন্ড এবং টিএসসিভিত্তিক সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ধরে এনে পদায়ন করে। হল কমিটির সময়েও সে একই কাজ করে। তার কারণে ছাত্রলীগের ডেডিকেটেড ছেলেমেয়েরা হতাশ হয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেয় এবং জারুল ফুলের মেধাবীরা পদ পাওয়ার পর আর কখনো মাঠ আসে নি। আইবিএ’র ছেলেমেয়েরা কোনো দিন রাজনীতি করেনি। সে আইবিএ থেকে ধরে এনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে সম্পাদক বানায় এবং ফলাফল সেম। ডাকসু নির্বাচন করার জন্য তৎকালীন ভিসি স্যারকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু সে ভিপি নমিনেশন পায়নি। সে পায় সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং তাতে সে খুশি হতে পারেনি। তারপর ২০২২ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলনে সে পুনরায় কেন্দ্রের ক্যান্ডিডেট হয়। গোয়েন্দা সংস্থার নেগেটিভ রিপোর্টের ভয়ে সে ৩০ কোটি টাকা পাচার করতে গেলে কাস্টমসের হাতে ধরা পড়ে। তাতেও তার নেতা হওয়া কেউ ঠেকাতে পারেনি। কারণ তার হাত-পা ঝুলিয়ে বক্তৃতার প্রেমে পড়ে যান স্বয়ং দেশরত্ন শেখ হাসিনা। কেন্দ্রের সভাপতি হওয়ার পরও সে আবার ডাকসুর ভিপি হওয়ার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে যায়। কোনো ভাবেই যখন কিছু করতে পারছিলো না। তখন তার নিজ জেলার এক ছোট ভাইকে কোটা সংস্কার আন্দোলন করার পরামর্শ দেয়। সে ভেবেছিল কোটা আন্দোলন নিজে ম্যানেজ করে আবার ডাকসুর ভিপি হবে। আপনার নেক নজরে চলে যাবে। চালটা আসলে বড্ড ভুল চেলে ফেলে। যে কারণে সরকারকে পর্যন্ত সিংহাসন ভেঙে পড়ে যেতে হয়।
একটা ঘটনা বলি: ঢাকার ভেতরের কোনো মেডিকেলের একটা মেয়ে কেন্দ্রে ছাত্রলীগ করতে চায়। তাই সেই মেডিকেলের সাধারণ সম্পাদক এই মেয়েকে জারুল ফুলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে বলে, ভাই ও রাজনীতি করতে চায়, আপনি একটু খেয়াল রাখবেন। তারপর একদিন রোকেয়া হলের প্রভাবশালী এক নেত্রী সেই মেয়েকে জারুল ফুলের বাসায় নিয়ে যায় আর জারুল ফুল তাকে পছন্দ করে ফেলে। সেই মেডিকেল কলেজের সাধারণ সম্পাদক যে মেয়েটিকে জারুল ফুলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো, সে কেন্দ্রে পায় উপ-সম্পাদক আর মেয়েটি পায় ফুল সম্পাদক। আর সেই মেডিকেলের সভাপতি ডেডিকেটেড ছেলেটি কেন্দ্রে কোনো পদ পায়নি।
প্রিয় হাসু আপা,
উপরের কথাগুলো ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাগরের। ওই লেখায় আরও যা লেখা ছিল তা এই চিঠিতে লেখা সম্ভব না। কারণ সেসব লেখা একেবারে দিগম্বর। যাকগে এইভাবে লিখলে আরও অনেকের লেখাই লেখা যাবে। মূল বিষয় হলো-আপনি মন দেখে নয়, ধন দেখে প্রেমে পড়েন- এটা দেশবাসী হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু আপনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেই ছাড়েনি। আওয়ামী লীগও এ জন্য ভুগবে বছরের পর বছর। ওপার থেকে আপনি আপনার চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যত হুমকি- ধামকিই দেন না কেন এবার আর কাজ হবে বলে মনে হয় না। আজ এ পর্যন্তই। আগামীতে লিখবো এমন এক বিষয় নিয়ে যা আপনাকে আরও ভাবিয়ে তুলবে। ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই বলে আপনার বা আপনার দলের কোনো লাভ হবে-এমনটা যারা ভাবছে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। তবে আমি হতভাগা আপনার ভালো চাই। ভালো চাই বলেই আমজনতার পক্ষ থেকে হতভাগার চিঠি লিখে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছি।
ভালো থাকুন। আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। তার আগে বলে রাখি নিয়তিকে সবসময় সালামই দেবেন। কারণ নিয়তি যেমনটি লিখে রেখেছে সবার জীবনে- তাই হবে। খোদা হাফেজ।