রক্তাক্ত জুলাইয়ের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে একটি বড় খবর হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অস্থিরতা। দফায় দফায় বৈঠক এবং নানান শর্ত পূরণের মধ্যদিয়ে এর আপাতত সুরাহা হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ কার্যদিবসে শুল্ক নির্ধারণের ঘোষণা এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, এবং শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে ৯ই এপ্রিল থেকে তিন মাসের জন্য এই শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বেঁধে দেয়া ৩১শে জুলাইয়ের সময়সীমার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য আলোচনা শেষে বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করা হলো। শুল্ক হার কমায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এটি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য। নতুন এই শুল্ক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত স্বল্পমেয়াদে স্বস্তির বাতাস ফেললেও দীর্ঘমেয়াদে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জুলাই অভ্যুত্থানের বিশ্লেষণ চলছে সব মহলে। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় পেট্রিওটিজম কবিতাটি পড়ার সুযোগ হয়েছে। সেখানে দেশপ্রেমিক এক যোদ্ধা কীভাবে দেশ জয় করে নন্দিত হয় কিন্তু বছর ঘুরতেই নিন্দিতও হয় তা তুলে ধরেছেন লেখক। চারপাশের আকাশে মেঘ কালো করেছে, ঢেকে যাচ্ছে আলো। জুলাইকে নেয়া হচ্ছে বিতর্কের গ্যাঁড়াকলে। বলা হচ্ছে, বিপ্লব আপস করেছে। অন্ধকার কাটুক, আলোর ফল্গুধারা বইয়ে যাক গণতন্ত্রের ঝরনা ধারায়।