চব্বিশের পাঁচই আগস্ট। ইতিহাসের নতুন অধ্যায়। কল্পনাতীত এক পরিবর্তন। একদিন আগেও যা ছিল গণ্ডির বাইরে। সকল দণ্ডমুণ্ডের কর্তৃত্বের বিদায়। নয়া অভিষেক। আটই আগস্ট। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ। এরই মধ্যে তিন মাস অতিক্রান্ত। ১০০ দিনের হানিমুন পিরিয়ডও সমাগত। জনমানুষের নিত্য সমস্যা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ডেঙ্গুর ভয়াবহতা, তীব্র মূল্যস্ফীতিতে জেরবার সরকার। জেরবার মানুষ।
এরই মধ্যে চলছে পক্ষ-বিপক্ষ। সংস্কার না নির্বাচন। নির্বাচন না সংস্কার। সমূলে সংস্কার নাকি ন্যূনতম সংস্কার। সব ছাপিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে নির্বাচনের। বিএনপি ইতিমধ্যেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। এ সময়কালে তারা নির্বাচনের রোডম্যাপ না পেলে মাঠের কর্মসূচি নিয়েও ভাবছে। চাপে অন্তর্বর্তী সরকার।
সরকার বলছে, নির্বাচন আয়োজনেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রক্রিয়া চলমান। সার্চ কমিটি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নাম চাওয়া হয়েছে। কমিশন গঠনে নাম প্রস্তাবের দিনও শেষ হয়েছে। অপেক্ষার পালা- চূড়ান্তভাবে কারা দায়িত্ব পাচ্ছেন নতুন কমিশনের। তাদের হাতেই দায়িত্ব বর্তাবে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের।
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তিন মাস কোনো সরকারের মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট সময় নয়। তবে যেহেতু এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচিত নয়; তাই তাদের একটি নির্ধারিত রোডম্যাপ থাকা উচিত। যাতে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। দায়িত্ব নেয়ার পর সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কও তৈরি হয়েছে।
ওদিকে, সুদূর আটলান্টিকের ওপারে ঘটেছে বিশাল পরিবর্তন। ১২০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ডনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। নতুন এই পরিবর্তনে ওয়াশিংটন-ঢাকার সম্পর্কের পারদ কতোদূর উঠানামা করবে তাও সামনের দিনগুলোতে লক্ষ্য করার বিষয়।