নোবেল পুরস্কারের ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক আলোচনায় থাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। দুনিয়া জুড়ে যারা নোবেল পান তাদের নিয়ে বিতর্কেরও অন্ত নেই। এবারো যেমন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণার আগ পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কথা আলোচনা হচ্ছিল জোর দিয়ে। পিস প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করে হোয়াইট হাউস থেকেও প্রচারণা শুরু করা হয়েছিল। এবারের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মারিয়া ভেনেজুয়েলার একজন বিরোধীদলীয় নেতা। ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। মারিয়া কোরিনা লাতিন আমেরিকার ইতিহাসে সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গভীর বিভাজনে জর্জরিত দেশটির বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি।
মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন এবং জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের দাবিতেই সকল বিরোধী শক্তি তার নেতৃত্বে এক কাতারে শামিল হয়েছিল। আরও বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলা একসময় তুলনামূলকভাবে গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল দেশ ছিল। কিন্তু দেশটি এখন এক নির্মম, স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, যা এক ভয়াবহ মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটে ডুবে আছে। হাতেগোনা কিছু সুবিধাভোগী নিজেদের আখের গোছালেও, দেশটির বেশির ভাগ মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার। রাষ্ট্র সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধেই তার হিংস্র দমনপীড়ন ব্যবহার করছে। এ কারণে প্রায় ৮০ লাখ ভেনেজুয়েলান নিজ দেশ ছেড়েছেন। নির্বাচনে কারচুপি, মিথ্যা মামলা আর কারাদণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী পক্ষকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, মারিয়া শান্তিতে পুরস্কার পাওয়ায় দেশে দেশে গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে আরও এগিয়ে যাবে।