আর মাত্র দুইদিন পর ৫ই আগস্ট। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। গত বছরের এই দিনে শিক্ষার্থী-জনতার মাত্র ৩৬ দিনের জুলাই অভ্যুত্থানে পতন ঘটে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের। দেশ কাঁপানো অভ্যুত্থান এত দ্রুত ঘটে যায় যে, যা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। একদিকে স্বৈরাচারী শাসনের অবসানে সারা দেশে বাঁধভাঙা উল্লাস, আরেকদিকে জনমনে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা, কি হবে, কি হতে যাচ্ছে? নানা প্রশ্ন, নানা গুঞ্জন, গুজবও ছড়ায় অনেক। কে নিচ্ছেন এই কঠিন সময়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব? ৫ই আগস্ট থেকে ৮ই আগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে কোনো সরকার ছিল না। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার জন্য শান্তিতে নোবেল জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ করেন। প্রফেসর ইউনূস সেই সংকটময় মুহূর্তে দেশের বাইরে ছিলেন। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল, জোট ও সামাজিক শক্তি প্রফেসর ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানায়। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের মধ্যস্থতায় এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়। প্রফেসর ইউনূস ৮ই আগস্ট সন্ধ্যায় দেশে ফিরে রাতেই বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি এনজিও সংগঠক, অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক, সামরিক আমলাদের নিয়ে গঠন করেন উপদেষ্টা পরিষদ। বেশ কয়েকজন এনজিও সংগঠকের অন্তর্ভুক্তি শুরুতেই সমালোচনার জন্ম দেয়।
গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তির প্রাক্কালে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এই এক বছরে দেশের মানুষ কি পেলো? এই সত্য এখন গোপন বিষয় নয় যে, দেশের মানুষ সরকার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। মনে করা হয়েছিল, প্রফেসর ইউনূস হবেন ঐক্যের প্রতীক। তিনি নিজেও এই ঐক্য বিষয়টির উপর জোর দিয়েছিলেন। বিভিন্ন ভাষণে ও বক্তৃতায় তিনি বারবার বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ-বিভাজন থাকবে না। দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা একই পরিবারের সদস্য হিসেবে থাকবো।’ বাস্তবতা হলো প্রফেসর ইউনূস তার কথা রাখতে পারেননি। বিভাজন রেখা অনেক আগেই টানা হয়ে গেছে। গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি তরুণ নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক দল এখন রীতিমতো বিবাদে লিপ্ত। তরুণদের গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি বর্তমানে মাঠের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে সুযোগ পেলেই ঘায়েল করতে চায়। প্রফেসর ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে তার নিরপেক্ষ ভূমিকা ধরে রাখতে পারেননি, এমন কথা অনেকদিন আগেই উঠেছে। তাকে এনসিপি’র নেপথ্য পৃষ্ঠপোষক হিসেবেই মনে করা হয়ে থাকে। তবে এ কথা ঠিক যে, প্রফেসর ইউনূসের হাতে কোনো জাদুরকাঠি ছিল না যে, স্বৈরাচারী সরকারের ১৫ বছরের সৃষ্ট ক্ষত রাতারাতি সারিয়ে ফেলবেন। আইনশৃঙ্খলায় নৈরাজ্য, বিপর্যস্ত অর্থনীতি, দলীয় রাজনীতিতে আক্রান্ত প্রশাসন ছিল প্রধান উপদেষ্টার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে শুরু থেকে প্রফেসর ইউনূস ভুল পথে হেঁটেছেন। উপদেষ্টা পরিষদে এনজিও সংগঠক এবং সরকার পরিচালনায় অভিজ্ঞতাহীন ব্যক্তিদের সমাহার ঘটানো হয়েছে। কয়েকজন উপদেষ্টার পারফরম্যান্স নিয়ে বারবার অভিযোগের তীর ছুটে গেলেও এক বছরেও তিনি উপদেষ্টা পরিষদের কোনো রদবদল করেননি। উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে বিতর্ক তার পিছু ছাড়ছে না। একজন উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনেছেন এক এনসিপি নেতা।
‘মব’ সহিংসতা এক বছরেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ‘মব’ এখন এক আতঙ্কের বিষয়। ‘মব’ তৈরি করে মাজার ভাঙা, পিটিয়ে মেরে ফেলা, নারীকে হেনস্তা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পণ্ড করার অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। লীগ সরকারের পতনের ছয় মাস পর ঘোষণা দিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে বুলডোজার দিয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নং বাসভবন ভেঙে ফেলা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যেই সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। তাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে। অথচ প্রফেসর ইউনূস ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের