সংস্কার সম্পর্কিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর পর্যন্ত যেতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তথা অন্তর্বর্তী সরকারের লেগে গেল আট মাস। এরপরও এনসিপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল সনদে সই করবে বলে আশায় কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত। জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ দু’টির জন্যই সবচেয়ে উৎসাহী ছিল যে এনসিপি, তারা এর কোনোটিতেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি। জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানও দলটি বর্জন করেছে, যা সাধারণভাবে কেউ ভালো চোখে দেখবে না। অনুষ্ঠানের আগে সেখানে একটা গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়, যা ছিল অপ্রত্যাশিত। ঘটনাটির উপযুক্ত তদন্ত হবে কিনা, সেটাই বা কে বলবে।
এ ক্ষেত্রে একটা অর্জন অবশ্য রয়েছে। সেটা হলো, মাঠে বিএনপি’র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত জামায়াতে ইসলামী সনদে স্বাক্ষর করা। এনসিপি’র মতো করেই তারা বলেছিলেন, আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের পথ-পদ্ধতি ছাড়া এ ধরনের সনদে স্বাক্ষরের কোনো মানে নেই। এখন তারা বলছেন, একটা গভীর রাজনৈতিক বিবেচনা থেকেই শেষ মুহূর্তে জুলাই সনদে সই করেছেন। এটা ঘিরে তাদের এতদিনের মিত্র বলে পরিচিত এনসিপি’র সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে হচ্ছে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। তারপরও আশা, এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের বর্ধিত মেয়াদের মধ্যে সনদে সই করবে। সংস্কার আলোচনায় নেতৃত্ব দেয়া বিএনপি’র সিনিয়র নেতার বক্তব্যেও এমন ইঙ্গিত রয়েছে যে, খোদ এনসিপি সনদে সই করার উপায় খুঁজছে।
দেরিতে হলেও এনসিপি ও চারটি বাম দল জুলাই সনদে সই করলে তাতে কিছুটা ক্ষতিপূরণ হবে। পুরোটা হবে না। দেশের মানুষ দেখছে, এত বড় গণ-অভ্যুত্থানের পরও রাজনৈতিক দলগুলো নিজ হিসাবনিকাশের বাইরে যেতে রাজি নয়। যাদের দূর ভবিষ্যতেও রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তারাও সনদের অনেক সিদ্ধান্তে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে রেখেছে। এ অবস্থায় গ্রহণযোগ্য ভোট হলেই যে দলটি ক্ষমতায় যাবে বলে ধারণা, তারা বেশি ক্ষেত্রে নোট অব ডিসেন্ট দেবে, সেটা স্বাভাবিক। তাদের শীর্ষ নেতা হালে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সংস্কার নিয়ে তারা কোনো লুকোচুরি করছেন না। যেসব প্রস্তাব অচিরেই বাস্তবায়ন করতে রাজি, সেগুলোর বিষয়ে দ্রুতই তার দল একমত হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করা হবে। এখানে জোরাজুরির কিছু নেই।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন করা হয়েছিল সংস্কার আলোচনায় আসা দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনতে। এ ক্ষেত্রে তারা ‘জোরাজুরি’ করছেন কিনা, সে প্রশ্ন উঠতে পারে। সরকারের পক্ষে তাদের একটা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, সেটা কিন্তু চোখ এড়াচ্ছে না। তারা যতটা সম্ভব বেশি ‘মৌলিক সংস্কারে’ দলগুলোকে রাজি করাতে চান। মৌলিক সংস্কার মানে সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত সংস্কার। তবে অমৌলিক অনেক প্রস্তাবেও কোনো না কোনো দল আপত্তি জানিয়ে রেখেছে। ৮৪টি সিদ্ধান্তের খুব কম ক্ষেত্রেই সব দল পুরো একমত। এ অবস্থায় আবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসব প্রস্তাব সংবলিত জুলাই সনদ গণভোটে দেয়া হবে। এ প্রশ্নে একমত হয়েছে মাঠে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো। এটাকে বড় সাফল্য বলে প্রচারও করা হয়েছে। তবে হালে দেখা দিয়েছে গণভোট নিয়ে সংকট।
কোন্ আদেশ বা অধ্যাদেশবলে গণভোটের আয়োজন করা হবে, এ জায়গায় আটকে আছে ঐকমত্য কমিশন। দিনের পর দিন আলোচনা চলছে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। গণভোট কবে হবে, সেটা নিয়েও দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য নেই। এক পক্ষ চাইছে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট। আরেক পক্ষ বলছে, এটা হোক তার আগে আলাদা করে। উভয় পক্ষ যে যার মতো যুক্তি দিচ্ছে। সমপ্রতি রাজনীতির তিন পক্ষই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে ইস্যু ভিন্ন হলেও তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে নিশ্চয় আলোচনা করেছেন। তেমন খবরও রয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। তবে কবে গণভোট হবে; তার আগে গুরুতর প্রশ্ন, এতে কী প্রস্তাব হাজির করা হবে ভোটারদের সামনে? গণভোট এদেশে আগে আরও তিনবার হয়েছে। তাতে প্রশ্ন ছিল একটি আর তা ছিল সহজে বোধগম্য। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনসম্মতি আদায় দেখা যাচ্ছে ততটা সহজ নয়। নোট অব ডিসেন্ট বা আপত্তিসহ যেসব প্রস্তাব এতে যুক্ত হয়েছে, সেগুলো ভোটারের সামনে কীভাবে প্রশ্ন আকারে উপস্থাপন করা যাবে? ঐকমত্য কমিশন এর নিষ্পত্তিতে হিমশিম খাচ্ছে।
