সা ম্প্র তি ক

আইনি ভিত্তি, রাজনৈতিক ঐকমত্য ও গণভোট, কোন পথে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন?

আরিফুল ইসলাম | মতামত
অক্টোবর ২৫, ২০২৫
আইনি ভিত্তি, রাজনৈতিক ঐকমত্য ও গণভোট, কোন পথে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন?

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি হতে পারে-এমন সিদ্ধান্তের দিকেই যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে আদেশের খসড়া প্রণয়নে জটিল হয়ে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। আগামী সংসদ নির্বাচন কীভাবে হবে? গণভোটের আইনি ভিত্তি কী হবে? আদেশ কে জারি করবে?  একের পর এক কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের দীর্ঘ আলোচনায়ও এসব প্রশ্নের কোনো চূড়ান্ত সমাধান মেলেনি। কমিশন বলছে, সুপারিশের খসড়া তৈরি করে সরকারকে দেবেন তারা। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবেন। কমিশন আশা করছে, খসড়া চূড়ান্ত করে দ্রুতই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয়া যাবে।


কমিশন সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটি ‘সাংবিধানিক আদেশ’ জারি এবং গণভোট আয়োজনে একটি আলাদা অধ্যাদেশ প্রণয়নের বিষয়ে কমিশন ও বিশেষজ্ঞরা নীতিগতভাবে একমত। তবে আদেশ জারি করবে কে-এমন প্রশ্নে এখনো নানা বিভক্ত মত রয়েছে। জামায়াত ও এনসিপি’র দাবি, আদেশ জারি করবে গণ-অভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার, আওয়ামী লীগ মনোনীত রাষ্ট্রপতি নয়।


কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছি। শিগগিরই আদেশের খসড়া চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে।
 

গণভোটের আইনি পথ: কমিশন সূত্র জানিয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ-২০২৫ অনুযায়ী গণভোট আয়োজনের আইনি ভিত্তি হবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে একটি অধ্যাদেশ, যার মাধ্যমে গণভোট পরিচালনার প্রক্রিয়া নির্ধারিত হবে। ১৯৯১ সালের গণভোট আইন অনুসরণ করেই এই অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি হচ্ছে। কমিশনের ধারণা, গণভোটে আদেশ অনুমোদন পেলে সনদ, নির্বাচন ও নতুন সংসদ-সবই বৈধতা পাবে।


তবে ইতিহাস বলছে, বাংলাদেশে গণভোট শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অবিশ্বাস। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান কিংবা ১৯৮৫ সালে এরশাদের গণভোট কোনোটিই জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত করতে পারেনি। তাই অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এবারো কি গণভোট কেবল বৈধতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক আয়োজন হয়ে দাঁড়াবে? নাকি বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যাবে। 
সংসদ নির্বাচন: সংবিধানের ১২৩ (৩ খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ ভেঙে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। 


ঐকমত্যে ভিন্নমত: জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ৯টিতে বিএনপি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি, এক ব্যক্তি একাধিক পদে থাকা, এবং ন্যায়পাল নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব। সংবিধানের মূলনীতিতে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দিয়ে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ রাখার প্রস্তাবেও ভিন্নমত জানিয়েছে কয়েকটি দল।
যদিও কমিশন চূড়ান্ত সনদে এসব নোট অব ডিসেন্টকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তবু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিভাজনই বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে।
অংশগ্রহণ সীমিত, প্রশ্ন গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে: ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়েছে ৩৩টি দল ও জোট, যার মধ্যে মাত্র ২১টি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি নিবন্ধিত দলই প্রক্রিয়ার বাইরে। নিবন্ধিত আরও কয়েকটি দলকে বাদ দিয়েই কমিশন এই ঐকমত্য গঠন করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ কারণে সনদের রাজনৈতিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। 
বামপন্থি দল সিপিবি সহ কয়েকটি দল অভিযোগ করেছে, কমিশন এখনো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো নিয়ে জনগণের সামনে স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি। তাদের অভিযোগ, আলোচনায় বিশেষ কিছু দলকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যা কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতায় চিড় ধরাচ্ছে।


ভবিষ্যতের পথ অনিশ্চিত: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটাই প্রথমবার, যখন রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য এত বিস্তৃত আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় আট মাসেরও অধিক সময় ৩০টি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে তিন ধাপে আলোচনা করেছে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম ধাপে প্রাথমিক আলাদা আলাদা বৈঠক করেছে দলগুলোর সঙ্গে। দ্বিতীয় ধাপে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সবগুলো দলকে নিয়ে ঐকমত্যের প্রচেষ্টা চালিয়েছে কমিশন। তৃতীয় ধাপে সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুতে আবারো দলগুলোকে নিয়ে বৈঠক করে কমিশন। গণভোটে সব দল একমত হলেও এর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কিছু দল। ফলে জটিলতা কাটেনি বাস্তবায়ন ঘিরে। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি’র নেতৃত্বে তৈরি এই ঐকমত্য কি ভবিষ্যতে টিকবে? অনেকগুলো নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতিতে এর আইনি ও জনআস্থার ভিত্তি কতোটা দৃঢ় হবে- সে প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।


জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এখন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। শিগগিরই তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ দিতে চায়। কারণ ৩১শে অক্টোবর কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। এর আগেই সরকারের কাছে বাস্তবায়ন নিয়ে সুনির্দিষ্ট খসড়া দিতে চাচ্ছে কমিশন। এরপর বাকি সিদ্ধান্ত নেবেন সরকার। তবে যে বাস্তব প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে-গণভোটের গ্রহণযোগ্যতা, আদেশ জারি এবং আইনি সুরক্ষা-এসবের জবাব না মিললে জুলাই জাতীয় সনদের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।


ঐকমত্য কমিশনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট। সেই মতভেদ আরও স্পষ্ট করে দেখা দিয়েছে গণভোট ও আইনি ভিত্তি নির্ধারণ নিয়ে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সংসদ পুনর্গঠনের আগে কোনো আদেশ বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে সনদ কার্যকর হলে তা সাংবিধানিক বিতর্ক সৃষ্টি করবে। ভবিষ্যতের জন্য এটা খারাপ নজির হয়ে থাকবে। অন্যদিকে কয়েকটি দল বলছে, দীর্ঘসূত্রতা কাটাতে দ্রুত কার্যকর করাই এখন সময়ের দাবি। বাস্তবায়ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী পিআর ও আইনি ভিত্তি নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছে। তারা দ্রুত সনদের আইনি ভিত্তি ও নভেম্বরে গণভোটের দাবি জানিয়েছে সরকারকে। এনসিপি বলছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও সাংবিধানিক আদেশের কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত সনদে স্বাক্ষর করবে না তারা। বিএনপি বলছে, সরকারপ্রধানের আইন জারি করার কোনো রাইট আমাদের কনস্টিটিউশনে নেই। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে মনে সুখ পাওয়ার মতো কোনো প্রস্তাব না দেন সেই আহ্বান দলটির।


সূত্র জানায়, কমিশন গণভোটের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক আস্থার সংকট বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণভোটের ইতিহাস আমাদের দেশে প্রশ্নবিদ্ধ। আইনি ভিত্তি শক্ত না হলে সনদ বাস্তবায়ন টিকবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে খসড়া আদেশটির নাম হতে পারে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ (সংবিধান) ২০২৫’। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আদেশের খসড়া তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।


গত ১৭ই অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে। পরে স্বাক্ষর  করেছে গণফোরাম। তবে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ এখনো স্বাক্ষর করেনি। এদিকে, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও মাঠে পিআর ও সনদের বাস্তবায়নের ভিত্তি এবং বিশেষ আদেশে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আন্দোলনের মাঠে সরব জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন না করলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের মৌলিক ভিত্তি। এটি আগে হওয়া জরুরি। একদিনে নির্বাচন ও গণভোট হলে আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হবে। নভেম্বরের শেষদিকে গণভোট অনুষ্ঠিত হোক। 
সূত্র জানায়, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মধ্যেই গণভোট কোন প্রশ্নে হবে, তা উল্লেখ থাকবে। সে ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যালটে গণভোটের প্রশ্ন হতে পারে। সেখানে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও সনদ বাস্তবায়ন চান কি-না, এ রকম প্রশ্ন রাখা হতে পারে। আরেকটি হতে পারে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চান কি-না, এমন প্রশ্নে গণভোট। আরেকটি হতে পারে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি জনগণ মানে কি-না। গণভোটের সময় নির্ধারণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে কমিশন।


সূত্র বলছে, কমিশন ভাবছে তারা বাস্তবায়নের যে সুপারিশই দিক না কেন, সব দল সেটা মানবে না। দলগুলোর প্রতিবাদ আসবেই। সব দলকে খুশি করার মতো সুপারিশ তৈরি করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সরকারকে এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।সেটা না হলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।


জুলাই সনদ অনুযায়ী, সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সংসদ একই সঙ্গে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। তবে গণভোট কখন হবে, সে বিষয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে, দুই ধরনের প্রস্তাব থাকবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সরকার।


নিবন্ধিত ৩০ দল সনদের বাইরে: বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫২টি। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। জুলাই সনদ ইস্যুতে ঐকমত্য কমিশনের তিন ধাপের সংলাপে অন্তত ৩৩টি দল ও সমমনা জোট অংশ নেয়। এর মধ্যে মাত্র ২১টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। ফলে জুলাই সনদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের যোগাযোগ, সংলাপ বা মতামত গ্রহণের বাইরেই রয়ে গেছে নিবন্ধিত অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দল।


বিশ্লেষকদের মতে, রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি ভবিষ্যতের জাতীয় ঐক্যের পথে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। 
বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো বিভক্ত। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনাও কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান আনতে পারেনি। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে নির্বাচনী অনিশ্চয়তা বাড়তে পারে।


উল্লেখ্য, প্রথম পর্বে (২০শে মার্চ-১৯শে মে) ৩৩টি দলের সঙ্গে আলোচনায় ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়। দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি রাজনৈতিক দল (৩রা জুন-৩১শে জুলাই) বাকি ২০টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ১১টিতে ঐকমত্য এবং ৯টিতে নোট অব ডিসেন্টসহ সিদ্ধান্ত হয়। 


সংসদকে বাধ্য করতে পথ  খোঁজা হচ্ছে: জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলোর টেকসই বাস্তবায়নের জন্য আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেয়ার সুপারিশের চিন্তা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গঠিত সংসদকে নিয়মিত আইনসভার পাশাপাশি ৯ মাস সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করার বিষয়ে ভাবছে কমিশন। এই সময়ের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নে সংসদকে বাধ্য করার পথ খোঁজা হচ্ছে। 

মতামত'র অন্যান্য খবর