নিরাপত্তার কথা বলেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বাহিনী আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সক্রিয় নয়। আবার পুলিশ আসামি গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করে আসামি ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, অভিনয় শিল্পী, নির্মাতাদের অনেকের বিরুদ্ধে ঢালাও হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দেয়া হয়েছে। হত্যাচেষ্টা মামলাকে রীতিমতো তামাশায় পরিণত করা হয়েছে। গণমাধ্যমে সেলফ সেন্সরশিপের অভিযোগ উঠেছে। প্রফেসর ইউনূস তার সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থেকে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে থাকবেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, সংস্কারের অগ্রাধিকার নির্ধারণে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা? কারণ সরকারের এক বছর হতে চললেও এখন পর্যন্ত বড় কোনো সংস্কার দৃশ্যমান হচ্ছে না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চার মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পর সংলাপ করে চললেও এখনো পর্যন্ত জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সালতামামি করতে গিয়ে অর্থনীতিবিদ, আইনজীবী, রাজনীতি ও সমাজ বিশ্লেষকদের কণ্ঠে হতাশার সুর শোনা যায়। তারা মনে করেন, অভ্যুত্থানের এক বছরে ভালো অভিজ্ঞতা কম, খারাপ অভিজ্ঞতাই বেশি। অভ্যুত্থানের আকাঙক্ষা বাস্তবায়নে সরকারের মধ্যে সক্ষমতার অভাব প্রকট। সরকারের মধ্যে আরেকটা সরকার আছে। সম্প্রতি এক গোলটেবিল বৈঠকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘বর্তমানে সাধারণ মানুষকে গণনার বাইরে ফেলে দেয়া হয়েছে। এজন্য মানুষ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। মন্ত্রণালয়, নীতিনির্ধারক, দরকষাকষি- প্রতিটি ক্ষেত্রেই সক্ষমতার ধস দেখা যাচ্ছে। শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলা ও বেকারত্বের অবস্থা ভয়াবহ। গত বছর ডিসেম্বরের পর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি পূর্ণোদ্যমে ফিরে এসেছে। আমলা কর্তৃত্ব পূর্ণাঙ্গভাবে জেঁকে বসে আছে।’ হোসেন জিল্লুর মন্তব্য করেছেন, কাগুজে ঐকমত্যের প্রক্রিয়া সরাসরি জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। প্রথম আলো আয়োজিত ওই গোলটেবিল বৈঠকে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এখন মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছে যে, আমরা সরকার বলতে যাদের দেখি আনুষ্ঠানিকভাবে, আসলে তার ভেতরেও আর একটা সরকার আছে। এটা এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয়। এটা সবার কাছেই প্রকাশ্য। এখন সরকারের নিরপেক্ষতা পুনঃপ্রমাণ করা ‘... কাদম্বরীকেই করিতে হইবে।’ অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ মনে করেন, জুলাই অভ্যুত্থানে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে যেসব কাজ দরকারি ছিল, অন্তর্বর্তী সরকার তার উল্টো যাত্রা করছে। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে শুধু সংবিধান ছাড়া আর কোনো প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মনোযোগ নেই।’ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সারা হোসেনের কথায় ফুটে উঠেছে বিচার বিভাগের চিত্র। তিনি বলেছেন, ‘ভয় বিচার ব্যবস্থার ভেতরেও আছে, বাইরেও আছে। বিচারপতিদের সবারই চিন্তা হচ্ছে, আমি কী করলে, কে আমার বিরুদ্ধে কথা বলবে। কোনো একটা গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে কিছু একটা আওয়াজ তুললেই তো শেষ। সে বিচারপতির আর কোনো ভবিষ্যৎই থাকবে না।’ সারা হোসেনের প্রশ্ন, ‘এমন ভয়ের পরিবেশে কে রায় দেবে বলুন।’
অনেক উপদেষ্টার কথাবার্তা, ভাষ্য থেকে দেশের বাস্তব অবস্থার কোনো বাস্তবচিত্র পাওয়া যায় না। এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার কোনো তাগিদ তারা বোধ করেন বলে মনে হয় না। অনেক ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা নানা অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত আসে রাত তিনটায়। আর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড ঘটায়। গোপালগঞ্জে এনসিপি’র ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হওয়া, কারফিউ জারি- এবছরের জুলাইকে রক্তাক্ত করেছে। প্রফেসর ইউনূসের সময় এই প্রথম কারফিউ জারির ঘটনা ঘটেছে। গণ-অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতাদের সাঁজোয়া যানে আশ্রয় নিয়ে শহর ত্যাগ করা যেমন হতাশা ছড়িয়েছে, তেমনি অনেক বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। অনেকে মন্তব্য করেছেন, ইতিহাসের কি বিচিত্র পরিহাস!
