সংশয়-অনিশ্চয়তার মেঘ কি কেটে গেছে? অনেক ঘুরপাক ও সন্দেহের পর ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচনের সময়। এরপরেও প্রশ্ন উঠেছে, কেমন নির্বাচন হবে? ‘দেশের ইতিহাসের সেরা’ অথবা ‘সবচেয়ে সুন্দর’ নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছেন প্রফেসর ইউনূস। সারা দেশে নিয়মিত খুন-খারাবির ঘটনা, বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার বিপরীতে পুলিশের ভূমিকা ভালো নির্বাচনের জন্য কতোটা অনুকূল? প্রশ্ন রয়েছে, নির্বাচনে প্রচার অভিযান শুরু হলে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার আশংকা আছে, তা কি সামাল দেয়া যাবে?
‘আগামী নির্বাচন হবে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য একটি বড় পরীক্ষা’, এমন মন্তব্য দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যানের। মানবজমিনে প্রকাশিত এক রিপোর্টের পর এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। গত ৯ই আগস্ট প্রকাশিত খবরের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ছয় মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৯৩১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি খুন হয়েছে জুন মাসে। আর সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ঢাকা রেঞ্জে। ৮ই আগস্ট রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৪ জেলায় ৫টি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একদল দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে দা, চাপাটি দিয়ে কুপিয়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা করে। আরেকটি দৈনিকের প্রধান খবর হয়েছে খুন নিয়ে ‘আতঙ্কের জনপদ গাজীপুর, সাত মাসে ১০৩ খুন’ (সমকাল ৯ই আগস্ট)। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগজনক খবরের প্রধান শিরোনাম হয়েছে আরেকটি দৈনিক পত্রিকায়, ‘ভয়ানক ১৪০০ অস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে।’ খবরে বলা হয়েছে, এর মধ্যে গণভবন থেকে এসএসএফের লুট হওয়া ৩২টি অস্ত্রও রয়েছে (দৈনিক কালবেলা, ৯ই আগস্ট)।
নির্বাচনের সময় ঘোষণার দুইদিন পর প্রফেসর ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বলেছেন, ‘আজ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। এই অধ্যায়ের প্রথম ও প্রধান কাজ হবে জাতীয় নির্বাচন করা।’ এই নিয়ে রাজনীতি ও জনপরিসরে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ইউনূসের দ্বিতীয় অধ্যায় কেমন হবে? প্রথম অধ্যায়ের অনুরূপ নাকি তার চেয়ে ভালো কিছু? বহুল আলোচিত জুলাই সনদের বিষয়টি এখনো অমীমাংসিত। এমনকি সনদ স্বাক্ষরের দিনক্ষণও ঠিক হয়নি। সনদ বাস্তবায়নের পথ খুঁজতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবার সংলাপে বসবে ঐকমত্য কমিশন।
নানামাত্রিক সংকট ও চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ৮ই আগস্ট এক বছর পূর্ণ করেছে। চলছে সরকারের এক বছরের পোস্টমর্টেম ও সালতামামি। এক যুগেরও বেশি সময়ের কর্তৃত্ববাদী শাসনের ক্ষত, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং আমলার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা চোরতন্ত্রের লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচার, প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ, পুলিশ বাহিনীকে কার্যত দলীয় ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করা, একতরফা নির্বাচন, রাতের ভোট ও ডামি নির্বাচনের বোঝা বহন করেই প্রফেসর ইউনূসের পথচলা শুরু হয়েছিল। ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা ঠিকঠাক করা এবং প্রথমদিকে পালিয়ে থাকা আতঙ্কিত পুলিশ সদস্যদের কাজে ফিরিয়ে আনাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মধ্যম থেকে শীর্ষ পর্যায়ে দফায় দফায় রদবদল, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত করার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনে ছিল অস্থিরতা। বিভিন্ন দলের সমর্থক-কর্মীদের পুলিশের ওপর হামলা, থানা আক্রমণ ও আসামি ছিনিয়ে নেয়া পুলিশের মনোবল দুর্বল করে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ এখনো দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থার মধ্যে আছে। ঢালাও হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ ধরনের মামলার বিষয়টি হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন, ‘যে গল্পের শেষ নেই’-এর মতো। এ ধরনের মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কে আসামি, কে সাক্ষী তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। অনেক ক্ষেত্রে বাদী মামলা করে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের মামলা বন্ধে সরকারের সক্রিয় কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। মানবজমিনে প্রকাশিত হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যান পুলিশের সক্ষমতার ঘাটতিই প্রমাণ করে। সেনাবাহিনীকে এখনো ব্যারাকের বাইরে রাখা হয়েছে। অবশ্য কোনো কোনো সূত্র বলছে, সেনাসদস্যদের আপাতত সেনানিবাসে ফিরিয়ে নেয়া হতে পারে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সেনাবাহিনীকে আবার মাঠে নামানো হবে। সরকারের এক বছরের বড় ব্যর্থতা ছিল ‘মব’ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মতে, দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলের মতোই এখনো নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নারীর প্রতি সহিংসতা, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। এসব ঘটনার বিচার না হওয়া এবং অপরাধীদের দৃশ্যমান শাস্তি না দেয়ায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি বেড়েছে। যা ঘটছে তা মূলত দমন ও পীড়নের নতুন রূপ।
আমলাতন্ত্রকেও সরকার ক্ষমতায়িত করেছে। সচিবালয়ে বিভিন্ন সময় অস্থিরতা দেখা গেছে। এনবিআর-এ লাগাতার কর্মবিরতি করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় এর অবসান ঘটে। তবে এরপর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া প্রায় সবাইকেই বদলি করা হয়েছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান পত্রিকান্তরে মন্তব্য করেছেন, ‘সরকারের প্রাত্যহিক শাসনে সক্ষমতার ঘাটতি ছিল।’ অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে, তবে ঘুরে দাঁড়ায়নি।’