কমিশন এ ক্ষেত্রে একটি ‘বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ’ সরকারকে দেবে বলেই জানানো হয়েছে। সরকার গণভোট আয়োজনের আইনগত ভিত্তি দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু এ বিষয়ে একমত নয়, তাই সরকারকে ‘দৃঢ়’ হতে বলা হচ্ছে। যে সরকার প্রায় কোনো ক্ষেত্রেই দৃঢ় নয় বা হতে পারছে না, সে এমন জটিল ক্ষেত্রে কীভাবে দৃঢ় ভূমিকা নেবে তা বোধগম্য নয়। জুলাই সনদে জনসম্মতি আদায়ে গণভোট আয়োজন নিয়ে সামনে আরেকটি জটিলতা সৃষ্টি হতে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। রাজনীতির যে পক্ষটি ‘কম সংস্কারে’ আগ্রহী; দীর্ঘ সংস্কার আলোচনার বদলে ‘জরুরি সংস্কার’ সেরে যারা দ্রুত নির্বাচনে যেতে চাইছিল, তারা গণভোটে কী ভূমিকা রাখবে, সে প্রশ্নও রয়েছে। ভেতরে ভেতরে তারা নিজ সমর্থকদের এ ক্ষেত্রে ‘না’ ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করলে কী দাঁড়াবে? তাছাড়া জটিল জুলাই সনদ সংক্রান্ত গণভোটে অংশ নিতে খুব কম ভোটার আগ্রহী হলে এর গ্রহণযোগ্যতাও কি প্রশ্নবিদ্ধ হবে না? জুলাই সনদের সব প্রস্তাবে একজন ভোটার একমত কিংবা ভিন্নমত, এটাও তো বাস্তবসম্মত নয়। কোনোমতে একটা গণভোট সেরে ফেলা গেলেও পরে কিন্তু এ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। অন্তত ওঠার শঙ্কা থাকবে।
গণভোট যখনই হোক, জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো যার যার মতো ইশতেহার ঘোষণা করবে। আগের নির্বাচনগুলোয় যেমন তেমন; এবারের নির্বাচনে কিন্তু দলগুলোর ইশতেহার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কেননা, নজিরবিহীন একটি গণ-অভ্যুত্থান হয়ে গেছে দেশে। এতে রাজনৈতিক দৃশ্যপট গেছে বদলে। দীর্ঘ সংস্কার আলোচনায় অংশ নিয়েছে মাঠে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো, যা ইতিপূর্বে দেশে আর ঘটেনি। ভবিষ্যতে সংস্কার আদতে কতোটা হবে, সে প্রশ্ন থাকলেও সংস্কার আলোচনায় তাদের অংশগ্রহণের গুরুত্ব অস্বীকার করা যাবে না। রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার নিয়ে দিনের পর দিন বিতর্কে অংশ নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। একটি পক্ষ আবার সংস্কার আলোচনা চলাকালে বিশেষ দাবি আদায়ে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে গেছে। আন্দোলনের অধিকার রয়েছে বৈকি। তবে এর যৌক্তিকতাও থাকতে হবে। যে প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় তালিকাভুক্ত নয়, সেটা ঘিরে আন্দোলন রচনার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এটা ঘিরে আন্দোলনকারী মূল দলের সঙ্গে তার কিছু মিত্র দলের দূরত্ব সৃষ্টিও মানুষের নজর কেড়েছে। রাজনীতিতে এগুলো অবশ্য একেবারে অস্বাভাবিক নয়। নির্বাচন আসতে আসতে আরও অনেক ঘটনাই ঘটবে।
ভালো হতো সংস্কার বিষয়ে ‘রাজনৈতিক ঐকমত্য’ প্রতিষ্ঠার এ দীর্ঘ সংগ্রামে অন্তর্বর্তী সরকার জড়িয়ে না পড়লে। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে অনেক বেশি কালক্ষেপণ হয়েছে বলে অভিযোগ কিন্তু তোলা যায়। সত্যি বলতে, এত সময় খরচ করেও প্রত্যাশামতো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি ঐকমত্য কমিশন। সেটা আসলে সম্ভবও নয়। রাজনৈতিক দলগুলো একটি অন্তর্বর্তী সরকারের পছন্দে দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু ব্যক্তির দরকষাকষির দক্ষতায় কাবু হয়ে নিজ অবস্থান ত্যাগ করবে- এমনটা তো আশা করা যায় না। বিশেষত যারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে বলে প্রবলভাবে আশাবাদী, তারা দ্রুত ‘অধিকতর সংস্কারে’ রাজি না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবু তারা গুরুত্বপূর্ণ কিছু মৌলিক সংস্কারে এরই মধ্যে সম্মত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট বিশেষ পরিস্থিতিতে এ অর্জনও কম নয়। সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার বদলে আরও সংস্কারে কোনো পক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি কাজের কথা নয়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে কেবল অস্থিরতাই বাড়ে। আর শঙ্কা তৈরি হয় সামনে কী হবে, তা নিয়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা খুব কম; তা হয়তো নয়। তবে এ আলোচনা এখনো বেশি যে, সেটা ঘিরে নির্বাচন নিয়ে নতুন সংকট সৃষ্টি হয় কিনা। ক্ষমতাচ্যুত পক্ষ থেকে কিন্তু এরই মধ্যে এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, সামনে ভোট আর হবে না; কেবল গণভোট হবে!