গণ-অভ্যুত্থানের পরেও রাজনীতিতে কোনো গুণগত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনেক সিদ্ধান্ত ও বক্তব্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরিপক্বতার ছাপ লক্ষণীয়। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে দলের বিরাট সংখ্যক নেতাকর্মীর চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য, সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনা দলটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং জনপ্রিয়তা কমছে। বহিষ্কার, শোকজ, সদস্য পদ স্থগিত ইত্যাদি ব্যবস্থা নিয়েও রোগ সারানো যাচ্ছে না। অনেক জায়গায় জামায়াত-শিবির বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। ‘কিংস পার্টি’র তকমা পাওয়া এনসিপি রাজনীতিতে নতুন বন্দোবস্তের কথা বললেও জনমনে নতুন কোনো আশা জাগাতে পারেনি। বরং নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে চলেছে। এনসিপি ‘চাঁদাবাজ ও দখলবাজ’ হিসেবে বিএনপি’র দিকে লাগাতারভাবে তীর ছুড়ে চললেও তাদের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রবল ভাবেই উঠেছে। সম্প্রতি ফরহাদ মজহার এক গোলটেবিল বৈঠকে বলেছেন, ‘ওরাও (এনসিপি) ঠিকই চাঁদা চাইতেছে, বড় বড় হাউসের কাছে যাচ্ছে, দুই কোটি টাকা, পাঁচ কোটি টাকা।’ এনসিপি’র কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় অনেক নেতার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, বদলি বাণিজ্য, প্রশাসনে পদোন্নতিতে তদবির ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এখন আর অভিযোগের মধ্যে নেই, প্রকাশ্যে চলে এসেছে। জুলাইকে ‘মানি মেকিং মেশিনে’ পরিণত করা হয়েছে এ মন্তব্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমার। সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভে উমামা বলেন, ‘৫ই আগস্টের পরদিন দেখি, সমন্বয়ক পরিচয়ে নাকি একেক জন একেক জায়গায় গিয়ে দখল করছে। গতকাল পর্যন্ত তো সমন্বয়ক পরিচয়টা দিতে চাইছিল না। আর আজকে শুনছি সবাই সমন্বয়ক, এই পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে। এখন কি রক্ষীবাহিনীর মতো সমন্বয়ক বাহিনী তৈরি হচ্ছে নাকি।’
প্রফেসর ইউনূস জুন পর্যন্ত অর্থাৎ প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ১০ মাসে প্রায় ডজনখানেক দেশ সফর করেছেন। এইসব সফর থেকে দেশের জন্য বড় কোনো অর্জন বা প্রাপ্তির বিষয় অস্পষ্টই থেকে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের তার নামের খ্যাতি কাজে লাগিয়ে চমক লাগানোর মতো কিছু করতে পারেননি। বরং লন্ডন সফরকালে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পারাটা ছিল অসম্মানের বিষয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক কর্মকাণ্ড নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের বড় আকাঙক্ষা ছিল, ফ্যাসিবাদ শাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়া। একই সঙ্গে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক বৈষম্যের অবসান ঘটানো। কিন্তু সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মব সন্ত্রাস, রাজনৈতিক বিভেদ-বিভাজন তরুণ নেতাদের নিয়ে তৈরি হওয়া স্বপ্নের সমাপ্তি জনগণকে হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেশের মানুষের আর কোনো প্রত্যাশা আছে বলে মনে হয় না।
লেখক: কলামিস্ট