সংস্কারের সদিচ্ছা থেকে প্রফেসর ইউনূস ১১টি কমিশন করেন। এর মধ্যে সংবিধান ও নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার সংলাপের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধান ও নির্বাচন প্রশ্নে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই কমিশন গত মার্চ মাসে শুরু করে সংলাপ। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংলাপ চলে ৩১শে জুলাই পর্যন্ত। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আবার সংলাপের কথা বলা হচ্ছে। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে আছি।’ কয়েকটি ইস্যুতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিলেও বিএনপি জানিয়েছে যে, তারা সনদ স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। সনদের অধীনে নির্বাচন চায় জামায়াত, এমসিপি, ইসলামী আন্দোলন ও গণধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল। এসব দলের দাবি, নির্বাচনের আগে সংসদের বাইরে আইনি কাঠামো অথবা গণভোটের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, নির্বাচিত সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু থেকে চলে আসা বাহাস অব্যাহত রয়েছে।
সংবিধান ও নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারের ডামাডোলে অন্য কমিশনগুলোর খবর যেন হারিয়ে গেছে। প্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারের আদৌ কোনো অগ্রগতি আছে কিনা সেই খবর যেমন জানা যাচ্ছে না। তেমনি স্বাস্থ্য ও শ্রম সংস্কার নিয়েও সরকারের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ, স্বাস্থ্য খাতের ৩২ সুপারিশের কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। প্রতিবেদন দেয়ার পর তিন মাসেও অগ্রগতি শূন্য। ভেতরে ভেতরে কোনো কাজ হয়ে থাকলে তা জনগণকে জানানো দরকার। ধর্মভিত্তিক দলগুলোর আপত্তির কারণে নারী সংস্কার কমিশনের বিষয়ে অর্ন্তবর্তী সরকার নীরব ভূমিকা পালন করে চলেছে। এদিকে বহুল আলোচিত জুলাই ঘোষণাপত্রও নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ৫ই আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মানিক মিয়া এভিনিউতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঘোষণাপত্রে অভ্যুত্থানের শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি এবং অভ্যুত্থানকারীদের আইনি সুরক্ষা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ২৮ দফার এই ঘোষণাপত্র ‘এবং যেহেতু’ ও ‘এবং সেহেতু’ শব্দবন্ধনের আড়ালে মূল বক্তব্য হারিয়ে গেছে। গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা হাজার হাজার নারীর স্বীকৃতি ঘোষণাপত্রে উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্র সংক্ষিপ্ত, বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে প্রাসঙ্গিক, ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করার সুযোগ ছিল।
গত ৮ই আগস্ট প্রফেসর ইউনূস সরকারের বছরপূর্তির পর নানাভাবে সরকারের এক বছরের মূল্যায়ন হচ্ছে। রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সামাজিক শক্তির কারও মতে এক বছর ছিল ‘সো ফার, সো গুড।’ অনেকে সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতাকে মূল্যায়ন করেছেন ৫০ঃ৫০ নম্বর দিয়ে। বিএনপি লন্ডন বৈঠকের পর সরকারের সমালোচনার ব্যাপারে অনেক নমনীয়। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেছেন, ‘এক বছরে সরকার টেনে-টুনে পাস। তবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে সরকার ভালো পারফর্ম করছে। আশা করছি, এক দুই মাসের মধ্যে বি-প্লাস দিতে পারবো। আর যদি ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে সরকার এ-প্লাস পাবে।’ সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে পারেনি। একটা শব্দ মুখে মুখে চলছে- চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, পেয়ে গেলাম মবক্রেসি।’
প্রধান উপদেষ্টা রোজার আগে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেয়ার তিনদিনের মাথায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে জানানো হবে ভোটের তারিখ। সিইসি এ এম নাসির উদ্দিন ৯ই আগস্ট রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ‘মানুষ তো ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অভ্যাসটাই ভুলে গেছে। মানুষকে ভোটকেন্দ্রিমুখী করা এবং সবাইকে কেন্দ্রে নিয়ে আসার মানসিকতা তৈরি করাই এখন কমিশনের প্রধান কাজ।’ নির্বাচনের ঘোষিত সময় বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রথম তিন পক্ষের ঘোষিত বা চিন্তা-ভাবনার মধ্যেই নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রফেসর ইউনূস শুরু থেকেই বিভিন্ন সময় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এবং বিভিন্ন বক্তৃতায় ’২৫-এর ডিসেম্বর থেকে ’২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছিলেন। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আগামী ১৮ মাসের মধ্যে গণতন্ত্রে উত্তরণ সম্ভব হবে।’ বর্তমানে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি শুরু থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসলেও জুন মাসে লন্ডনে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের সম্মতি দেয়। সম্ভবত এর ভিত্তিতেই নির্বাচনের সময় নির্ধারিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামের আমীর তার লন্ডন সফর এবং সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর দেশে এসে বলেছিলেন যে, রমজানের আগে নির্বাচন হতে পারে। অবশ্য পরে ড. শফিকুর রহমান এপ্রিল মাসেও নির্বাচন হতে পারে বলে মত দেন। প্রধান উপদেষ্টা তার সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরুর কথা বলেছেন। কেমন হবে প্রফেসর ইউনূসের দ্বিতীয় অধ্যায়? আইনশৃঙ্খলার বর্তমান অবস্থায় প্রশ্ন রয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে আদৌ নির্বাচন হবে কি? আর হলে কেমন নির্বাচন হবে? এই প্রশ্নের জবাব পেতে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের সমাপ্তি অর্থাৎ শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত দেখতে হবে।
লেখক: কলামিস্ট