একটা সময় পর্যন্ত ‘আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে হবে’ বলে জোর দাবি জানানো হচ্ছিল। সে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ হওয়ার পর গণভোট নিয়ে উৎসাহ বেড়েছে কিনা, এ প্রশ্নও উঠতে পারে। সংস্কার, এমনকি রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা চিন্তাশীল কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু দ্রুতই সব ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ একযোগে করে ফেলা যাবে, এটা অতি-আশাবাদ ছাড়া কিছু নয়। গণভোট হয়ে গেলেও আগামী সংসদে কীভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে, সে জায়গাতেও কিন্তু আটকে আছে ঐকমত্য কমিশন। আগামী সংসদে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না হলে সংসদ ভেঙে যাবে কিনা, এমন আলোচনাও চলছে। একটি জননির্বাচিত সংসদকে এভাবে বাধ্য করা যায় কিনা, সে প্রশ্নও উঠেছে ঐকমত্য কমিশনে। এখানে যারা কাজ করছেন, তারা সংবিধান ও আইন বিষয়ে বিদগ্ধ ব্যক্তি। উদ্ভট বা জটিলতা সৃষ্টিকারী কোনো সুপারিশ তারা সরকারকে দেয়ার কথা নয়। সরকারও আশা করা যায়, জটিলতা সৃষ্টির মতো এজেন্ডা নিয়ে অগ্রসর হবে না। সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য না হলে সব রাজনৈতিক দল এতে একমতও হবে না। সেটা ঘিরে দেখা দেবে আরেক সংকট। এদিকে ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ’ ঘোষণা কিন্তু হয়ে গেছে। ইসি তার কার্যক্রম শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনমুখী। কোনো কোনো দল তো অনেক আগে প্রার্থী চূড়ান্ত করে ভেতরে ভেতরে প্রচারণা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় অন্য একটি ইস্যুতে রাজনীতিতে সংশয় ও অস্থিরতা বৃদ্ধি কার স্বার্থের পক্ষে যাবে?
আগামী নির্বাচনে কোনো দল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে প্রচলিত নিয়মে তারা সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না। অবশ্য বিরোধী দল একমত হলে সেটা সম্ভব। এমন অসাধারণ ঐক্য কি ততদিন বহাল থাকবে? দলগুলো তখনকার বাস্তবতায় অবস্থান বদলে ফেললে তাদের কোনো অসুবিধা উপস্থিত হবে বলে মনে হয় না। তাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরও আসলে সংস্কারের বাস্তবায়ন নির্ভর করে। একবার সংস্কার হয়ে গেলেই তা টেকসই হবে, এমনটিও আশা করা যায় না। আর সংবিধান, আইন নতুনভাবে বিন্যস্ত হলেই দেশ তরতর করে এগিয়ে যাবে, এটা অতি আশাবাদ। এসবের প্রয়োগ ও চর্চার বিষয়টি ভুলে থাকার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বের কিছু দেশে সংবিধান, আইন-কানুন এমনকি লিখিতও নয়। তারপরও প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতির অব্যাহত অনুসরণ তাদেরকে আদর্শ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আর আমাদের এখানে হয়েছে বিপরীতটি। আমরা দল, গোষ্ঠী, এমনকি ব্যক্তির স্বার্থেও সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছি। নাগরিক অধিকার খর্ব করে কালাকানুন করেছি এবং সরকার নির্বিশেষে তা থেকেছে বহাল। এসব অভিজ্ঞতা মনে রেখেই দীর্ঘ সংস্কার আলোচনায় যেটুকু সাফল্য অর্জিত হয়েছে, গ্রহণযোগ্য পথে এর যতটা সম্ভব বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে। বাস্তবায়নের পথেও পদে পদে বিতর্ক হবে, এটা মনে রাখা ভালো। সামনের পথ তো কুসুমাস্তীর্ণ নয়।
লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট