বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, সংঘাত ও বিরোধী মত দমনের কারণে ২০২৪ সালে এক লাখ ৫৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজার ৮০০ জন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাকিরা দেশে আছে, নাকি দেশের বাইরে চলে গেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইন্টারন্যাশনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এই তথ্য জানিয়েছে। বিশ্বে বাস্তুচ্যুতদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আইডিএমসি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংস্থা নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের (এনআরসি) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এটি। আইওএম এবং আইডিএমসি’র তথ্য অনুযায়ী, হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা ছিল চার লাখ ২৬ হাজার। গত এক বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার বাংলাদেশি। আইডিএমসি জানিয়েছে, বাংলাদেশে মোট অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির যে হিসাব (পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার), তার মধ্যে ১৯৭০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পাহাড়ে বাস্তুচ্যুত দুই লাখ ৭৫ হাজার মানুষও অন্তর্ভুক্ত আছে। এই সংখ্যা বাদ দিলে গত ১৬ বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা তিন লাখ ১০ হাজার। বছরে গড়ে ১৯ হাজার ৩৭৫ জন। কিন্তু গত এক বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় বাস্তুচ্যুতির সংখ্যাটি বেশ বড়- এক লাখ ৫৯ হাজার। এই প্রতিবেদনটি যে বার্তা দেয় তা হলো রাজনীতির নামে মানুষ হয়রানি আর চরম নিরাপত্তাহীনতার শিকার। কিন্তু রাজনীতি যদি নীতি, আদর্শ আর সততার সঙ্গে পরিচালিত হয়, মানুষের মঙ্গলের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য সকল দলই কাজ করে তাহলে নিশ্চয়ই যখন যারাই ক্ষমতায় থাকবে অন্যমতের বা অন্য দলের কাউকে এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না।